আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

স্বাস্থ্য পরামর্শ-৯৫: চোখে কম দেখা বোঝার উপায়

No Comments

 



চোখে কম দেখা বোঝার উপায়

 ডা. আহসান কবির 

 প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩১


দৈনন্দিন জীবনে আমরা কি কখনও একবার ভেবেছি, চোখে কম দেখি কিনা? কখনও পালা করে চোখ বন্ধ করে দেখার চেষ্টা করেছি, কোন চোখে আমরা কেমন দেখি? ৯৯ শতাংশ লোকই বলবেন– কই, দেখিনি। কম দেখা নির্ভর করে বয়স অনুসারে। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন, মাঝ বয়স আর বেশি বয়স। শৈশব (২-১০) বছর। এই বয়সে অনেক শিশুই চোখে কম দেখে। তখন পিতামাতা অনেকে গ্রাহ্য করেন না। 


বোঝার লক্ষণ 

শিশু চোখ পিটপিট করে বা ছোট করে যে কোনো জিনিসপত্র কাছে এনে দেখছে; যে কোনো চোখ ট্যারা, টেলিভিশনের কাছে বসে। স্কুলের শিক্ষক-পিতামাতা ধরতে পারবেন যদি সচেতন হন।

কৈশোর যৌবন (১০-২১)

এ সময় জ্ঞান ও বুদ্ধিসত্তার কারণে তারা সহজেই বুঝতে পারে কম দেখা। তাদের অভিভাবক বা পিতামাতাকে সমস্যার কথা বলে।

মাঝ বয়স (৩০-৫০)

এ সময় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সহজেই তাঁর সমস্যা বুঝতে পারেন এবং চিকিৎসা নেন। বিশেষ করে ৩৫-৪৫ বয়সে কাছে কম দেখা।

বেশি বয়সে (৫০-৮০)

সাধারণত এ সময় সবাই বেশি কম দেখেন। বেলা বাড়লে বেশি কম দেখেন বা আলোর পাশে রংধনুর রং, হাঁটার সময় আশপাশের কাউকে দেখা না গেলে বা চোখের যে কোনো রোগের জন্য ঝাপসা দেখা– এগুলো চোখের বিশেষ লক্ষণ। এ ছাড়া– 

১. দূরে কম দেখা;

২. কাছে কম;

৩. দূরে-কাছে দুটি মিলিয়েই কম দেখা ইত্যাদি। 


আমরা কেন কম দেখি

কম দেখার প্রধান কারণ চোখের প্রতিসরণ সমস্যা। বহির্বিশ্বের সব ছবি চোখের বিভিন্ন স্তর ভেদ করে পেছনের রেটিনায় পড়ে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে মাথার পেছনে মগজের দেখার এলাকায় পৌঁছালেই তবে দেখতে পারি আমরা।

চোখের আকৃতি কিংবা চোখের বিভিন্ন স্তরের সমস্যা, ট্যারা চোখ, নেত্রস্বচ্ছে ঘা, ভাইরাস রোগ, আইরাইটিস, লেন্সে ছানি, শরীরের উচ্চচাপ, রেটিনার রোগ কিংবা ডায়াবেটিস ইত্যাদি কারণে ছবিগুলা ঠিকমতো চোখে না পড়লে তখন কম দেখা যায়। 



সমাধান

এগুলো চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাজ। তিনি চোখে বিভিন্ন পরীক্ষা করেন এবং রোগ নির্ণয় করে ওষুধ, চশমা বা অপারেশন যা দরকার, তা-ই করে থাকেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে, চোখে কম দেখা যদি শৈশবকালে ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে যেন ভুল না করি।

লেখক : কনসালট্যান্ট, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফেকো সার্জন, যশোর।


সূত্র: দৈনিক সমকাল