আমল ও দুআ-৬৩: আমাকে মদদ দিন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে মদদ দিয়েন না।
رَبِّ أَعِنِّيْ وَلَا تُعِنْ عَلَيَّ، وَانْصُرْنِيْ وَلَا تَنْصُرْ عَلَيَّ، وَامْكُرْ لِيْ وَلَا تَمْكُرْ عَلَيَّ، وَاهْدِنِيْ وَيَسِّرِ الْهُدٰى لِيْ، وَانْصُرْنِيْ عَلٰى مَنْ بَغٰى عَلَيَّ.رَبِّ اجْعَلْنِيْ لَكَ ذَكَّارًا، لَكَ شَكَّارًا، لَكَ رَهَّابًا، لَكَ مِطْوَاعًا، لَكَ مُطِيْعًا، لَّكَ مُخْبِتًا، إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُّنِيْبًا. رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِيْ، وَاغْسِلْ حُوْبَتِيْ، وَأَجِبْ دَعْوَتِيْ، وَثَبِّتْ حُجَّتِيْ، وَسَدِّدْ لِسَانِيْ، وَاهْدِ قَلْبِيْ، وَاسْلُلْ سَخِيْمَةَ صَدْرِىْ.
পরওয়ারদেগার! আমাকে মদদ দিন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে মদদ দিয়েন না। আমাকে জয়ী করুন, আমার উপর অন্যকে জয়ী কোরেন না। আমার পক্ষে ব্যবস্থা নিন, আমার বিপক্ষে কারো ব্যবস্থা সফল কোরেন না। আমাকে হেদায়েত দিন এবং হেদায়েতকে আমার জন্য সহজ করুন। আমাকে সাহায্য করুন তার বিরুদ্ধে যে আমার উপর জুলুম করে।
পরওয়ারদেগার! আপনাকে যেন বেশি বেশি স্মরণ করি। বেশি বেশি আপনার শোকরগোজারি করি। আপনাকেই যেন খুব ভয় করি। আপনার খুব ফরমাবরদারি করি। আপনার খুব অনুগত থাকি। আপনারই কাছে যেন প্রশান্তি পাই, আপনারই দরবারে যেন ফরিয়াদি হই এবং আপনারই দিকে রুজু করি।
পরওয়ারদেগার! আমার তাওবা কবুল করুন। আমার পাপ ধৌত করুন। আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করুন। আমার দ্বীনী দলিল অটল রাখুন। আমার জিহ্বাকে করুন সত্যভাষী, হৃদয়কে করুন সুপথগামী আর আমার বুক থেকে দূর করে দিন অস্বচ্ছতা, (যাতে সকল অবস্থায় দ্বীনের উপর থাকা এবং আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের হক আদায় করা আমার পক্ষে সহজ হয়।) তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
বিস্তারিত ও উচ্চারণ:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ طُلَيْقِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو " رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرْ هُدَاىَ إِلَىَّ وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَىَّ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي لَكَ شَاكِرًا لَكَ ذَاكِرًا لَكَ رَاهِبًا لَكَ مِطْوَاعًا إِلَيْكَ مُخْبِتًا أَوْ مُنِيبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي وَاغْسِلْ حَوْبَتِي وَأَجِبْ دَعْوَتِي وَثَبِّتْ حُجَّتِي وَاهْدِ قَلْبِي وَسَدِّدْ لِسَانِي وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِي "
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) এরূপ দুআ পাঠ করতেনঃ রাব্বী আইন্নী ওয়ালা তুইন আলায়্যা, ওয়ানসুরনা ওয়ালা তানসুর আলাইয়্যা, ওয়ামকুর লী ওয়ালা তামকুর আলইয়্যা, ওয়াহদিনী ওয়া ইয়াসসির হুদায়া আলাইয়্যা, ওয়ানসুরনী আলা মান বাগা আলাইয়্যা। আল্লাহুম্মা ইজআলনী লাকা শাকেরান লাকা রাহেবান লাকা মিতাওয়াআন ইলায়কা, মুখবিতান আও মুনীবান রবি তাকাব্বাল তাওবাতী, ওয়াগছিল হাওবাতী, আজিব দাও’য়াতী, ওয়াছাব্বিত হুজ্জাতী, ওয়াহদে কালবী, ওয়া সাদ্দিদ লিসানী, ওয়াসলুল সাখীমাতা কালবী।
—সুনানে আবু দাউদ, নং ১৫১০; তিরমিজি-৩৫৫১; ইবনে মাজাহ-৩৮৩০
ব্যাখ্যা: দু‘আটি দুনিয়া-আখেরাতের সকল কল্যাণের ধারক।
وَاهْدِنِىْ
(আমাকে হেদায়েত দিন)। অর্থাৎ আমি তো মুখাপেক্ষী আপনার নিরন্তর নির্দেশনার। জীবনের সকল মঞ্জিলে, কদমে কদমে আমি যেন আপনার পথনির্দেশ পাই।
وَيَسِّرِ الْهُدٰى لِىْ
(এবং হেদায়েতকে আমার জন্য সহজ করুন)। বান্দার কর্তব্য, হেদায়েতের পথে চলা যেন সহজ হয় - এ প্রার্থনা জারি
রাখা।
لَكَ ذَكَّارًا
(আপনাকেই যেন বেশি বেশি স্মরণ করি)। অর্থাৎ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সকল অবস্থায় আপনাকেই
যেন স্মরণ করি।
رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِىْ
(পরওয়ারদেগার! আমার তাওবা কবুল করুন)। আমাদের বৈশিষ্ট্য হল তাওবা করতে থাকা এবং তাওবা কবুলের দু‘আও জারি রাখা।
وَثَبِّتْ حُجَّتِىْ
(এবং আমার দ্বীনী দলিল অটল রাখুন)। অর্থাৎ আমি যে ‘দ্বীন’ নামক দলিলের উপর আছি, এতে যেন কম্পন ও দুর্বলতা না আসে।