আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৭৫: ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে কিনা

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩১৭৫: 

আসসালামু আলাইকুম। ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে কিনা জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। 

তারিখ:৩০/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 কারী মুমিন সাভার ঢাকা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, ছেলের শালি মাহরামের কেউ নয়। তাই তাকে বিবাহ করা জায়েয। দলিল- 

فإن أم زوجة الابن ليست محرمًا لأبيه من جهة المصاهرة، وإنما تحرم على ابنه، لأنها أم زوجته، ومثلها أخت زوجة ابنه، فهما داخلتان في عموم النساء المباحات اللائي ذكرهن الله تعالى بعد حصر النساء المحرمات، فقال الله تعالى

ছেলের শ্বাশুড়ি বৈবাহিক দিক দিয়ে তার বাবার কাছে নিষিদ্ধ নয়, বরং এটি তাঁর ছেলের পক্ষে নিষিদ্ধ, কারণ তিনি তাঁর স্ত্রীর মা এবং তার ছেলের স্ত্রীর একই বোন তথা শালি একই, তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাধারণ মহিলারা যারা অনুমতিযোগ্য যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা মাহরাম নারীর পরে উল্লেখ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

Surah An-Nisa, Verse 23:

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। সূরা নিসা-২৩


সারকথা হলো,  ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে। তবে পারিবারিক সমস্যা- সামাজিক ফিতনা বিবেচনা করে, না করাই উচিত।



  والله اعلم بالصواب