জিজ্ঞাসা-১২৩০৪
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম! একজন ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে মাঝে মাঝে বেহুঁশ থাকতো, এখন উক্ত সময়ের নামাজ না আদায় করলে ঐ নামাজের কাফফারা দিতে হবে কি?
জনৈক মাওলানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক--
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর কথা হলো, কাফফারা দিতে হবে কিনা তার আগে একটি বিষয় পরিষ্কার হতে হবে, কি পরিমান সময় বেহুশ বা অজ্ঞান থাকলে নামাজ মাফ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: ক। কত সময় বেহুশ/ অজ্ঞান থাকলে নামাজ মাফ হয়ে যায়।
উত্তর: ক। এ বিষয়ে ইমাম আবু হানিফা বলেন,
وقال أبو حنيفة: إن أغمى عليه خمس صلوات قضاها، وإن زادت سقط فرض القضاء في الكل، لأن ذلك يدخل في التكرار، فأسقط القضاء كالجنون. ولنا ما روي أن عماراً غُشي عليه أياماً لا يصلي ثم استفاق بعد ثلاث فقال: هل صليت؟ فقيل: ما صليت منذ ثلاث، فقال: أعطونى وضوءً
সারকথা হলো, ৫ ওয়াক্ত নামাজ বা একদিন একরাত যদি বেহুশ/অচেতন থাকে, তাহলে নামাজ কাজা আদায় করতে হবে আর যদি এর বেশি হয়, তাহলে ঐ সময়ের নামাজ আদায় করতে হবে না। দলিল:
আসার নং-০১
عن نافعٍ: (أنَّ عبدَ اللهِ بنَ عُمرَ رَضِيَ اللهُ عَنْه أُغمي عليه، فذَهَب عقْلُه، فلمْ يقضِ الصَّلاةَ
অর্থ: হযরত নাফে রাহ. থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. দুই দিন অজ্ঞান ছিলেন কিন্তু ঐ সময়ের নামায কাযা করেননি। তাখরিজ: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা-৬৬৬২
আসার নং-০২
6502 حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنِ الْحَارِثِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمِ ، قَالَ : كَانَ يَقُولُ فِي الْمُغْمَى عَلَيْهِ إِذَا أُغْمِيَ عَلَيْهِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ : أَعَادَ وَإِذَا كَانَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يُعِدْ
অর্থ: হজরত ইব্রাহিম (রহ.) বলেন, একদিন একরাত অজ্ঞান থাকলে কাজা করবে; কিন্তু এর বেশি হলে কাজা লাগবে না। তাখরিজ: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা-৬৫০২
হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
إِذَا أُغْمِيَ عَلَيْهِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ أَعَادَ، وَإِذَا كَانَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يُعِدْ
এক দিন এক রাত অজ্ঞান থাকলে নামায কাযা করবে। এর চেয়ে বেশি হলে কাযা করবে না। তাখরিজ: মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-৬৬৫৪
সুতরাং আপনার প্রশ্নে বর্ণিত আলোকে বলা যায়, উক্ত ব্যক্তি একাধারে ২৪ ঘন্টা বা ৫ ওয়াক্তের বেশি সময় ধরে অজ্ঞান থাকে, এমতাবস্থায় তার নামাজের কাফফারা লাগবে না। আর যদি ২৪ ঘন্টার কম সময় অচেতন থাকে, তাহলে ঐ সময়ের কাজাকৃত নামাজের কাফফরা দিতে হবে। সূত্র: সূত্র: কিতাবুল আছল ১/১৯০; ফাতওয়ায়ে শামি- ২য় খণ্ড, ৭২ পৃষ্ঠা
والله اعلم بالصواب