জিজ্ঞাসা-১২৮০৮:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
কাঁকড়া খাওয়ার ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তের বিধান কি?
তারিখ: ১৭/১০/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
কাঁকড়া খাওয়া জায়েজ নেই। কেননা মাছ ব্যতীত কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। দলিল:
হাদিস নং-০১
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ فَأَمَّا الْمَيْتَتَانِ فَالْحُوتُ وَالْجَرَادُ وَأَمَّا الدَّمَانِ فَالْكَبِدُ وَالطِّحَالُ " .
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের জন্য দুই প্রকারের মৃতজীব ও দুই ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু'টি হচ্ছে মাছ ও টিড্ডি এবং দুই প্রকারের রক্ত হচ্ছে কলিজা ও প্লীহা। সুনানে ইবনে মাজা', আন্তর্জাতিক নং ৩৩১৪
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
হাদিস নং -০২
انَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ ﷺ عَنْ قَتْلِهَا
অর্থাৎ, আব্দুর রহমান বিন উসমান রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। আবু দাউদ ৩৮৭১
অথচ ব্যাঙ জলজ প্রাণী! এই হাদিস থেকে ইশারাতুন নস দ্বারা প্রমাণিত হয়, কাঁকড়া খাওয়া জায়েজ নেই।
দ্বিতীয় কথা হলো,
পবিত্র কুরআনে পবিত্র/উৎকৃষ্ট জিনিস হালাল‘খাবায়েস’ বা নোংরাবস্তু খাওয়া হারাম করেছেন। দলিল-
আয়াত নং-০১
يَسْأَلُونَكَ مَاذَا أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَمَا عَلَّمْتُم مِّنَ الْجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ اللَّهُ فَكُلُوا مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে। সূরা মায়েদা-০৪
আয়াত নং-০২
وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ
‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘। সূরা আরাফ-১৫৭
তাফসির:
‘খাবায়েস’ বলা হয়,
، والأصل في المضار الحرمة ، فكان مقتضاه أن كل ما يستخبثه الطبع فالأصل فيه الحرمة
অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে। সূত্র: তাফসীরে কাবীর-২০ পৃষ্ঠা
সারকথা হলো, ইসলামি শরিয়ায় কাঁকড়া খাওয়া জায়েজ নেই।
والله اعلم بالصواب