আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আমল ও দুআ-৮৫: ইয়া আল্লাহ! আমি দুর্বল। আপনার রেযামন্দির বিষয়ে শক্তিতে পরিণত করুন আমার দুর্বলতাকে। আমাকে ঝুটি ধরে কল্যাণের দিকে আকর্ষণ করুন।

No Comments

 



দু‘আ-৮৫:

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ضَعِيْفٌ فَقَوِّ فِيْ رِضَاكَ ضُعْفِيْ ، وَخُذْ إِلَى الْخَيْرِ بِنَاصِيَتِىْ، وَاجْعَلِ الْإِسْلَامَ مُنْتَهٰى رِضَآئِـيْ، وَإِنِّيْ ذَلِيْلٌ فَأَعِزَّنِىْ، وَإِنِّيْ فَقِيْرٌ فَارْزُقْنِيْ . 

ইয়া আল্লাহ! আমি দুর্বল। আপনার রেযামন্দির বিষয়ে শক্তিতে পরিণত করুন আমার দুর্বলতাকে। আমাকে ঝুটি ধরে কল্যাণের দিকে আকর্ষণ করুন। ইসলামকেই আমার পরম সন্তুষ্টির বিষয় করুন। আমি তো হীন, আমাকে মর্যাদা দিন। আমি তো ভিখারী, আমাকে রিযিক দিন। তাখরিজ: মুসতাদরাক-১৯৭৪



মতন/মূল হাদিস:

عن أبي داود الأودي ، عن بريدة الأسلمي قال : قال لي رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " قل اللهم إني ضعيف فقو في رضاك ضعفي ، وخذ لي الخير بناصيتي ، واجعل الإسلام منتهى رضائي ، اللهم إني ضعيف فقوني ، وإني ذليل فأعزني ، وإني فقير فارزقني " . " هذا حديث صحيح الإسناد ، ولم يخرجاه "


ফায়দা: আবদিয়াত প্রকাশের এর চেয়ে উৎকৃষ্ট ভাষা আর কী হতে পারে?

জিজ্ঞাসা-১৮৯: মসজিদের মেম্বার কি ইট সিমেন্ট বালি দ্বারা তৈরি করা জায়েজ?

No Comments

 



 








জিজ্ঞাসা-৮৯:

   মসজিদের মেম্বার কি ইট সিমেন্ট বালি দ্বারা তৈরি করা জায়েজ?  ২। মসজিদের মিনার দেওয়া জায়েজ কিনা কারন অনেকে বলেন যে রাসুল সাল্লামের যুগে মসজিদের মিনার ছিল না। তারিখ-৫/৬/২২ ইংরেজি 

 

 সাইফুল ইসলাম ত্রিশাল মোমেনশাহি থেকে--

 

জবাব সম্মানিত শায়েখ।  আপনি দুটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। ইনশাল্লাহ তার জবাব নিম্নে দেওয়া হলো।

ونسأل الله التوفيق وهو الموفق والمعين

 

প্রশ্ন:     মসজিদের মেম্বার কি ইট সিমেন্ট বালি দ্বারা তৈরি করা জায়েজ? 

উত্তর:  । হ্যাঁ জায়েজ।  আমাদের আহলে হাদিস ভাইয়েরা এটাকে বিদআত বলতে চায়/নাজায়েজ মনে করে। তাদের দলিল 

 

فَعَمِلَ هَذِهِ الثَّلاَثَ الدَّرَجَاتِ مِنْ طَرْفَاءِ الْغَابَةِ  অর্থঅতঃপর সে গাবার ঝাউ গাছ থেকে তিন স্তর বিশিষ্ট মিম্বর তৈরি করেছিল। ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৫২১ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪পৃঃ ১০২


 এ দ্বারা প্রমাণ হয় রাসূল () এর মিম্বার ছিল কাঠের।  এখন প্রশ্ন হলোরসূলের যুগে না থাকলেই কি বিদআত।  আসুন এখন তাদের মুখেই বিদআতের সংজ্ঞা জানি।


বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবেযে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই।  (সংজ্ঞাটি দিয়েছেন আহলে হাদিসের অন্যতম আলেম জবাব আব্দুল হামিদ ফাইযী সাহেব)আবদুল হামীদ ফাইযী 

 

রাসূল (বলেছেন-

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ

যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করল যা মূলত তার অন্তর্ভুক্ত নয়তা অগ্রাহ্য। সহিহ বুখারিহাদিস: ২৫০১

 

 অর্থা্ৎ রাসূল (এর  মিম্বরটি ইট-বালি-সিমেন্ট ও টাইলস দ্বারা মিম্বর তৈরি ছিল না    কোনো ব্যক্তিই  মিম্বরটি পাকা হওয়া ইবাদত বা দ্বীনের কোনো বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত মনে করে না।

 

কাজেই উক্ত ব্যক্তির দাবিটি একটি ভিত্তিহীন দাবি। সুতরাং মিম্বরটি ইট-বালি-সিমেন্ট ও টাইলস তৈরি করতে  শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই।

 

যদি তাই হয়তাহলে কয়েক প্রশ্নের জবাব দিন।

 

(রাসূল (এর  যুগে মাইকে আজান দেওয়া হয়নিঅথচ সারা দুনিয়ায় মাইকে  আজান হচ্ছে। আপনি কি মসজিদের মাইকে/সাউন্ড বক্সে নামাজ পড়ান না? 

(রাসূল (এর  গাছের ডাল দ্বারা মেসওয়াক করতেনএখন  যে আপনি ব্রাশ ব্যবহার করেনএটা কি বিদআত?

(আপনি যে বুখারি/সিয়া সিত্তার দলিল দেনরাসূল (এর  যুগে কি বুখারি ছিল তাহলে বুখারি কি বিদআত?

(আমরা যে দামি জায়নামাজে নামাজ আদায় করিরাসূল (জায়নামাজে নামাজ আদায় করেছেন?

 

প্রশ্ন:  । মসজিদের মিনার দেওয়া জায়েজ কিনা কারন অনেকে বলেন যে রাসুল সাল্লামের যুগে মসজিদের মিনার ছিল না


উত্তর  কথা ঠিক রাসূল (এর যুগে মদিনায় মিনারের ব্যবহার ছিল না। সে সময় ছাদের ওপর থেকে আজান দেওয়া হতো। রাসুল (সা.)-এর ওফাতের পর মিনারের ব্যবহার শুরু হয়।

 তবে ইসলামের প্রথম যুগে মিনার ছিল নাএ কথা অকাট্যভাবে বলা যাবে না। তবে হ্যাঁরাসুলুল্লাহ  (এর যুগে মিনার সংস্কৃতি না থাকলেও সাহাবায়ে কিরামের যুগে সেটি ছিল। এ বিষয়ে মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা নামক হাদিস গ্রন্থে প্রমাণ পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ বিন শাকিক (রহ.) বলেনসুন্নত হলোআজান মিনারে হবে এবং ইকামত মসজিদে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এভাবেই আমল করতেন । মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহাদিস : ৩৪৫

 

অনুরূপভাবে ইমাম আহমদ (রহ.) মুসনাদ আহমাদ নামক গ্রন্থে বিশুদ্ধ সূত্রে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এ বিষয়ে একটি বর্ণনা এনেছেন। বরং এ বিষয়ে কয়েকটি হাদিসের কিতাবে আলাদা অধ্যায় আনা হয়েছে। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) সুনানে আবু দাউদে এ বিষয়ে একটি অধ্যায় এনেছেন। এর শিরোনাম হলোবাবুল আযান ফাওকাল মানারাতি (মিনারের ওপর আজান দেওয়া অধ্যায়)।  ইমাম বায়হাকি (রহ.) তাঁর গ্রন্থে এ বিষয়ে আল-আযান ফিল মানারাহ শিরোনামে একটি অধ্যায় এনেছেন।

 

আরব-অনারবের ইসলামিক স্কলাররা এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন যে আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে উঁচু মিনার তৈরি করা যাবে। কারণ এতে দূরবর্তী লোকদের আজান শোনানো সহজ হয়। আর আজানের স্বর যত উচ্চ হয়ততই উত্তম।  সূত্রআবু দাউদহাদিস : ৪৯৯ইবনু কুদামাআল-মুগনি ১/৩০৮

 

তবে মধ্যযুগে তুর্কি শাসকরা খ্রিস্টানদের ক্রুশের বিপরীতে ইসলামী নিদর্শন হিসেবে চাঁদ-তারা নির্বাচন করেছিলেন এবং এটি তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আধুনিক যুগে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র ও ইসলামী সংস্থাগুলো তাদের পতাকায় ক্রুশের বিপরীতে ইসলামী নিদর্শন হিসেবে চিহ্নটি ব্যবহার করে থাকে। এতে উলামায়ে কিরাম কোনো আপত্তি করেননি। কেননা রাসূল ( বলেন, ‘তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বিরোধিতা করো। সহিহ ইবনে হিব্বানহাদিস : ২১৮৬

তবে কতিপয় বিদ্বান কাফিরদের সাদৃশ্য অবলম্বনের সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকতে এমন চিহ্ন ব্যবহার না করাই উত্তম বলে মত প্রকাশ করেছেন। ফাতাওয়া উসাইমিনমাজমুউল ফাতাওয়া ১৬/১৭৮

 

   

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিচ্ছেন, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক 

আমল ও দুআ-৮৪: নির্মল জীবন, নিখুঁত মরণ এবং লজ্জা ও লাঞ্ছনামুক্ত প্রত্যাবর্তনের প্রার্থনা

No Comments

 












দু‘আ-৮৪

اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَسْأَلُكَ عِيْشَةً نَّقِيَّةً وَّمِيْتَةً سَوِيَّةً، وَمَرَدًّا غَيْرَ مَخْزِيٍّ وَّلَا فَاضِحٍ.

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি, নির্মল জীবন, নিখুঁত মরণ এবং লজ্জা ও লাঞ্ছনামুক্ত প্রত্যাবর্তন। তাখরিজ: মুজামুল কাবির-১৪২৮৮; হাকেম-১/৫৪১



মতন/মূল হাদিস:

عن ابن مسعودٍ رضي الله عنه قال: كان دعاءُ النبيِّ صلى الله عليه وسلم في العيدين: ((اللهم إنا نسألك عيشةً تقيَّة، ومِيتةً سويَّة، ومَردًّا غيرَ مُخزٍ ولا فاضح،


ফায়দা:

  জীবন যেন হয় কলুষমুক্ত, মৃত্যু যেন হয় আলোকপূর্ণ আর আখেরাতে যেন মুক্ত থাকি সব রকমের লাঞ্ছনা থেকে।

স্মার্টফোন ভালো রাখার ৫ কার্যকরী পরামর্শ

No Comments

 



স্মার্টফোন ভালো রাখার ৫ কার্যকরী পরামর্শ


কেউ থাকুক আর না থাকুক প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে আছে স্মার্টফোন। হাত থেকে ফোন মাটিতে পড়ে স্ক্রিন না ভাঙা পর্যন্ত আফসোস হয় না! কিন্তু এভাবে অবহেলা করতে করতে সময়ের আগেই অকেজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে স্মার্টফোনের। আর ফোন ধীর গতির হলে প্রধান করণীয় হলো মেমোরি ফাঁকা করা। দরকার পড়ে না, কিংবা কম ব্যবহার করা হয় এমন সব অ্যাপ আনইনস্টল করে ফেলুন। মুঠোফোনে রাখা শত শত ছবি কম্পিউটারে নামিয়ে রাখুন। পাশাপাশি খেয়াল রাখুন কয়েকটি বিষয়। আর সেসব তথ্য জেনে নিন- 


দীর্ঘ সময় চার্জ নয় : ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাসে বড় ক্ষতি হয় ফোনের। সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ফোন চার্জে রেখে দিলে ব্যাটারি ফুলে যায় এবং খুব দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ২০ শতাংশের নিচে আসলে চার্জ দিতে হবে এবং ৯৯ শতাংশ হলে চার্জ থেকে খুলে ফেলতে হবে। সঙ্গে কাজের মধ্যে হারিয়ে না গিয়ে মনে রাখতে হবে যে ফোন চার্জে দেওয়া হয়েছে।


ফোনে কভার ব্যবহার করা : কভার ব্যবহার না করলে ফোনের নানা ক্ষতি হয়। যেমন- ফোনে পানি ঢুকে যায়, ফোনের বিভিন্ন পোর্টে ধুলাবালি ঢুকে, পড়ে গেলে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শুধু দেখাতে ভালো লাগার জন্য নয়, ফোনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কভার ব্যবহার করতে হবে।


স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার : স্ক্রিন প্রটেক্টর হলো ফোনের স্ক্রিনের ওপর আরেকটি স্ক্রিন বসিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কারণ ফোনের মূল স্ক্রিন অনেক নাজুক হয়। পড়ে গেলে কিংবা চাপ লাগলেই ভেঙে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়, প্রটেক্টরের প্রয়োজনীয়তা নেই কিন্তু আসলে এটি ছাড়া ফোন যখন-তখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


নিয়মিত পরিষ্কার : ফোন আবার কীভাবে পরিষ্কার করে এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। কিন্তু বাহ্যিক দিক দিয়ে হোক কিংবা ভিতরে হোক, ময়লা জমে। কভার ব্যবহার করলেও ফোনের ভিতরে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ঢুকে জমে থাকে। এভাবে ময়লা জমে ফোন নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে ফোন পরিষ্কার করতে হবে। শুকনা ব্রাশ কিংবা কটনবার্ড দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন স্মার্টফোন। ভুলেও পানি দিয়ে তথা ভেজা কাপড় দিয়ে ফোন পরিষ্কার করবেন না।


রোদে ফোন না রাখা : ফোনকে শুধু পানি নয়, রোদ থেকেও সুরক্ষা দিতে হয়। যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গরম হয়ে যায় এবং বিস্ফোরণ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই রোদের মধ্যে ফোন রাখা এবং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের ফোনটি যেখানে সেখানে ছুড়ে না মেরে, যেভাবে-সেভাবে রেখে না দিয়ে আলতো হাতে ব্যবহার করুন। সঙ্গে ওপরের কাজগুলো মেনে চলুন। তাহলেই একটি স্মার্টফোন কিনে ব্যবহার করতে পারবেন দীর্ঘদিন।

সূত্র: 

কেএল/ আওয়ার ইসলাম 

জিজ্ঞাসা-১৭৮: আকিকার ক্ষেত্রে অষ্টম বা নবম দিনে আকিকার পশু জবাই করলে আকিকা আদায়ের ক্ষেত্রে মাসয়ালাগত কোন সমস‍্যা আছে কিনা?

No Comments

 












জিজ্ঞাসা-১৭৮: সাত দিনে আকিকার ক্ষেত্রে অষ্টম বা নবম দিনে আকিকার পশু জবাই করলে আকিকা আদায়ের ক্ষেত্রে মাসয়ালাগত কোন সমস‍্যা আছে কিনা জানালে কৃতজ্ঞ হবো।


মাওলানা আশরাফুর ইসলাম, বরিশাল থেকে----


উত্তর: সন্তানের জন্য আকিকা দেওয়া ওলামায়ে আহনাফের নিকট মুস্তাহাব। দলিল: 


রসূল (ﷺ) বলেছেন,

যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে। আহমাদ ও আবু দাউদ


প্রশ্ন: ক। কোন দিনে করবে/কোন আকিকা দেওয়া উত্তম?


উত্তর: ক। আকিকা শিশুর সপ্তম দিনে করাই উত্তম। দলিল:


সুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

الْغُلاَمُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ يُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ

প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। তিরমিযী ১৫২২

রাসুলুল্লাহ (সা.) তার দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪


প্রশ্ন: খ। সপ্তম দিনে না পারলে আকিকা দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: খ। হ্যাঁ, সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা যাবে। দলিল:

 উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৬৯

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে। আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭


প্রশ্ন: গ। ৭,১৪,২১ তম দিনেই আকিকা না পরে দেওয়া যাবে কি?


উত্তর: গ। হ্যাঁ, উলেলেখিত দিনে করতে পারলে জীবনে যেকোন সময় করলেও হবে। প্রসঙ্গত, সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে। দলিল:


হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পর নিজের আকিকা নিজে করেছেন।’ বায়হাকি,আকিকা অধ্যায়


যেমন ইমাম নববী রহ. বলেন,

وَالسُّنَّةُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ السَّابِعِ فَإِنْ قَدَّمَهُ عَلَى الْيَوْمِ السَّابِعِ أَوْ أَخَّرَهُ أَجْزَأَهُ

সুন্নত হল, সপ্তম দিনে হওয়া। যদি সপ্তম দিনের আগে কিংবা পরে করে তাহলেও যথেষ্ট হবে। আল মাজমু ৮/৪২৭


আপনার বর্ণিত ছুরতে করলে কোন নাজায়েজ হবে না, তবে যেহেতু ১৪তম দিনের করার কথা হাদিসে এসেছে, তাই ৮ম, ৯ম তম না দিয়ে সেই দিলে উত্তম হবে।


والله اعلم بالصواب

আল্লাহ তাআলাই সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

উত্তর দিচ্ছেন, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক 

আমল ও দুআ-৮৩: আপনি যা দান করেছেন তাতে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং আমার জন্য তাতে বরকত রাখুন।

No Comments

 











আমল ও দুআ-৮৩: আপনি যা দান করেছেন তাতে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং আমার জন্য তাতে বরকত রাখুন।


اَللّٰهُمَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ وَاخْلُفْ عَلٰى كُلِّ غَآئِبَةٍ لِّيْ بِخَيْرٍ.

ইয়া আল্লাহ! আপনি যা দান করেছেন তাতে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং আমার জন্য তাতে বরকত রাখুন। আর যা আমার দৃষ্টির বাইরে তাতে কল্যাণের সাথে আমার রক্ষক হোন। তাখরিজ: আদাবুল মুফরাদ -৬৮১;মুসতাদরাক


মতন/মূল হাদিস:

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ نُصَيْرِ بْنِ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدٍ قَالَ‏:‏ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ‏:‏ اللَّهُمَّ قَنَّعْنِي بِمَا رَزَقْتَنِي، وَبَارِكْ لِي فِيهِ، وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ بِخَيْرٍ‏.‏

 

ফায়দা: সম্পদ ও প্রাচুর্যের প্রার্থনা তো অনেক আছে, কিন্তু তুষ্টির সম্পদ ও বরকতরূপ নেয়ামতের কথা তো এই শ্রেষ্ঠ প্রাজ্ঞ ও সূক্ষ্মদর্শী ইনসানই চিন্তা করতে পারে। জগতের সকল অনাচার ও মানবের সকল অস্থিরতার সবচেয়ে কার্যকর দাওয়াই তো এটিই। সবাই তো অতৃপ্তির এই মোহজালেই আবদ্ধ যে, যতটুকু পেলাম তার চেয়ে বেশি কেন পেলাম না। অথচ প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, বেশি পেলেও তৃষ্ণা নিবারিত হয় না। আয় যত বাড়ে ব্যয়ও সে অনুপাতে বাড়তে থাকে। সুতরাং সম্পদ বৃদ্ধির প্রত্যাশার স্থলে এ প্রার্থনা কেন করি না যে, যতটুকু পাচ্ছি, তাতেই যেন মন তুষ্ট ও সন্তুষ্ট হয়ে যায়।

এ ব্যবস্থা একবার পরীক্ষা করা হোক; দুনিয়াভর আজ যে ‘নাফসী নাফসী’ তা অর্ধেকেরও বেশি অবশ্যই দূর হবে।

বান্দা আরজ করছে, আমি অন্ধের তো গায়েব-জগতের কিছুই জানা নেই, সবকিছুর সূক্ষ্ম ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল তো শুধু আপনারই জানা, সুতরাং আপনিই পারেন কল্যাণের সাথে আমার তত্ত্বাবধান করতে।

জিজ্ঞাসা -১২৮২৭: মনে মনে মান্নত করলে, তা আদায় করা কি জরুরি?

No Comments

 











জিজ্ঞাসা-১২৮২৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। জনার বিষয় হলো আমার জমাই অসুস্থ হওয়ার পর৷ মনে মনে নিয়ত করেছে জানের বদলে জান কুরবানী করবে। একই নিয়্যত তার বাবাও করেছে। এখন কয়টি কুরবানী করতে হবে। জানালে উপকৃত হব।

তারিখ:  ০৫/১১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  ইসমাইল হেলালী নোয়াখালী   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, মনে মনে মান্নত করলে মান্নত হয় না। মান্নত হবার জন্য মুখে উচ্চারণ করা জরুরী। দলিল:


النذر لا تكفى أيجابه النية بل لابد من التلفظ به (الأشباه والنظائر-89)

অর্থাৎ মনে মনে করার  অভিপ্রায় থাকার জন্য মান্নত যথেষ্ট নয়, তবে এটি অবশ্যই মুখে উচ্চারণ করতে হবে। সূত্র: আল-আশবাহু ওয়ান নাজায়ির -৮৯ পৃষ্ঠা


আর জামাইয়ের বাবাও যদি মনে মনে নিয়ত করে থাকে, তাহলে উনারো কুরবানি করা আবশ্যক নয়।

তবে যদি আপনার বিয়াই মুখে বলে থাকে, তাহলে এ পশু কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। দলিল:


Surah Al-Insan, Verse 7:

يُوفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا

তারা মান্নত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে, যেদিনের অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী। সূরা ইনসান-০৭


6696 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ المَلِكِ، عَنِ القَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيعَ اللَّهَ فَلْيُطِعْهُ، وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَهُ فَلاَ يَعْصِهِ»

 আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এরূপ মান্নত করে যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করবে, তাহলে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে এরূপ মান্নত করে যে, সে আল্লাহর নাফরমানী করবে, তাহলে সে যেন তার নাফরমানী না করে।

—সহীহ বুখারী, আন্তর্জাতিক নং ৬৬৯৬)


সারকথা হলো,  আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক জামাইয়ের মান্নত পুরো করা জরুরি নয় এবং বিয়াই এর থেকে শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।



  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮২৬: চোগলখোর বানডাকা ছাগির ন্যায় এ বিষয়ে হাদিসের রেফারেন্স?

No Comments

 











জিজ্ঞাসা-১২৮২৬: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। চোগলখোর বানডাকা ছাগির ন্যায় এ বিষয়ের হাদিসটি দরকার।

তারিখ:  ০২/১১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 হাফেজ মাওলানা  মাসুম বিল্লাহ নারায়ণগঞ্জ থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক হাদিসটি নিম্নরূপ হতে পারে:

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : مَثَلُ الْمُنَافِقِ كَمَثَلِ الشَّاةِ الْعَائِرَةِ بَيْنَ الْغَنَمَيْنِ تَعِيرُ إِلى هذِه مَرَّةً وَإِلى هذِه مَرَّةً. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুনাফিকের উপমা ঐ বকরীর ন্যায়, যা দুই পালের মাঝে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরতে থাকে। একবার এ দিকে আবার ঐ দিকে। তাখরিজ: মুসলিম-২৭৮৪

নোট: হাদিসটিতে মুনাফিক এর কথা বলা হয়েছে, চোগলখোর নয়। রূপক অর্থে চোগলখোর অর্থ হতে পারে।

  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮২৫: শেষ বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে,আরও দুই রাকাত আদায় করে সাহু সিজদা দিলে নামাজ সহিহ হবে কি?

No Comments

 











জিজ্ঞাসা-১২৮২৫: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,  সম্মানিত মুফতি সাহেব মাসয়ালাটার সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন। 


*** ইমাম সাহেব মাগরিবের নামাজে আখেরি বৈঠক না করে দাড়িয়ে গিয়েছেন লোকমা শুনার পরেও ফিরে আসেন নি,তিনি দুই রাকাত অতিরিক্ত পড়ে সাহু সিজদা দিয়েছেন, এতে নামাজ সহিহ হবে কিনা?

তারিখ:  ০২/১১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন কুমিল্লা   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, লোকমা দেওয়ার পর ইমামের ফিরে আসা উচিত/জরুরি ছিল এবং সাহু সিজদা দিলেই নামাজ আদায় হয়ে যেত। 

আপনার প্রশ্নের বর্ণিত আলোকে নামাজটি সহিহ হয়নি, বাতিল হয়ে গেছে। সবাইকে আবার আদায় করতে হবে। 

কেননা আখেরি বৈঠক ফরজ, এটা না করলে নামাজ বাতিল। দলিল:

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ أَخَذَ بِيَدِهِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ " إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ " .

আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়েলী, যুহায়ের, তিনি হাসান ইবনুল হুর, তিনি কাসিম ইবনে্ মুখায়মারা হতে এই হাদীসটি বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, একদা আলকামা (রাহঃ) আমার হস্ত ধারণ করে বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) একদা আমার হাত ধরে বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) নামাযের মধ্যে তাশাহুহুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অতঃপর তিনি আ’মাশের উপরোক্ত হাদীসের মধ্যে উল্লিখিত দুআটি শিক্ষা দেন।

অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দুআ (দুআ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দণ্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৭০ (আন্তর্জাতিক নং ৯৭০)

নোট: আখেরি ফরজ এ হাদিসকে ফুকাহায়ে কেরাম দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।


إن الجلوس مقدار التشهد فرض، وليس التشهد ولا السلام بواجب فرضا. قاله أبو حنيفة وأصحابه وجماعة من الكوفيين

অর্থাৎ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ সময় বসা ফরজ। তাশাহুদ পাঠ করা ফরজ নয়। এটা ইমাম আবু হানিফা, তার অনুচর ও কুফার ফকিহদের মতামত। সূত্র: আলজামেউল আহকামুল কুরআন -১/১৭৪; ইমাম কুরতুবি রহ.

উল্লেখ্য যে, ইমাম যদি শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর দাঁড়িয়ে যায় এবং আরও দুই রাকাত অতিরিক্ত সালাত আদায় করে সাহু সিজদা করে সালাত শেষ করে, তাহলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে, অতিরিক্তটি নফল হিসেবে গণ্য হবে।

সারকথা হলো,  নামাজের কোনো ফরজ বাদ পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামাজ সহিহ হয় না। [আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫০৫) ফাতাওয়া শামি, ১ : ৪৪৭, হিদায়া, ১ : ৯৮]



  والله اعلم بالصواب


Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর