আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৬৬: ছোট বাচ্চাদের দ্বারা আজান ও ইকামতের হুকুম কী

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৬৬: 

আসসালামু আলাইকুম। ছোট বাচ্চাদের দ্বারা আজান ও ইকামতের হুকুম কী

তারিখ:১০/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  কামরুল ইসলাম বাগেরহাট থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আজান হলো শিয়ারে ইসলাম বা ইসলামের নিদর্শন। তাই এর গুরুত্ব সর্বাধিক। প্রাপ্তবয়স্ক লোকের মাধ্যমে দেওয়া উচিত। অবুঝ বালক দ্বারা আজান ও ইকামত দিলে, আদায় হবে না। দলিল- 

اتفق الفقهاء على أنَّ أذان الطفل غير المميِّز ( غير العاقل ) لا يَصِحُّ ولا يجزئ ؛ لأنَّه لا يُدْرِك ما يفعله ، ومن شروط صِحَّة الأذان : الإسلام والعقل والذُّكورة .

قال في " بدائع الصنائع" (1/ 150) : " وَأَمَّا أَذَانُ الصَّبِيِّ الَّذِي لَا يَعْقِلُ فَلَا يُجْزِئُ ، وَيُعَادُ ؛ لِأَنَّ مَا يَصْدُرُ لَا عَنْ عَقْلٍ لَا يُعْتَدُّ بِهِ ، كَصَوْتِ الطُّيُورِ" انتهى .

অর্থাৎ ফকীহগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো, ভালো-মন্দ বাছবিচারের সক্ষমতা আসেনি, এমন শিশুর আযান দেয়া বৈধ নয়। আর সে আযান দিয়ে ফেললেও তা ফরয সালাত আদায়ের জন্য যথেষ্ঠ হবেনা। কারণ শৈশবকালের এই সময়টিতে সে নিজ কর্মের ব্যাপারে পরিপূর্ণ ওয়াকিফবহাল থাকেনা। আর আযান শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, তাকে মুসলিম হতে হবে, পরিপক্ক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হতে হবে এবং পুরুষ হতে হবে। 

বাদায়েউস সানায়ে (১৫০/১) কিতাবে উল্লেখ রয়েছে যে, সুবুদ্ধির উদয় হয়ে উঠেনি- এমন বালকের আযান যথেষ্ঠ নয়। তাসত্ত্বেও সে আযান দিয়ে ফেললে পুনরায় আযান দেয়া লাগবে। কারণ অপরিপক্ক মস্তিষ্ক থেকে নি:সৃত কোন কর্মই বিবেচনাযোগ্য নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- পাখির স্বরধ্বনির কথা। যেহেতু পাখি বোধশক্তিহীন প্রাণী, তাই তার মুখনিঃসৃত কোন বাক্যমালাই শরীয়তের মানদণ্ডে গ্রহণীয় নয়।


দ্বিতীয় কথা হলো, নাবালক শিশু যদি বুঝমান (৯-১০-১২ বছর বয়স হয়) হয়, তাহলে সে  আজান বা ইকামত দিলে আদায় হবে। দলিল- 


عن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ : ” كَانَ عُمُومَتِي يَأْمُرُونَنِي أَنْ أُؤَذِّنَ لَهُمْ وَأَنَا غُلَامٌ لَمْ أَحْتَلِمْ ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ شَاهِدٌ، فلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ ” .

আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর বিন আনাস বলেন,“আমার চাচারা আামকে আজান দেয়ার আদেশ করতেন তাই (আমি আজান দিতাম)। সে সময় আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক ছিলাম। আনাস বিন মালিক রা. বিষয়টি দেখলেও প্রতিবাদ করেননি।” (ইবনুল মুনজির আওসাত গ্রন্থে ৩/১৭৬)


সারকথা হলো,  তবে শিশু যদি এতই ছোট হয় যে, আজান সম্পর্কে জানে না তাহলে তার আজান গ্রহনযোগ্য হবে না। বরং প্রাপ্ত বয়স্ক লোক থাকতে তারা আজান দিলে তা মাকরূহ হবে।



  والله اعلم بالصواب