*📌ফরজ গোসল* [লজ্জা নয় জানতে হবে]
▬▬▬▬▬▬◈◉◈▬▬▬▬▬▬
❐ আপনি জানেন কি? পবিত্রতা ছাড়া ইবাদত কবুল হয় না [তিরমিজীঃ ১]৷ ফরজ গোসল সম্পর্কে না জানার কারনে আপনার সারাজীবনের ইবাদত বরবাদ হতে পারে! তাই আসুন হাদিসের আলোকে জেনে নেই ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মাবলী৷
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
➤ যে সকল কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
🔹স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
[বুখারীঃ ২৮২, আবু দাউদঃ ২০৬]
[মুসলিমঃ ৩১২, (হা-এ) ৫৯৮]
🔹সহবাসে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)
[মুসলিমঃ ৩৪৯, (হা-এ) ৬৭২] [বুখারীঃ ২৯১]
🔹মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
[বুখারীঃ ৩২০]
🔹কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে।
[আবু দাউদঃ ৩৫৫]
🔹কোন মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে তাকে গোসল দেওয়া জীবিতদের উপর ফরয।
[বুখারীঃ ১২৬৬]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ গোসলের ফরজ তিনটিঃ
➤ গড়গড়াসহ কুলি করা, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌছে।
গোসলের প্রথম ফরজ হলো- গড়গড়াসহ কুলি করা। মুখের ভেতর অনেক সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে থাকে। গলার ভেতরেও কফ জমে থাকে। তাই গড়গড়াসহ কুলি করলে গলার কফ ও মুখের ভেতর জমে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট দূর হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ফরজ গোসলের অংশ হিসেবে কুলি করেছেন।
[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৭, ২৬৫]
➤ হাতে পানি নিয়ে নাকের নরম হাড় পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
গোসলের আরেকটি ফরজ হলো- নাকের ভেতর পানি দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নাকে পানি দিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে।
[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৭, ২৬৫]
➤ সমস্ত শরীর উত্তম রুপে ধৌত করা।
এমনভাবে গোসল করতে হবে— যাতে শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো না থাকে। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস রয়েছে। সেসব হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন গোসল করতেন, তখন তার শরীরের সব অংশ ভেজা থাকতো।
[সুনানে আবু দাউদঃ ২১৭]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❐ ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
🔹গোসলের নিয়ত করা৷ [বুখারীঃ ১]
🔹বিসমিল্লাহ বলে গোসল শুরু করা। [বুখারীঃ ১৬৮]
🔹দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া৷ [বুখারীঃ ২৪৮]
🔹পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা৷ [বুখারীঃ ২৫৭]
🔹বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া৷
[বুখারীঃ ২৬৬]
🔹নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখা যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫]
🔹মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। [বুখারীঃ ২৫৮]
🔹পুরো শরীরে পানি ঢালা, প্রথমে ডানে ৩বার,
পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার (যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে।পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)। [বুখারী–১৬৮, ২৭৭]
🔹গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোয়া। [বুখারীঃ ২৫৭]
❐ এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি।
🔹উল্লেখ্য- এইভাবে গোসল করলে এর পরে নামায পড়তে চাইলে আলাদা করে ওযু করতে হবে না৷[আবু দাউদঃ ২৫০] যদি গোসল করার সময় ওযু ভংগের কোনো কারণ না ঘটে। গোসলের পরে কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভঙ্গ হবে না, এটা ওযু ভঙ্গের কারণ না।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
❝post writer❞ Samsul Bin Nurul Amin
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসুল (সাঃ) এর শিখানো পদ্ধতিতে ফরয গোসল আদায় করার তৌফিক দান করুক৷