জিজ্ঞাসা-১৭৮: সাত দিনে আকিকার ক্ষেত্রে অষ্টম বা নবম দিনে আকিকার পশু জবাই করলে আকিকা আদায়ের ক্ষেত্রে মাসয়ালাগত কোন সমস্যা আছে কিনা জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
মাওলানা আশরাফুর ইসলাম, বরিশাল থেকে----
উত্তর: সন্তানের জন্য আকিকা দেওয়া ওলামায়ে আহনাফের নিকট মুস্তাহাব। দলিল:
রসূল (ﷺ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে। আহমাদ ও আবু দাউদ
প্রশ্ন: ক। কোন দিনে করবে/কোন আকিকা দেওয়া উত্তম?
উত্তর: ক। আকিকা শিশুর সপ্তম দিনে করাই উত্তম। দলিল:
সুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الْغُلاَمُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ يُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ
প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। তিরমিযী ১৫২২
রাসুলুল্লাহ (সা.) তার দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪
প্রশ্ন: খ। সপ্তম দিনে না পারলে আকিকা দেওয়া যাবে কি?
উত্তর: খ। হ্যাঁ, সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা যাবে। দলিল:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৬৯
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে। আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭
প্রশ্ন: গ। ৭,১৪,২১ তম দিনেই আকিকা না পরে দেওয়া যাবে কি?
উত্তর: গ। হ্যাঁ, উলেলেখিত দিনে করতে পারলে জীবনে যেকোন সময় করলেও হবে। প্রসঙ্গত, সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে। দলিল:
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পর নিজের আকিকা নিজে করেছেন।’ বায়হাকি,আকিকা অধ্যায়
যেমন ইমাম নববী রহ. বলেন,
وَالسُّنَّةُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ السَّابِعِ فَإِنْ قَدَّمَهُ عَلَى الْيَوْمِ السَّابِعِ أَوْ أَخَّرَهُ أَجْزَأَهُ
সুন্নত হল, সপ্তম দিনে হওয়া। যদি সপ্তম দিনের আগে কিংবা পরে করে তাহলেও যথেষ্ট হবে। আল মাজমু ৮/৪২৭
আপনার বর্ণিত ছুরতে করলে কোন নাজায়েজ হবে না, তবে যেহেতু ১৪তম দিনের করার কথা হাদিসে এসেছে, তাই ৮ম, ৯ম তম না দিয়ে সেই দিলে উত্তম হবে।
والله اعلم بالصواب
আল্লাহ তাআলাই সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
উত্তর দিচ্ছেন, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক