জিজ্ঞাসা-১২৮১১:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। As salamu alaikum
Muhtara. Hizra der bishoye quran sunnah aloke zante chai.
তারিখ: ১৮/১০/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
হাফেজ মাওলানা জামিউল ইসলাম, বগুড়া থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, ইসলামের দৃষ্টিতে তৃতীয় লিঙ্গ বলতে পুরুষ ও মহিলার বাইরে আলাদা কোন লিঙ্গ নেই। বরং ইসলামের হুকুম মতে তাদেরকে আকৃতি ও গঠন অনুযায়ী পুরুষ ও নারী শ্রেণীতে বিভক্ত করে সেই হিসেবে তাদের জন্য শরীয়তের হুকুম ফলো করতে হবে। দলিল:
হাদিস নং-০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا فَسَمِعَ مُخَنَّثًا وَهُوَ يَقُولُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ إِنْ يَفْتَحْ اللهُ الطَّائِفَ غَدًا دَلَلْتُكَ عَلَى امْرَأَةٍ تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْرِجُوهُ مِنْ بُيُوتِكُمْ
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ).... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) একদিন উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট আসেন। তিনি একজন খোজাকে বলতে শুনলেন যে, 'আব্দুল্লাহ ইবন আবু উমায়্যাকে উদ্দেশ্য করে বলছেঃ আগামী কাল যদি আল্লাহ তায়েফের বিজয় দান করেন, তা হলে আমি তোমাকে এমন একটি মহিলার সন্ধান দিব, যার আগমনের সময় তার দেহে চারটি ভাঁজ পড়ে এবং প্রস্থানের সময় আটটি ভাঁজ দেখা যায়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ একে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও।
—সুনানে ইবনে মাজা', হাদীস নং ১৯০২ (আন্তর্জাতিক নং ১৯০২)
হাদিস নং-০২
4324 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، سَمِعَ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّهَا أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدِي مُخَنَّثٌ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الطَّائِفَ غَدًا، فَعَلَيْكَ بِابْنَةِ غَيْلاَنَ، فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ، وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ، وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ يَدْخُلَنَّ هَؤُلاَءِ عَلَيْكُنَّ» قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ: وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: المُخَنَّثُ: هِيتٌ،
হুমাইদী (রাহঃ) .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমার কাছে এক হিজড়া ব্যক্তি বসা ছিল, এমন সময়ে নবী কারীম (ﷺ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি শুনলাম, সে (হিজড়া ব্যক্তি) আব্দুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়া (রাযিঃ)-কে বলছে, হে আব্দুল্লাহ! কি বলো, আগামীকাল যদি আল্লাহ্ তোমাদেরকে তায়েফের উপর বিজয় দান করেন তা হলে গায়লানের কন্যাকে অবশ্যই তুমি লুফে নেবে। কেননা সে (এতই স্থুলদেহ ও কোমল যে), সামনের দিকে আসার সময়ে তার পিঠে চারটি ভাঁজ পড়ে আবার পিঠ ফিরালে সেখানে আটটি ভাঁজ পড়ে। [উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন] তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেনঃ এদেরকে (হিজড়াদেরকে) তোমাদের কাছে প্রবেশ করতে দিও না। ইবনে উয়াইনা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, ইবনে জুরায়জ (রাযিঃ) বলেছেন, হিজড়া লোকটির নাম ছিলো হীত।
—সহীহ বুখারী, আন্তর্জাতিক নং ৪৩২৪
সারকথা হলো, হিজড়া বলতেই একভাবে দেখা যাবে না, তারা কেউ নারী এবং কেউ পুরুষ। আর যার ব্যাপারে কোনদিক চূড়ান্ত হবে না, তাকে “খুনসায়ে মুশকিল (দুর্বোধ্য হিজড়া)” বলে। তাদেরকে পুরুষ বা মহিলা উভয়শ্রেণীর সম্ভাবনাময় গণ্য করে তাদের সাথে সাধারণ পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
والله اعلم بالصواب