আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২৩৯: মহিলারা ঘরে নামাজ আদায় করলে কি মসজিদে জামাআতের সাওয়াব পাবে

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৩৯: 

আসসালামু আলাইকুম। একটা মাসালা জানা দরকার। যদি কোন বয়স্কা মহিলা হজে গিয়ে মদিনায় মসজিদে নামাজ না পড়ে রুমে বা হোটেলে নামাজ পড়েন তবে তার সওয়াব কম হবে কিনা? অর্থাৎ জানার বিষয় হল বয়স্কা মহিলা মসজিদে নববীতে নামাজ না পড়লে এবং রুমে নামাজ পড়লে  সওয়াব কম হবে কিনা?

তারিখ:০৫/০৫/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মুর্শেদ আলম কক্সবাজার থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, নারীদের জামাআতে নামাজ আদায় করার বিধান নেই, জরুরি নয়। তাছাড়া ঘরে আদায় করলে জামাআতের সাওয়াব পাওয়া যাবে। দলিল- 

হাদিস/আসার নং-০১


عن عبد الله بن سويد الأنصاري عن عمته امرأة أبي حميد الساعدي : أنها جاءت النبي صلى الله عليه و سلم فقالت : يا رسول الله صلى الله عليه و سلم إني أحب الصلاة معك فقال : قد علمت أنك تحبين الصلاة معي و صلاتك في بيتك خير من صلاتك في حجرتك و صلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك و صلاتك في دارك خير من صلاتك في مسجد قومك و صلاتك في مسجد قومك خير من صلاتك في مسجدي فأمرت فبني لها مسجد في أقصى شيء من بيتها و أظلمه فكانت تصلي فيه حتى لقيت الله عز و جل


আব্দুল্লাহ বিন সুয়াইদ আল আনসারী রাঃ তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুমাইদ আস সায়িদী এর স্ত্রী রাসূল (ﷺ) এর কাছে এসে বললেনহে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আমি আপনার সাথে নামায পড়তে পছন্দ করি। তখন নবীজী (ﷺ) বললেন-আমি জেনেছি যে, তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পছন্দ কর। অথচ তোমার একান্ত রুমে নামায পড়া উত্তম তোমার জন্য তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়া উত্তম তোমার বাড়িতে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বাড়িতে নামায পড়া উত্তম তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়া উত্তম আমার মসজিদে [মসজিদে নববীতে] নামায পড়ার চেয়ে। তারপর তিনি আদেশ দিলেন তার গৃহের কোণে একটি রুম বানাতে। আর সেটিকে অন্ধকারচ্ছন্ন করে ফেললেন। তারপর সেখানেই তিনি নামায পড়তেন মৃত্যু পর্যন্ত। তাখরিজ: সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৯; ইলাউস সুনান-৩/২৬।


দ্বিতীয় কথা হলো, বান্দা যখন সুস্থ অবস্থায় যে ইবাদত করে, অসুস্থ/মুসাফির/অসুবিধার কারণে আদায় করতে অক্ষম। নিয়তের কারণে সুস্থ অবস্থার সাওয়াব পাবেন। দলিল- 

2996 - حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الفَضْلِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا العَوَّامُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْمَاعِيلَ السَّكْسَكِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ، وَاصْطَحَبَ هُوَ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي كَبْشَةَ فِي سَفَرٍ، فَكَانَ يَزِيدُ يَصُومُ فِي السَّفَرِ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بُرْدَةَ: سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى مِرَارًا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَرِضَ العَبْدُ، أَوْ سَافَرَ، كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا»

২৭৮৮। মাতার ইবনে ফযল (রাহঃ) .... আবু বুরদা ইবনে আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এবং ইয়াযিদ ইবনে আবু কাবশা (রাযিঃ) সফরে ছিলেন। আর ইয়াযিদ (রাযিঃ) মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখতেন। আবু বুরদা (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, আমি আবু মুসা (আশআরী) (রাযিঃ)- কে একাধিকবার বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন বান্দা রোগাক্রান্ত হয় কিংবা সফর করে, তখন তার জন্য তা-ই লিখিত হয়, যা সে মুকীম অবস্থায় বা সুস্থ অবস্থায় আমল করত।


Narrated Ibrahim Abu Isma`il As-Saksaki:


I heard Abu Burda who accompanied Yazid bin Abi Kabsha on a journey. Yazid used to observe fasting on journeys. Abu Burda said to him, "I heard Abu Musa several times saying that Allah’s Apostle said, ’When a slave falls ill or travels, then he will get reward similar to that he gets for good deeds practiced at home when in good health."

—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৮৮ (আন্তর্জাতিক নং ২৯৯৬)



  والله اعلم بالصواب