আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২৩৭: মহিলাদের কবর জিয়ারতের ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৩৭: 

আসসালামু আলাইকুম।

মহিলাদের কবর জিয়ারতের ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কি?

তারিখ:০২/০৫/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, নারীদের কবর জিয়ারত করা জায়েয। উল্লেখ্য যে ইসলামের প্রথম যুগে নিষিদ্ধ ছিল, পরবর্তীতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দলিল-


হাদিস নং-০১ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، - وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ - عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا " . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ .

   

২১৩২। আবু বকর আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি কবর যিয়ারত করা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম এখন তোমরা যিয়ারত কর। তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করতাম, এখন যত দিন সম্ভব সংরক্ষণ করে খেতে থাক এবং নাবীয (খেজুর ভিজানো পানি) পান করা হতে নিষেধ করতাম। (মশক ব্যতীত অন্যান্য পাত্রে) এখন সকল পাত্রে পান কর। কিন্তু নেশা হয় এমন অবস্থায় নয়। ইবনে নুমাইর তার বর্ণনায় عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ বলেছেন।


Ibn Buraida reported on the authority of his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said:

I forbade you to visit graves, but you may now visit them; I forbade you to eat the flesh of sacrificial animals after three days, but you way now keep it as along as you feel inclined; and I forbade you nabidh except in a water-skin, you may drink it from all kinds of water-skins, but you must not drink anything intoxicating.

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৩২ (আন্তর্জাতিক নং ৯৭৭-১)


হাদীসের ব্যাখ্যা:

প্রথমদিকে কবর যিয়ারত করা নিষেধ ছিল। শাহ ওয়ালিয়্যুল্লাহ রহ.-এর মতে এর কারণ ছিল শিরকের পথ বন্ধ করা। তিনি বলেন, কবর যিয়ারত কবর পূজার দুয়ার খোলে। পরে যখন ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং মানুষের চিন্তা-চেতনায় গায়রুল্লাহর ইবাদত হারাম হওয়ার বিষয়টি বদ্ধমূল হয়ে যায়, তখন (কবরপূজার আশঙ্কা দূর হয়ে যায়, ফলে) কবর যিয়ারতের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়।


হাদিস নং-০২ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا بِسْطَامُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا التَّيَّاحِ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ

১৫৭০। ইবরাহীম ইবন সায়ীদ জাওহারী (রাহঃ)....আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কবর যিয়ারতের অনুমতি দিয়েছেন।

It was narrated from ’Aishah that the Messenger of Allah (ﷺ) gave permission for visiting the graves.

—সুনানে ইবনে মাজা', হাদীস নং ১৫৭০ (আন্তর্জাতিক নং ১৫৭০)


হাদিস নং-০৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - كُلَّمَا كَانَ لَيْلَتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَخْرُجُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقُولُ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَأَتَاكُمْ مَا تُوعَدُونَ غَدًا مُؤَجَّلُونَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَهْلِ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ " . وَلَمْ يُقِمْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ " وَأَتَاكُمْ " .

২১২৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামিমী, ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব ও কুতায়রা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে রাতে আমার ঘরে থাকতেন, সে রাতের শেষভাগে গারাকাদে বাকীতে গিয়ে বলতেন ″আলসালামু আলাইকুম ও মুমিন বান্দাদের বাসস্থান, তোমাদেরকে যা ওয়াদা করা হয়েছে আল্লাহ তাআ’লা তা তোমাদের দিয়েছেন, আগামীকালে জন্য যা ওয়াদা করা হয়েছে তা (কিয়ামতে) দিবেন। আমরাও ইনশাআল্লাহ তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ! বাকীউল গারকাদের বাসিন্দাদেরকে ক্ষমা করে দাও।″ কিন্তু কুতায়বা ″তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে″ কথাটি বলেন নি।

’A’isha reported (that whenever it was her turn for Allah’s Messenger [may peace be upon him] to spend the night with her) he would go out towards the end of the night to al-Baqi’ and say:

Peace be upon you, abode of a people who are believers. What you were promised would come to you tomorrow, you receiving it after some delay; and God willing we shall join you. O Allah, grant forgiveness to the inhabitants of Baqi’ al-Gharqad. Qutaiba did not mention his words:" would come to you".

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১২৭ (আন্তর্জাতিক নং ৯৭৪-১)


দ্বিতীয় কথা হলো, মহিলাদের জন্য কবর জিয়ারত জায়েজও নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। 

১. কবরস্থানে গিয়ে কান্নাকাটি, বিলাপ ইত্যাদি করতে পারবে না।

২. পূর্ণ পর্দার সাথে বের হবে।

৩. যাতায়াত নিরাপদ হতে হবে। কোনো প্রকারের গুনাহে পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে যাবে না।


সারকথা হলো,  



  والله اعلم بالصواب