জিজ্ঞাসা-১২৮০৫:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সম্মানিত মুফতি সাহেবের কাছে জানতে চাই এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করলে আশি হুব্বা দোজখে থাকতে হবে এই বিষয়ে শরয়ী বিধান কি?
তারিখ: ১৫/১০/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা নেছার উদ্দিন শেরপুর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণিত কথাটির হাদিস শরিফ হলো নিম্নরূপ:
قَالَ النَّبِىُّ مَنَ تَرَكَ صَلاَةً حَتىَّ مَضَى وَقْتُهَا ثُمَّ قَضَى عُذِّبَ فِى النَّارِ حُقْبًا وَالْحُقْبُ ثَمَانُوْنَ سَنَةً كُلُّ سَنَةٍ ثَلاَثمائة وَسِتُّوْنَ يَوْمًا كُلُّ يَوْمٍ اَلْفُ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّوْنَ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কোন ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দেয় আর ইতিমধ্যে ঐ ছালাতের ওয়াক্ত পার হয়ে যায় এবং ছালাত আদায় করে নেয়, তবুও তাকে এক হুকবা জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে। এক হুকবা হল, ৮০ বছর। আর প্রত্যেক বছর ৩৬০ তিন। আর প্রত্যেক দিন এক হাযার বছরের সমান, যেভাবে তোমরা গণনা কর। উল্লেখ্য, উক্ত হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর হয়। সূত্র: তাফসিরে রুহুল বয়ান- ২য় খণ্ড; ২৭৪পৃষ্ঠা দারুল ফিকর,বৈরত; মাজালিসে আবরার-৩৯৮ পৃষ্ঠা
হাদিসের মান: হাদিসটির সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই অনেকে এটাকে জাল বলেছেন। যেমন,
شیخ احمد بن محمد الرومی الحنفی رحمہ اللہ (المتوفی:۱۰۴۳ھ) نے اپنی مشہور کتاب ’’مجالس الأبرار‘‘ میں بغیر سند وحوالہ کے صیغہ مجہول کے ساتھ یہ روایت ذکر فرمائی ہے:
অর্থাৎ শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আর-রূমী আল-হানাফী (রাহি.) স্বীয় প্রসিদ্ধতম গ্রন্থ "মাজালিসুল আবরার" কিতাবে সনদ ও উৎসগ্রন্থ উল্লেখ ব্যতীত অজ্ঞাত বর্ণনাবোধক শব্দের মাধ্যমে এই রিওয়াত উল্লেখ করেছেন। সূত্র: দারুল ইফতা , জামিয়াতুল উলূম আলইসলামিয়া, করাচি পাকিস্তান।
সারকথা হলো, নামাজ ইচ্ছা করে ত্যাগ কবিরা গুনাহ কোনো সন্দেহ নেই, তবে এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করলে আশি হুব্বা দোজখে থাকতে হবে , এ কথাটি সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
والله اعلم بالصواب