জিজ্ঞাসা-১২৪৪১:
বর্তমানে নারীরা না কি মাহরাম ছাড়া হজ করতে পারছে! সৌদি সরকার নারীদের ক্ষেত্রে মাহরামের বিষয়টি নাকি শিথিল করেছে।
বলা হচ্ছে এজেন্সিগুলো নারীদের জন্য আলাদা হোটেলের ব্যবস্থাসহ যথাযথ পর্দা পালনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনেক নারীরা মাহরাম ছাড়া হজ করেছেনও।
মুআজ্জায মুফতি সাহেবগণের নিকট উদ্ভুত পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণমূলক ও গঠনমূলক ফয়সালা রেফারেন্সসহ জানতে চাই। তারিখ: ২৪/০১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা জাফর তৈয়ব, বান্দরবান থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, এ বিষয়ে আইম্মায়ে মুজাহিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
يُشْتَرَطُ لوجوبِ أداءِ الفريضَةِ للمرأةِ رُفْقَةُ الْمَحْرَمِ، وهذا مذهَبُ الحَنَفيَّة، والحَنابِلَة، واختارَه ابنُ باز، وابنُ عُثيمين، وبه صدرَتْ فتوى اللَّجْنَةِ الدَّائِمَةِ
(تبيين الحقائق)) للزيلعي و((حاشية الشلبي)) (2/5)، ((المبسوط)) للسرخسي (4/100
في فتاوى اللَّجْنَة الدَّائِمَة: (المرأةُ التي لا مَحْرَمَ لها لا يجب عليها الحَجُّ؛ لأنَّ الْمَحْرَم بالنسبة لها من السَّبيل، واستطاعَةُ السبيلِ شَرطٌ في وجوب الحَجِّ؛ قال الله تعالى: وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا *البقرة: 97* ولا يجوز لها أن تسافِرَ للحجِّ أو غيره إلا ومعها زوجٌ أو مَحْرَمٌ لها). ((فتاوى اللَّجْنَة الدَّائِمَة- المجموعة الأولى)) (11/90).
ইমাম আবু হানিফা এবং আহমদ ইবনে হাম্বলি রহ.; সুফিয়ান সাওরি, হাসান বসরি, ইবরাহীম নাখয়ি, ইমাম আহমদ, ইসহাক, ইবনে মুনজির রহ. সৌদির সাবেক প্রধান মুফতি শায়েখ ইবনে বাজ রহ. , সৌদির বিখ্যাত আলেম ইবনে উসাইমিন রহ. এবং সৌদি স্থায়ী ফাতওয়া বোর্ড এর মতে হজের জন্য মাহরাম শর্ত,
অপরপক্ষে ইমাম শাফিয়ি ও ইমাম মালিক (রহ.)-এর মতে, ‘নারীর ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য ‘মাহরাম’ শর্ত নয়।। সূত্র: আলবাসবুত-৪/১০০; স্থায়ী ফাতওয়া কমিটি-১১/৯০
প্রশ্ন: ক। ফিকহি আহনাফ ও হাম্বলির দলিল কি?
উত্তর: ক। ফিকহি আহনাফ ও হাম্বলির দলিল নিম্নরূপ:
হাদিস নং-০১
عَنِ ابْنِ عَبّاسٍ، عَنِ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: لاَ يَخْلُوَنّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلّا مَعَ ذِي مَحْرَمٍ. فَقَامَ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، امْرَأَتِي خَرَجَتْ حَاجّةً، وَاكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: ارْجِعْ فَحُجّ مَعَ امْرَأَتِكَ.
হযরত ইবনে আব্বাস রা. নবী কারীম (ﷺ)থেকে বর্ণনা করেছেন, নবীজী বলেছেন, কোনো পুরুষ যেন কোনো নারীর সঙ্গে তার মাহরাম ব্যতিরেকে একাকী অবস্থান না করে। তখন এক ব্যক্তি উঠে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য নাম লিখিয়েছি। ওদিকে আমার স্ত্রী হজ্বের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছে। নবীজী বললেন, ফিরে যাও। তোমার স্ত্রীর সাথে হজ¦ কর। তাখরিজ: সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৪১
হাদিস নং-০২
لَا يَحِلّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُونُ ثَلَاثَةَ أَيّامٍ فَصَاعِدًا، إِلّا وَمَعَهَا أَبُوهَا، أَوِ ابْنُهَا، أَوْ زَوْجُهَا، أَوْ أَخُوهَا، أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا.
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে কারীম (ﷺ)বলেছেন, যে নারী আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার জন্য নিজের বাবা, ছেলে, স্বামী, ভাই বা অন্য কোনো মাহরামকে সঙ্গে না নিয়ে তিন দিন বা ততোধিক দূরত্বের পথ সফর করা বৈধ নয়। তাখরিজ: সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৪০; সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৩/১৩৮
ব্যাখ্যা: একজন ব্যক্তি সাধারণত একদিনে ১৬ মাইল হাঁটতে পারে। তিন দিয়ে গুণ করলে ৪৮ মাইল হয়।
হাদিস নং-০৩
لَا تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ ثَلَاثًا، إِلّا وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ.
হযরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ)বলেছেন, মাহরামকে সঙ্গে না নিয়ে কোনো নারী তিন দিন দূরত্বের পথে সফর করবে না। তাখরিজ: সহীহ বুখারী, হাদীস ১০৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৩৮
প্রশ্ন: খ। ফিকহি মালিকি এবং শাফিয়ির দলিল কি?
উত্তর: খ। ফিকহি মালিকি এবং শাফিয়ির দলিল নিম্নরূপ:
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَكَمِ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، أَخْبَرَنَا سَعْدٌ الطَّائِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحِلُّ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَشَكَا إِلَيْهِ الْفَاقَةَ، ثُمَّ أَتَاهُ آخَرُ، فَشَكَا قَطْعَ السَّبِيلِ. فَقَالَ " يَا عَدِيُّ هَلْ رَأَيْتَ الْحِيرَةَ ". قُلْتُ لَمْ أَرَهَا وَقَدْ أُنْبِئْتُ عَنْهَا. قَالَ " فَإِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ، حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ، لاَ تَخَافُ أَحَدًا إِلاَّ اللَّهَ "
মুহাম্মাদ ইবনুল হাকাম (রাহঃ) ... আদি ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর মজলিসে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে দুর্ভিক্ষের অভিযোগ করল। তারপর আর এক ব্যক্তি এসে ডাকাতের উৎপাতের কথা বলে অনুযোগ করল। নবী (ﷺ) বললেন, হে আদী, তুমি কি হীরা নামক স্থানটি দেখেছ? আমি বললাম, দেখি নাই, তবে স্থানটি আমার জানা আছে। তিনি বললেন, তুমি যদি দীর্ঘজীবি হও তবে দেখতে পাবে একজন উট সওয়ার হাওদানশীল মহিলা হীরা থেকে রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ শরীফে তাওয়াফ করে যাবে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করবেন না। আমি মনে মনে বলতে লাগলাম তাঈ গোত্রের ডাকাতগুলো কোথায় থাকবে যারা ফিত। তাখরিজ: বুখারি-৩৫৯৫
নোট: হাদিসটির অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন: গ। পরস্পর বিরোধী হাদিসদ্বয়ের সমন্বয় কি?
উত্তর: গ। আমরা দেখতে পেলাম, এক হাদিসে বলা হয়েছে
لَا تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ ثَلَاثًا، إِلّا وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ.
মাহরামকে সঙ্গে না নিয়ে কোনো নারী তিন দিন দূরত্বের পথে সফর করবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১০৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৩৮
অপর হাদিসে বলা হয়েছে,
"তুমি যদি দীর্ঘজীবি হও তবে দেখতে পাবে একজন উট সওয়ার হাওদানশীল মহিলা হীরা থেকে রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ শরীফে তাওয়াফ করে যাবে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করবেন না। বুখারি-৩৫৯৫
এ দুটি হাদিসের মধ্যে সমন্বয় হলো উক্ত মহিলা যে হীরা থেকে কাবা শরীফ তাওয়াফ করবে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করবে না। এটি রুপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইনসাফ, নিরাপত্তা সর্বাঙ্গে সর্বোচ্চ থাকবে সেই যুগে।
রূপক অর্থ না ধরলে প্রথম হাদিস বাতিল হয়ে যায়।
যেমন, প্রসিদ্ধ আছে,
روي أن الذئاب لم يسجل ضدها - باللفظ العصري - اي اعتداء على الغنم في عهد عمر بن عبدالعزيز رحمه الله تعالى ورضي عنه، بل كانت الذئاب تمشي الى جنب الغنم وكأنهما قطيع واحد، وذلك في جميع ولايات المسلمين التي كان عمر بن عبدالعزيز يحكمها.
সারমর্ম: যে এই যুগে নেকড়েরা আর ভেড়া শিকার করে না। ওমর ইবনে আজিজ রহ. যুগের কথা বলা হয়, বাঘ ও ভেড়া/ মহিষ এক ঘাটে পানি পান করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো, তার জামানায় ইনসাফ পূর্ণমাত্রায় ছিল। সূত্র: আরশিফু মুলতাকি আহলিল হাদিস -২, ৪১/১৯১ পৃষ্ঠা.
প্রশ্ন: ঘ। সৌদি আরবের হজ হজ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নারীদের মাহরাম বিষয়ে শিথিল প্রসঙ্গে?
উত্তর: ঘ। আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন, সৌদি সরকার নারীদের ক্ষেত্রে মাহরামের বিষয়টি নাকি শিথিল করেছে। সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন ও সংযোজন করা হয়েছে। যেমন,
মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম মনীষীদের কঠোর সমালোচনার পর সৌদি আরব এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত পারিরর্তন করেছে। খবর আরব নিউজের।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ কমিটির সদস্য সাঈদ বাগাশওয়ান মিসরের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুরুষ অভিভাবক বা 'মাহরাম' ছাড়া নারীদের হজ বা ওমরাহ পালনের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে।
এখন থেকে ৪৫ বছর বা ততোর্ধ্ব বয়সি নারীরাই কেবল পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজ করতে পারবেন। এর চেয়ে কম বয়সি নারী ও তরুণীদের অবশ্যই মাহরাম নিয়ে হজে আসতে হবে। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ২ এপ্রিল ২০২২
وفرَّق الإمام أحمد في رواية بين الشابة والعجوز، قال المروزي : وسئل عن امرأة عجوز كبيرة ليس لها محرم، ووجدت قوماً صالحين؟ قال: إن تولت هي النزول والركوب، ولم
সৌদির আরবের ওলামায়ে কেরাম সাধারণত হাম্বলি মাজহাবের অনুসারী। ফিকহি হাম্বলিসহ অন্যদের মতেও বৃদ্ধা মহিলাদের পর্দা রুখছত রয়েছে। যদিও ৪৫ বছর বয়সকে বৃদ্ধা বলা যায় না। সূত্র: আকওয়ালুল ওলামা ফি হজ্জিল মারয়াতি বিদুনিল মাহরাম, ফতোয়া নং-১৪৭৯৮
প্রশ্ন: ঙ। এ বিষয়ে শায়েখ বাজ রহ এর ফতোয়া কি?
উত্তর: ঙ। এ সম্পর্কে শায়েখকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
لسؤال: فهنا سؤال يسأله أحد الإخوة المستمعين ويقول: حدثونا عن حكم امرأة حجت بدون محرم لكنها مع مجموعة من النساء؟
الجواب: حجها صحيح وعليها التوبة إلى الله سبحانه؛ لأن الله جل وعلا منعها على لسان نبيه ﷺ من الحج إلا بمحرم، يقول النبي ﷺ: لا تسافر المرأة إلا مع ذي محرم والله يقول: مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ [النساء:80] ويقول سبحانه: وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى [النجم:1-2] صاحبنا هو محمد ﷺ، مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى [النجم:2-4] .
فعلينا أن نسمع ونطيع لما وجهنا إليه عليه الصلاة والسلام، وقد قال عليه الصلاة والسلام: لا تسافر المرأة إلا مع ذي محرم ولو كان معها نساء، لكن تصح الحجة، حجها صحيح وعليها التوبة والاستغفار.
অর্থাৎ কোন নারী যদি মাহরাম ছাড়া হজ সম্পাদান করে, তবে তার হজ সহিহ তথা আদায় হবে কিন্তু তার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে তওবা করা আশব্যক। কেননা আল্লাহ তাআলা তার নবির জবানে নিষেধ করেছেন। নবি (ﷺ) বলেছেন, নারীর জন্য মাহরাম ছাড়া কোন সফর নেই। আর যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করলো, সে মূলত আল্লাহর আনুগত্য করলো। সূরা নিসা-৮০. সূত্র: তাতবিকুল মাউসুআতিল ফাতওয়ায়িল বাজিয়া, শায়েখ ইবনে বাজ রহ. এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত
সারকথা হলো, বিষয়টি এমন না যে নিরাপত্তার ভয় থাকলে মাহরাম ছাড়া সফর করা জায়েজ নেই। আর যদি নিরাপত্তা পরিপূর্ণ বজায় থাকে, বদনামের কোনো ভয় না থাকে, তা হলে মাহরাম ছাড়া সফর করা জায়েজ আছে। বিষয়টি কখনই এমন না। সূত্র: আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৪-৩১৫; আদদুররুল মুখতার ২/৪৬৪-৪৬৫; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী পৃ. ৭৬ ও ৭৮; গুনয়াতুন নাসিক পৃষ্ঠা ২৬-২৭ ও ২৯; ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৫৬; বাদায়েস সানায়ে ২/১২৩
শেষ কথা হলো, সার্বিক বিবেচনায়, দলিলের মজবুতি, বর্তমান ফেতনার জামানায় মাহরাম ছাড়া হজ করা বাঞ্চনীয় নয়। ফুকাহায়ে আহনাফ ও হাম্বলি অধিক যুক্তিযুক্ত। কেননা খোদ রাসূল (ﷺ) এর সহধর্মিনীগণ তার সাথে হজ/ওমরা করেছেন (তাছাড়া খয়রুন কুরুনে কেউ মাহরাম ছাড়া হজ করেছেন, এ রকম কোন দলিল নেই)। দলিল:
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، - عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، - رضى الله عنه - أَنَّهُ قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَجٍّ مُفْرَدٍ وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ - قَالَ - فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا قَالَ " الْحِلُّ كُلُّهُ " . فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ " مَا شَانُكِ " . قَالَتْ شَانِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَ
অর্থ: কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ (রহঃ) লায়স (রহঃ) থেকে ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইফরাদ হাজ্জের (হজ্জ) ইহরাম বেঁধে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)এর সঙ্গে (মক্কার দিকে) অগ্রসর হলাম আর আয়িশা (রাঃ) উমরার ইহরাম বেঁধে আসলেন। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আয়িশা (রাঃ)-এর মাসিক ঋতু শুরু হল। অবশেষে আমরা মক্কায় পৌছে কাবা ঘর তাওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করলাম। আমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না রাসুলুল্লাহ (ﷺ)তাদের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, কি প্রকারে ইহরাম খোলা হবে? তাখরিজ: মুসলিম -২৮০৮
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক