আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২৫১: ভুলে সালাম ফিরিয়ে তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করলে নামাজ ভঙ্গ হবে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৫১: 

আসসালামু আলাইকুম।

আমার জানার বিষয় হচ্ছে, - "মাসবুক মুসল্লি ইমামের সাথে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়া আতুবু ইলাইহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। " 

সম্পূর্ণ পড়লে নামাজ ভঙ্গ হবে কিনা? দলিল সহকারে জানানলে কৃতজ্ঞ হব।

তারিখ:২৫/০৫/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা এস এম মাহবুবুর রহমান ঢাকা  থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, সালাম ফিরানোর পর যদি কথা না বলে, এবং কিবলা দিক থেকে মুখ না ফিরায় বা নামাজ ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজ না করে থাকে, তাহলে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকি এক রাকাত পূর্ণ করবে। তারপর আখেরী বৈঠকে সাহু সেজদা করে নিলেই নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু কথা বলে ফেললে, বা নামাজ ভঙ্গ হয়, এমন কোন কাজ করলে উক্ত নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নতুন করে আবার পুরো নামাজ পড়তে হবে।  দলিল- 

হাদিস নং-০১

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "------


আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় -------

আল্লাহর শপথ করে বলছি, তিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সলাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ, তাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে। তাখরিজ: মুসলিম শরীফ ১০৮৬.


হাদিস নং-০২

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ عَنْ أَبِيْ عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ يُكَلِّمُ أَحَدُنَا أَخَاهُ فِيْ حَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ} فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوْتِ

অর্থ: হজরত যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলতাম আর আমাদের কেউ অন্য ভাইয়ের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলতেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ তখন আমাদেরকে চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। তাখরিজ: বুখারী- ৪৫৩৪.১২০০


ويسجد للسهو ولو مع سلامه للقطع مالم يتحول عن القبلة، أو يتكلم لبطلان التحريمة (رد المحتار، زكريا-2/558، كرتاشى-2/91)

ভুলে সালাম ফিরানোর যদি বুক কিবলা থেকে না ঘুরে এবং নামাজ বাতিল হয় এরকম কথা না বলে, তাহলে নামাজ শেষে সিজদা সাহু করবে। সূত্র: রদ্দুল মুহতার-২/৫৫৮

إ


সারকথা হলো,  আপনার বর্ণনা মোতাবেক সালাম ফিরানোর পর আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়া আতুবু ইলাইহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। "  বলার কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়নি, যদি নামাজ ভঙ্গের অন্য কারণ না পাওয়া যায় এবং যথারীতি নামাজ শেষ করে সাহু সিজদা দিতে হবে।



  والله اعلم بالصواب