আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

পরকালীন ভাবনা-১২: পরকাল সম্পর্কিত কিছু ভয়ংকর হাদিস

No Comments

 



পরকাল সম্পর্কিত কিছু ভয়ংকর হাদিস 

===========================

ইসলামের বিভিন্ন হাদিসে নৈতিকতা, আচরণ, এবং আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিচ্যুতির পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা মানুষকে ভয় দেখাতে বা সচেতন করতে পারে। কিছু ভয়ংকর হাদিসের মধ্যে রয়েছে পরকালের শাস্তি, কবরের আযাব, এবং কিয়ামতের লক্ষণ ইত্যাদি। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস দেওয়া হলো:


১. কবরের আযাব:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"নিশ্চয়ই, কবর হলো আখিরাতের প্রথম ধাপ। যদি কোনো ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে বেঁচে যায়, তবে পরবর্তী ধাপগুলো তার জন্য সহজ হবে। আর যদি সে কবরের আযাব ভোগ করে, তবে এর পরে আরও কঠিন শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকো।"

(তিরমিজি: ২৩০৮)


২. কিয়ামতের ভয়ংকর দৃশ্য:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন মানুষকে তাদের কর্ম অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:


"কিয়ামতের দিন সূর্য খুব কাছাকাছি চলে আসবে। মানুষের ঘাম তাদের শরীরের ওপর এত বেশি হবে যে কেউ কেউ হাটু পর্যন্ত, কেউ কোমর পর্যন্ত, আবার কেউ গলায় পর্যন্ত ঘামে ডুবে যাবে।"

(সহিহ মুসলিম: ২৮৬৪)


৩. জাহান্নামের শাস্তি:

জাহান্নামের শাস্তির ভয়াবহতা বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"জাহান্নামের আগুন ৬৯ গুণ বেশি তীব্র হবে পৃথিবীর আগুনের তুলনায়।"

(সহিহ বুখারি: ৩২৬৫)


৪. মিথ্যাবাদীদের জন্য শাস্তি:


রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:


"কিয়ামতের দিন মানুষের কণ্ঠনালী দিয়ে আগুন বের হবে এবং তাদের মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে যদি তারা মিথ্যা কথা বলে এবং অন্যদের ধোঁকা দেয়।"

(তিরমিজি: ২৪৮২)


৫. যারা নামাজ পরিত্যাগ করে:


নামাজ পরিত্যাগকারীদের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:


"কিয়ামতের দিন নামাজ ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির শাস্তি হবে সবচেয়ে কঠিন। তারা জাহান্নামের বিশেষ একটি স্থান, 'ওয়াইল', এ নিক্ষিপ্ত হবে।"

(তিরমিজি: ৪৫১)


এই হাদিসগুলো কেবল শাস্তির বর্ণনা দেয়ার জন্য নয়, বরং মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করতে এবং তাদের ঈমানকে মজবুত করতে উদ্বুদ্ধ করে। এগুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার গুরুত্ব বোঝায়।