*📌অর্থ বুঝে নামাজ পড়ি৷ পর্বঃ- ০৬/১৫*
❝অন্য সূরা বা আয়াত (কেরাত)❞ শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলা অনুবাদ৷ by Samsul Bin Nurul Amin
👉সুরা ফাতিহা পাঠ শেষে আ-মীন বলে, যে কোন সূরা বা আয়াত পড়তে হয়৷ যদি সূরার প্রথম থেকে তিলাওয়াত করে, তা হলে প্রথমে বিসমিল্লাহ বলতে হবে, সূরার মধ্যে বা শেষ হতে তিলাওয়াত করলে বিসমিল্লাহ বলা লাগবে না৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ হাদিসের আলোকে অন্য সূরা বা আয়াতঃ
🔹উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরাহ ফাতিহা এবং তার সাথে অতিরিক্ত কিছু পড়বে না, তার সালাত পূর্ণাঙ্গ হবে না।
[আবু দাউদঃ ৮২২, সুনান নাসাঈঃ ৯১৪]
📌নোটঃ এখানে উদাহরণ স্বরুপ সূরা কাওছার এবং সূরা ইখলাস শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলা অনুবাদ দেওয়া হল৷ আপনি চাইলে এই সময়ে কুরআনের যেখান থেকে আপনার জন্য সহজ হয় সেখান থেকেই তেলাওয়াত করতে পারবেন৷
🟪❝সূরা কাওছার❞ শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলা অনুবাদ৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা কাওছার, আয়াতঃ ১
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰكَ الۡكَوۡثَرَ ؕ﴿۱﴾
🔹ইন~না (اِنَّ) নিশ্চয়ই, কেবল, প্রকৃতপক্ষে, নিশ্চয়৷
🔹না- (نَا) আমরা৷ [না- (نَا) আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত হলে না- (نَا) এর অর্থ আমি হয়]
🔸ইন~না--- (اِنَّاۤ) নিশ্চয় আমি, নিশ্চয় আমরা৷
🔹আ'ত্ব (اَعۡطٰى) দান করা, দেওয়া, উপহার দেওয়া৷ [তিনি দান করেছেন]
🔹আ-তা (أٰتَى) দান করা, দেওয়া, প্রদান করা, আসা৷
🔹না- (نَا) আমরা৷ [না- (نَا) আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত হলে না- (نَا) এর অর্থ আমি হয়]
🔹আ‘ত্বাইনা- (اَعۡطَیۡنٰ) আমি দান করেছি, আমরা দান করেছি৷
🔹কা (كَ) তুমি/তোমার/তোমাকে, আপনি/আপনার/আপনাকে৷
🔸আ‘ত্বাইনা-কা (اَعۡطَیۡنٰکَ) আমি আপনাকে দান করেছি, আমি তোমাকে দান করেছি৷
🔸কাওছার (الۡکَوۡثَرَ) কাউসার, জান্নাতী নহর/নদী৷
▪️ইন~না--- আ‘ত্বাইনা-কাল কাওছার (اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ) নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওছার দান করেছি৷ / নিশ্চয় আমরা আপনাকে কাওছার দান করেছি৷
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰكَ الۡكَوۡثَرَ ؕ﴿۱﴾
উচ্চারণঃ ইন~না--- আ‘ত্বাইনা-কাল কাওছার।
অনুবাদঃ নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওছার দান করেছি৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা কাওছার, আয়াতঃ ২
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انۡحَرۡ ؕ﴿۲﴾
🔹ফা (فَ) অতঃপর, সুতরাং, কাজেই, ফলে, অতএব, তবে, তখন, তাহলে, কেননা, যেহেতু, এ জন্য যে৷
🔹ছল্লা- (صَلّٰى) সালাত আদায় করা৷
🔹ছল্লি (صَلِّ) সালাত আদায় কর/করুন৷
🔸ফাসল্লি (فَصَلِّ) অতএব সালাত আদায় করুন, সুতরাং সালাত আদায় কর৷
🔹লা/লি (لَ/لِ) জন্য, অবশ্যই, প্রতি, কাছে, উদ্দেশ্যে৷
🔹রব (رَبّ) রব, পালনকর্তা, প্রভু, প্রতিপালক৷
🔹কা (كَ) তুমি/তোমার/তোমাকে, আপনি/আপনার/আপনাকে৷
🔹রব্বিকা (رَبِّكَ) আপনার রবের, তোমার রবের৷
🔸লিরব্বিকা (لِرَبِّكَ) আপনার রবের উদ্দেশ্যে, আপনার রবের জন্য৷
🔹ওয়া (وَ) এবং, ও, আর, অথচ, কিন্তু, শপথ, কসম৷
🔹নাহারা (نَحَرَ) কোরবানী করা৷
🔹ইনহার (اِنۡحَرۡ) কোরবানী করুন, কোরবানী কর৷
◾নহর (نهر) নদী৷
◾নাহার (نهار) দিন৷
🔸ওয়ানহার (انۡحَرۡ) এবং কোরবানী করুন৷
▪️ফাছল্লি লিরব্বিকা ওয়ানহার (فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انۡحَرۡ) অতএব আপনার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করুন এবং কোরবানী করুন৷ / অতএব তোমার রবের জন্য সালাত পড় এবং কোরবানী কর৷
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انۡحَرۡ ؕ﴿۲﴾
উচ্চারণঃ ফাছল্লি লিরব্বিকা ওয়ানহার।
অনুবাদঃ অতএব আপনার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করুন এবং কোরবানী করুন৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা কাওছার, আয়াতঃ ৩
اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ ٪﴿۳﴾
🔸ইন~না (اِنَّ) নিশ্চয়ই, কেবল, প্রকৃতপক্ষে, নিশ্চয়৷
🔹শানিআ (شَنِأَ) বিদ্বেষ পোষণ করা, শত্রুতা পোষণ করা, অসম্মান করা, টিটকারি করা৷
🔹শা-নিআ/শা-নিউন (شَانِاٌ) বিদ্বেষ পোষণকারী৷
🔹কা (كَ) তুমি/তোমার/তোমাকে, আপনি/আপনার/আপনাকে৷
🔸শা-নিআকা (شَانِئَکَ) আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী, তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারী৷
🔸হুওয়া (هُوَ) সে, তিনি, যা, তা, সেটাই৷
🔹বাতারা (بَتَرَ) গোড়া থেকে কেটে ফেলা, বিচ্ছিন্ন করা৷
🔹আবতার/আবতারুন (أَبْتَرٌ) নির্বংশ, লেজকাটা, যার কোন পুত্র সন্তান নেই৷
💧হুওয়াল আবতার (هُوَ الۡاَبۡتَرُ) সেই নির্বংশ, সেই লেজকাটা৷
▪️ইন~না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার (اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ) নিশ্চয় আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ৷ / নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ৷
اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ ٪﴿۳﴾
উচ্চারণঃ ইন~না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
অনুবাদঃ নিশ্চয় আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ৷
❝সূরা কাওছার❞ [Last update 20-04-2024]
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰكَ الۡكَوۡثَرَ ؕ﴿۱﴾ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انۡحَرۡ ؕ﴿۲﴾ اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ ٪﴿۳﴾
🔹উচ্চারণঃ ইন~না--- আ‘ত্বাইনা-কাল কাওছার৷ ফাছল্লি লিরব্বিকা ওয়ানহার। ইন~না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
🔹অনুবাদঃ নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওছার দান করেছি৷ অতএব আপনার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করুন এবং কোরবানী করুন৷ নিশ্চয় আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ৷
🟪❝সূরা ইখলাস❞ শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলা অনুবাদ৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা ইখলাস, আয়াতঃ ১
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾
🔹ক্ব-লা (قَالَ) বলা৷ [সে বলেছে]
🔸ক্বুল (قُلۡ) বল, বলুন৷ [হে নবী আপনি বলুন]
🔸হুওয়া (هُوَ) সে, তিনি, যা, তা, সেটাই৷
🔸আল্লাহ (اللّٰهُ) আল্লাহ৷
🔹ওয়াহিদ (وَاحِد) এক৷
🔸আহাদ (اَحَدٌ) এক-অদ্বিতীয়, একক, একজন, কেউ, কারো, প্রত্যেক৷
▪️ক্বুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ (قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ) বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়৷ / বল, তিনিই আল্লাহ, একক৷
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণঃ ক্বুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ।
অনুবাদঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা ইখলাস, আয়াতঃ ২
اَللّٰهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾
🔸আল্লাহ (اللّٰهُ) আল্লাহ৷
🔹সমাদা (صَمَدَ) টিকে থাকা, স্থাপন করা
🔸সমাদ (الصَّمَدُ) অমুখাপেক্ষী, মুখাপেক্ষী নন, স্বয়ংসম্পূর্ণ, মুখাপেক্ষহীন৷
▪️আল্ল-হুচ্ছ্বামাদ (اللّٰهُ الصَّمَدُ) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী৷ [অর্থাৎ- তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী৷ / তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ৷]
اَللّٰهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণঃ আল্ল-হুচ্ছ্বামাদ।
অনুবাদঃ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী৷ [অর্থাৎ- তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা ইখলাস, আয়াতঃ ৩
لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾
🔹লা- (لَا) না, নেই, নয়, নাই, নি৷ [বর্তমান/ভবিষ্যৎ]
🔸লাম (لَمۡ) না, নেই, নয়, নাই, নি৷ [অতীত কাল]
🔹ওয়ালাদা (وَلَدَ) (সন্তান) জন্ম দেওয়া, জন্মলাভ করা৷ [তিনি জন্ম দিয়েছেন]
🔹ইয়ালিদু (یَلِدُ) তিনি জন্ম দেন/দিবেন৷
🔸ইয়ালিদ (یَلِدۡ) তিনি জন্ম দেন৷
▪️লাম ইয়ালিদ (لَمۡ یَلِدۡ) তিনি কাউকে জন্ম দেননি৷ [অর্থাৎ- তাঁর কোন সন্তান নেই]
🔸ওয়া (وَ) এবং, ও, আর, অথচ, কিন্তু, শপথ, কসম৷
🔸লাম (لَمۡ) না, নেই, নয়, নাই, নি৷ [অতীত কাল]
🔹ওয়ালাদা (وَلَدَ) (সন্তান) জন্ম দেওয়া, জন্মলাভ করা৷ [তিনি জন্ম দিয়েছেন]
🔸ইয়ূ-লাদ (یُوۡلَدۡ) তাকে জন্ম দেওয়া হয়, জন্ম নেন৷
▪️ওয়া লাম ইয়ূ-লাদ (وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ) এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। / তিনি জন্ম নেননি৷
لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণঃ লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইয়ূ-লাদ।
অনুবাদঃ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। [অর্থাৎ- তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ সূরা ইখলাস, আয়াতঃ ৪
وَ لَمۡ یَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ٪﴿۴﴾
🔹ওয়া (وَ) এবং, ও, আর, অথচ, কিন্তু, শপথ, কসম৷
🔹লাম (لَمۡ) না, নেই, নয়, নাই, নি৷ [অতীত কাল]
🔸ওয়া লাম (وَ لَمۡ) আর নেই, এবং নেই৷
🔹কা-না (كَانَ) হওয়া, ছিলো, থাকা৷
🔹কুন (کُنۡ) হও, হয়ে যাও৷
🔸ইয়াকুন (یَکُنۡ) তিনি হন৷
🔹লা/লি (لَ/لِ) জন্য, অবশ্যই, প্রতি, কাছে৷
🔹হু (ہٗ) তার৷
🔸লাহু (لَهٗ) তার, তার জন্য৷
🔹কাফাআ (كَفَاَ) সমতুল্য হওয়া৷
🔸কুফুওয়ান/কুফু (کُفُوًا) সমতুল্য, সমকক্ষ, নজির, সাদৃশ্য, সমান, সমমর্যাদা সম্পন্ন৷
🔹ওয়াহিদ (وَاحِد) এক৷
🔸আহাদ (اَحَدٌ) এক-অদ্বিতীয়, একক, একজন, কেউ, কারো, প্রত্যেক৷
▪️ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ কুফুওয়ান আহাদ (وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ کُفُوًا اَحَدٌ) আর তার সমতুল্য কেউ নেই। / আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই। [অর্থাৎ- কোন একজনও বা কেউই তার সমতুল্য হয় না]
وَ لَمۡ یَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ٪﴿۴﴾
উচ্চারণঃ ওয়ালাম ইয়াকুল লাহূ- কুফুওয়ান আহাদ।
অনুবাদঃ আর তার সমতুল্য কেউ নেই৷
❝সূরা ইখলাস❞ [Last update 20-04-2024]
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللّٰهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمۡ یَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ٪﴿۴﴾
🔹উচ্চারণঃ ক্বুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ। আল্ল-হুচ্ছ্বামাদ।লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইয়ূ-লাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল লাহূ- কুফুওয়ান আহাদ।
🔹অনুবাদঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়৷ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী৷ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই৷
❝রেফারেন্স❞
[আবু দাউদঃ ৮২২, সুনান নাসাঈঃ ৯১৪]
[সহিহ বুখারী ৭৭৬, (ই-ফা) ৭৪০]
[সুনান আবু দাউদ ৮১৮, ৭৮৪]
[ইবনে মাজাহ ৮৪৩]
▂▂▂▂▂▂▂