আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২৪২: নামাজ রত অবস্থায় হাই আসলে করণীয় কি ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৪২: 

আসসালামু আলাইকুম। আসসালামু আলাইকুম ভাইজান। নামাজ রত অবস্থায় হাই আসলে করণীয় কি ? দয়া করে জানাবেন। ধন্যবাদ

তারিখ:০৮/০৫/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  নূরে আলম সিদ্দিকী নাটোর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, হাই আসলে যথাসম্ভব প্রতিরোধ করতে হবে। যেমন মুখ বন্ধ করে, আর যদি একান্তই দমন করা সম্ভব না হলে হাত বাঁধা অবস্থায় হাই এলে ডান হাতের পিঠ মুখের ওপর রাখবে। এছাড়া অন্য অবস্থায় বাম হাতে পিঠ রাখবে। দলিল- 


হাদিস নং-০১

فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدّهُ مَا اسْتَطَاعَ.

হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

কারো হাই আসলে সে যেন তা যথাসম্ভব আটকানোর চেষ্টা করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২২৬)


হাদিস নং-০২ 

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْسِكْ بِيَدِهِ عَلَى فَمه فإِنَّ الشيطانَ يدخلُ» . رَوَاهُ مُ

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো হাই আসে, সে যেন নিজের হাত মুখের উপর রাখে। কেননা শয়তান মুখে প্রবেশ করে।  সহীহ : মুসলিম ৫৭-(২৯৯৫), আবূ দাঊদ ৫০২৬, সহীহুল জামি‘ ৪২৬, ৪২৭, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭৩১, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ১১৩৪, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৩৩২৫, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ৭৯৮১


দ্বিতীয় কথা হলো, কোন হাত মুখের উপর রাখবে। এ দুটি মতামত পাওয়া যায়। ১. যে কোন হাত ব্যবহার করা যেতে পারে। 

২. স্বাভাবিক অবস্থায় বাম হাতের পিঠ। নামাজের অবস্থায় ডান হাত। 


দ্বিতীয় মতে ফিকহি হানাফির। তাদের দলিল হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সকল ভাল কাজ ডান হাতে এবং তুলনামূলক মন্দ কাজ, নিচু, নিম্ন কাজ বাম হাতে করতেন। আর নামাজরত অবস্থায় ডান যেহেতু উপরে তাই সেটা দ্বারা। বাম হাত ডান হাতের নিচে থাকে, তাই সেটা ব্যবহার করা আমলে কাসিরের সাদৃশ্য হয়। যেমন,

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيُمْنَى لِطُهُورِهِ وَطَعَامِهِ وَكَانَتْ يَدُهُ الْيُسْرَى لِخَلاَئِهِ وَمَا كَانَ مِنْ أَذًى .


৩৩. আবু তাওবা আর রবী ইবনে নাফে, আসওয়াদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ডান হাত পবিত্রতা অর্জন ও খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হত এবং বাম হাত শৌচকর্ম ও এ ধরনের নিকৃষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হত।

Narrated Aisha, Ummul Mu’minin:

The Prophet (ﷺ) used his right hand for getting water for ablution and taking food, and his left hand for his evacuation and for anything repugnant.


সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৩ (আন্তর্জাতিক নং ৩৩)


সারকথা হলো,  নামাজরত অবস্থায় হাই আসলে যথা সম্ভব এটা প্রতিরোধ করতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ডান হাতের উল্টো পিঠ মুখের উপর রাখবে।

যথাসাধ্য প্রতিরোধ না করে শুধু হাত ব্যবহার করা মাকরুহ।



  والله اعلم بالصواب