*📌অর্থ বুঝে নামাজ পড়ি৷ পর্বঃ- ০৩/১৫*
❝আ‘ঊযুবিল্লাহ❞ শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলা অনুবাদ৷ by Samsul Bin Nurul Amin
▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ আ‘ঊযুবিল্লাহঃ
اَعُوۡذُ بِاللّٰهِ
🔹আ-যা (عَاذَ) আশ্রয় চাওয়া [সে আশ্রয় চেয়েছে]
🔹ইয়াঊযু (يَعُوْذُ) সে আশ্রয় চায়/চাইবে৷
🔹আ/আনা (أَ) আমি৷
🔸আ‘ঊযু (أَعُوذُ) আমি আশ্রয় চাই, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি পানাহ চাই৷
🔹বি (بِ) দ্বারা, প্রতি, কাছে, সাথে, দিয়ে, নিকট, সহ৷
🔹আল্লাহ (اللّٰهِ) আল্লাহর৷
🔸বিল্লা-হি (بِاللّٰهِ) আল্লাহর নিকট, আল্লাহর কাছে৷
▪️আ‘ঊযু বিল্লা-হ (أَعُوذُ بِاللّٰهِ) আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই, আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর কাছে৷
مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
🔸মিন (مِنۡ) হতে, থেকে, অন্তর্ভুক্ত, পক্ষ হতে/থেকে, কাছ হতে/থেকে, মধ্যে হতে/থেকে, মধ্যে, কোনো, চেয়ে, দ্বারা, সম্পর্কে, দিয়ে, কিছু৷ [হরফে জার]
▫️শাত্বনা (شَطَنَ) স্বেচ্ছায় বিপথগামী হওয়া, ন্যায়ভষ্ট হওয়া, জেদি হওয়া, একগুয়ে হওয়া৷
🔸শাইত্ব-ন ( شَيۡطَانٌ) শয়*তান৷
▫️রজামা (رَجَمَ) বিতাড়িত করা, অভিশাপ দেওয়া, পাথর মারা, গালাগাল করা৷
🔸রজীম (رَجِيۡمٌ) বিতাড়িত, অভিশপ্ত৷
▪️মিনাশ শাইত্ব-নির রজীম (مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ) বিতাড়িত শয়*তান থেকে৷ / অভিশপ্ত শয়*তান থেকে৷
❞اَعُوۡذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ❝
উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্ব-নির রজীম৷
অনুবাদঃ আমি বিতাড়িত শয়*তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই৷ / আমি অভিশপ্ত শয়*তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। / আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়*তান থেকে৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ কুরআন হাদিসের আলোকে আ‘ঊযুবিল্লাহঃ
🔹পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ
فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ﴿۹۸﴾
উচ্চারণঃ ফাইযা- ক্বর’তাল ক্বুরআ-না, ফাসতা‘ইয বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্ব-নির রজী---ম।
অনুবাদঃ সুতরাং যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে তখন বিতাড়িত শয়*তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।
[সূরা নাহল, আয়াতঃ ৯৮]
🔹জুবায়র ইবনু মুত্ব‘ইম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে সলাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকবীর তাহরীমার পর বললেনঃ ‘‘আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতাওঁ ওয়াআসীলা- মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহ অতি মহান, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহরই পবিত্রতা বর্ণনা করছি) শেষ কথাটিও তিনবার বললেন।
‘‘আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী’’ (আমি বিতাড়িত শয়*তান হতে, অর্থাৎ তার অহমিকা, তার যাদু ও তার ওয়াস্ওয়াসা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই)৷
কিন্তু ইমাম ইবনু মাজাহ ‘‘ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি কাসীরা-’’ উল্লেখ করেননি, আর শেষদিকে শুধু ‘‘মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম’’ বর্ণনা করেছেন। ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, نَفْخٌ (নাফখ) অর্থ অহমিকা, نَفْثٌ (নাফস) অর্থ কবিতা, আর هَمْزٌ (হাম্য) অর্থ ওয়াস্ওয়াসা।
[মিশকাতঃ ৮১৭]
[ইবনে মাজাহঃ ৮০৮]
[আবু দাউদঃ ৭৬৪, ৭৭৫]
▂▂▂▂▂▂▂