আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

দৈনন্দিন জীবনে সুন্নাত-১২: ফরজ গোসল

No Comments

 



*📌ফরজ গোসল* [লজ্জা নয় জানতে হবে]

▬▬▬▬▬▬◈◉◈▬▬▬▬▬▬


❐ আপনি জানেন কি? পবিত্রতা ছাড়া ইবাদত কবুল হয় না [তিরমিজীঃ ১]৷ ফরজ গোসল সম্পর্কে না জানার কারনে আপনার সারাজীবনের ইবাদত বরবাদ হতে পারে! তাই আসুন হাদিসের আলোকে জেনে নেই ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মাবলী৷ 

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

➤ যে সকল কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ


🔹স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে। 

[বুখারীঃ ২৮২, আবু দাউদঃ ২০৬]

[মুসলিমঃ ৩১২, (হা-এ) ৫৯৮]


🔹সহবাসে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)

[মুসলিমঃ ৩৪৯, (হা-এ) ৬৭২] [বুখারীঃ ২৯১] 


🔹মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।

[বুখারীঃ ৩২০]

 

🔹কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে।

[আবু দাউদঃ ৩৫৫]


🔹কোন মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে তাকে গোসল দেওয়া জীবিতদের উপর ফরয।

[বুখারীঃ ১২৬৬]

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

❐ গোসলের ফরজ তিনটিঃ


➤ গড়গড়াসহ কুলি করা, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌছে।


গোসলের প্রথম ফরজ হলো- গড়গড়াসহ কুলি করা। মুখের ভেতর অনেক সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে থাকে। গলার ভেতরেও কফ জমে থাকে। তাই গড়গড়াসহ কুলি করলে গলার কফ ও মুখের ভেতর জমে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট দূর হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ফরজ গোসলের অংশ হিসেবে কুলি করেছেন। 

[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৭, ২৬৫]


➤ হাতে পানি নিয়ে নাকের নরম হাড় পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।


গোসলের আরেকটি ফরজ হলো- নাকের ভেতর পানি দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নাকে পানি দিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে। 

[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৭, ২৬৫]


➤ সমস্ত শরীর উত্তম রুপে ধৌত করা।


এমনভাবে গোসল করতে হবে— যাতে শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো না থাকে। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস রয়েছে। সেসব হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন গোসল করতেন, তখন তার শরীরের সব অংশ ভেজা থাকতো। 

[সুনানে আবু দাউদঃ ২১৭]

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

❐ ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ


🔹গোসলের নিয়ত করা৷ [বুখারীঃ ১]


🔹বিসমিল্লাহ বলে গোসল শুরু করা। [বুখারীঃ ১৬৮]


🔹দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া৷ [বুখারীঃ ২৪৮]


🔹পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা৷ [বুখারীঃ ২৫৭]


🔹বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া৷ 

[বুখারীঃ ২৬৬]


🔹নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখা যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

[বুখারীঃ ২৪৮, ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫]


🔹মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। [বুখারীঃ ২৫৮]


🔹পুরো শরীরে পানি ঢালা, প্রথমে ডানে ৩বার,

পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার (যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে।পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)। [বুখারী–১৬৮, ২৭৭]


🔹গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোয়া। [বুখারীঃ ২৫৭]


❐ এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি। 


🔹উল্লেখ্য- এইভাবে গোসল করলে এর পরে নামায পড়তে চাইলে আলাদা করে ওযু করতে হবে না৷[আবু দাউদঃ ২৫০] যদি গোসল করার সময় ওযু ভংগের কোনো কারণ না ঘটে। গোসলের পরে কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভঙ্গ হবে না, এটা ওযু ভঙ্গের কারণ না।

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

❝post writer❞ Samsul Bin Nurul Amin 


আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসুল (সাঃ) এর শিখানো পদ্ধতিতে ফরয গোসল আদায় করার তৌফিক দান করুক৷