আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৭৪৫: দুআ তিন ভাবে কবুল হয়?

No Comments

 












জিজ্ঞাসা-১২৭৪৫: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

আচ্ছালামু আলাইকুম।এ তিনটি বিষয়ের উপর কোরআন ও হাদিসের reference প্রয়োজন।

প্রথম-আল্লাহ মানুষের চাওয়া কবুল করেন।ছূরা বাক্বারা-১৮৬ প্রযোজ্য।

২য়-এখনই না,পরে। 

৩য়-এটাই নয় বরং আরো ভালো plan তোমার জন্য করে রেখেছি।


তারিখ:  ০১/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  শরফুদ্দিন তাহের চাঁদপুর  থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,  আপনার প্রশ্নের আলোকে নিম্নে হাদিস শরিফ উল্লেখ করা হলো:

দলিল: 

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ: إِمَّا أَنْ يُعَجِّلَ لَهُ دَعْوَتَهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عنهُ من السُّوءِ مثلَها قَالُوا: إِذنْ نُكثرُ قَالَ: الله أَكثر-

‘কোন মুসলিম দো‘আ করার সময় কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দো‘আ না করলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তাকে এ তিনটির একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত বিষয় দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন (৩) অথবা তার মতো কোন অকল্যাণ বা বিপদাপদকে তার থেকে দূরে করে দেন। ছাহাবীগণ বললেন, তবে তো আমরা অনেক বেশী লাভবান হব। তিনি বললেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশী দেন’। তাখরিজ: বুখারি আদাবুল মুফরাদ-৭১০; আততারগিব-১৬৩৩; মুসনাদে আহমদ -১১১৩৩


দ্বিতীয় কথা হলো, মুমিন ভালো-খারাপ দুই অবস্থায় কল্যাণকর। সুতরাং রব যেটা করেন এটা আমাদের জন্য মঙ্গল। দলিল:


 وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। সূরা বাকারা-২১৬


সারকথা হলো,  মুমিনের কোন দুআ বৃথা যায় না, যদি না তা গুনাহের কোনো বিষয় হয়।


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

জিজ্ঞাসা -১২৭৪৬: উমাইর, নুসাইর, য়ুসাইর নাম সমূহের অর্থ কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৭৪৬: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আশা করি আল্লাহর রহমাতে ভালো আছেন। আমি আমার ব্যক্তিগত একটা বিষয়ে আপনার সহযোগিতা চাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার বড় ছেলের ঘরে একজন নতুন মেহমান আসতেছে তার একটা ইসলামী নাম রাখার পূর্বে যাচাই করা দরকার নামটির সঠিক উচ্চারণ,( আরবী সহ), নামটির অর্থ, নামটির সাথে কোন সাহাবীর নামের সাথে মিল আছে কিনা? আমি তিনটি নাম পাঠাচ্ছি আর প্রত্যের নামের সাথে বিন আরীফ শব্দ থাকবে যেহেতু আমার ছেলের নাম আরীফ। অগ্রিম জাজাকাল্লাহ খাইরান। আল্লাহ হাফেজ।

Nusair

Umair

Yusair

তারিখ:  ০২/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মনিরুল হক ঝালকাঠি  থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

প্রথমেই আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। কারণ আপনারা প্রচলিত স্রোতধারার বাইরে গিয়ে আপনাদের ঘর আলোকিত করে আগমন করা নতুন অতিথির জন্য সুন্দর অর্থবহ ইসলামসম্মত একটি নাম নির্বাচনের জন্য মনস্থ করেছেন। কারণ সহীহ হাদীসের ভাষ্যমতে কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজনাম ও পিতৃনাম ধরেই সম্বোধন করা হবে। 


عَنْ أبي الدرداء قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ ".

অর্থাৎ,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, " কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নিজনাম ও তোমাদের পিতার নাম উল্লেখ করে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা নাম বাছাইকালে সুন্দর সুন্দর নাম নির্বাচন করবে। ( সুনানে আবি দাঊদ- ৪৯৪৮)


  এবার আসা যাক আপনার বাছাইকৃত নামগুলো প্রসঙ্গে!  আপনার পছন্দকৃত তিনটির নামের সবিস্তারিত বিশ্লেষণ নিম্নে আলোকপাত হলো-


  আপনার চয়নকৃত পছন্দসই নাম তিনটি হলো, যথাক্রমে-  উমাইর, নুসাইর, য়ুসাইর।

  উল্লিখিত শব্দগুলো হলো, আরবী تَصْغِيْر এর সীগাহ ( ক্ষুদ্রতাজ্ঞাপক শব্দকাঠামো)। আল্লাহ তায়ালার মনোনীত বান্দা হজরত শোয়াইব ( আঃ) নামও এই শব্দকাঠামো দিয়ে তৈরি ।আরবগণ নানাবিধ কারণে "তাছগীর"এর ছীগাহ ব্যবহার করে থাকেন। তবে মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে  তাদের এই তাছগীর শৈলী প্রয়োগের সিংহভাগ উদ্দেশ্য হলো, স্নেহবাৎসল্যতা প্রদর্শন করা, সোহাগসুলভ মনোভাব ব্যক্ত করা, হ্রদয়ের মাঝে আন্দোলিত প্রীতিবোধের উচ্ছাস ঘটিয়ে কাউকে সম্ভাষণ করা। 


√ "উমাইর /উমায়ের " عُمَيْر শব্দটি আরবী উমর  عمر শব্দের ক্ষুদ্রতাজ্ঞাপক শব্দ। উমর শব্দের অর্থ হলো, বয়ষ্কাল/ জীবন/ আবাদীকরণ। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন- 


{ وَمَا یُعَمَّرُ مِن مُّعَمَّرࣲ وَلَا یُنقَصُ مِنۡ عُمُرِهِۦۤ إِلَّا فِی كِتَـٰبٍۚ إِنَّ ذَ ٰ⁠لِكَ عَلَى ٱللَّهِ یَسِیرࣱ } سورة الفاطر-١١


অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি চাই সে দীর্ঘজীবী হোক কিংবা স্বল্পায়ুর অধিকারী, প্রত্যেকের জীবনসীমার মেয়াদকাল কিতাবে সংরক্ষিত আছে। নিশ্চয় এই কর্মযজ্ঞ সাধন করা আল্লাহর নিকট অনেক সহজ। ( সূরা ফাতির- ১১)  


সেই অনুসারের "উমাইর /উমায়ের" শব্দের অর্থ হলো- "আদর-আহলাদে বেড়ে ওঠা দীর্ঘজীবী "। ( যেহেতু তাছগীরের শব্দকাঠামোতে স্নেহ বাৎসল্যতার অর্থ বিরাজমান, তাই "আদর-আহলাদ" অংশটি যুক্ত করা হয়েছে।)

     উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন সাহাবীর নাম ছিলো, উমায়ের বিন সা'দ। তিনি কৈশোরেই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে হাত রেখে ইসলাম ধর্মের দীক্ষায় দীক্ষিত হোন।

   এছাড়া তৎকালীন সময়ে আবু উমায়ের নামক জনৈক শিশু সাহাবী "নুগায়ের"  পাখী দিয়ে খেলাধুলা করতেন। তাঁর সাথে দেখা হলেই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাস্যরসিকতার ছলে ছন্দের ঝংকার তুলে বলে উঠতেন-

يا أبا عُمَير، ما فَعَلَ النُّغَير

(ওহে আবু উমায়ের, কী করছে এখন প্রিয় পাখী নুগায়ের?)


√ আরবী  نَسْر ( সীন অব্যয়যোগে) শব্দের অর্থ হলো, ঈগল পাখি।

আবার, نَصْر ( সোয়াদ অব্যয়যোগে) শব্দের অর্থ হলো, বিজয়, সাহায্য, ইত্যাদি।

পবিত্র কুরআনে এই শব্দটি বহুল আকারে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- 

{  أَلَاۤ إِنَّ نَصۡرَ ٱللَّهِ قَرِیبࣱ } سورة البقرة -٢١٤

অর্থাৎ,  জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটেই। ( সূরা বাক্বারা-২১৪)


এই "নাসর" শব্দটিরই مُصَغَّر বা ক্ষুদ্রার্থবোধক শব্দকাঠামো হলো, نُصَيْر (নুসাইর / নুসায়ের)। যার অর্থ হলো,  খুদে সাহায্যকারী / সুক্ষ্ম বিজয় ইত্যাদি


মুসলিম ইতিহাসের পাতায় মূসা বিন নুসায়েরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ মুসলমানদের স্পেন বিজয়ে তিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি উত্তর আফ্রিকার গভর্ণর হিসেব দায়িত্ব পালন করেন । একজন মুসলিম সেনাপতি হিসেবে তাঁর অপরিসীম শৌর্যবীর্য ও দূরদর্শী  রণকৌশল বিশ্বজোড়া সুনাম ও সুখ্যাতির স্বাক্ষর রেখে গিয়েছে।



√ আরবী يُسْر ( য়ুসর) শব্দের অর্থ হলো- সহজতা, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য ইত্যাদি। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় এই শব্দটির উপস্থিতি ব্যপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন- 

{ یُرِیدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ }  سورة البقرة - ١٨٥

অর্থাৎ,  আল্লাহ তোমাদের সাথে সহজতা চান,কঠোরতা আরোপ করতে চাননা। (সূরা বাকারা- ১৮৫)


এই "য়ুসর" শব্দটিরই مُصَغَّر বা ক্ষুদ্রতাজ্ঞাপক শব্দকাঠামো হলো, يُسَيْر (য়ুসাইর / য়ুসায়ের)। যার অর্থ হলো, জলবৎ তরলং সহজসাধ্য বিষয় বা বস্তু /স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব/ সহজসুলভ মানসিকতার অধিকারী।


সাহাবাগণের নামীয় তালিকাতেও এই নামটি স্থান করে নিয়েছে।"য়ুসাইর বিন আমর" ছিলেন আল্লাহর রাসূলের অন্যতম একজন একনিষ্ঠ সাহাবী। তিনি কূফার অধিবাসী ছিলেন। 


 সারকথা হলো,   উপরিউক্ত প্রতিটি নামের সাথে পিতৃনাম "আরীফ/আরিফ" যুক্ত করে নামকরণ করা যাবে। সাহাবায়ে কেরামের স্বর্ণালী যুগেও এধরণের নামকরণের ব্যপক প্রচলন ছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের নামের সাথে পিতৃনাম সংযুক্ত করে  পরিচিত হতেন। যেমন- মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

অনুরূপভাবে,  হজরত আবু বকর বিন আবি কুহাফা (রাযি.) ওমর বিন খাত্তাব ( রাযি.), উসমান বিন আফফান ( রাযি.), আলী বিন আবী তালেব (রাযি.), আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাযি.) ইত্যাদি।


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি আসাদুল ইসলাম তানয়িম,

সহযোগিতায়, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

জিজ্ঞাসা -১২৭৪৪: পিতার জন্য সন্তানদের ভরণ পোষণ কত দিন/বছর?

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১২৭৪৪: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

আসসালামু আলাইকুম। হুজুর জানার বিষয় ছিল কোন তালাকপ্রাপ্ত নারী কি তার স্বামীর বাড়ির লোক যেমন তার শাশুড়ি, শশুর,ভাবীর সাথে কথা বলতে পারে?

আর তালাকপ্রাপ্ত নারী তার সন্তানের জন্যে তার স্বামীর কাছ থেকে কত বছর পর্যন্ত ভরণপোষণ পাবে?

তারিখ:  ৩১/০৮/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জবাব মোহাম্মদ শিপন, সিলেট   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

আপনার প্রশ্নের আলোকে উত্তরকে দুভাগে ভাগ করছি।


প্রশ্ন:ক। তালাকপ্রাপ্ত নারী কি তার স্বামীর বাড়ির লোক যেমন তার শাশুড়ি, শশুর,ভাবীর সাথে কথা বলতে পারে?


উত্তর: ক। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে, যেমন যদি সন্তান স্বামীর বাড়িতে থাকে। 


তবে স্বাভাবিক অবস্থায় যোগাযোগ করা উচিত নয় এতে দ্বিতীয় স্বামী সাথে সন্দেহ এবং ঝগড়া কারণ হবে। শরীয়তের নির্দেশ হলো অপবাদ আসতে পারে

, অপরজন কুধারণা ধারণা করতে পারে এরকম জায়গা থেকে বিরত থাকা। দলিল:


ورد في إحياء علوم الدين حديث ((اتقوا مواضع التهم

অর্থাৎ তোমরা অপবাদের রাস্তা থেকে বেঁচে থাকো। তাখরিজ: আশশিফুল মুলতাকি আহলিল হাদিস-৪৮/১৮৫


প্রশ্ন: খ। তালাকপ্রাপ্ত নারী তার সন্তানের জন্যে তার স্বামীর কাছ থেকে কত বছর পর্যন্ত ভরণপোষণ পাবে?


উত্তর: খ। ছেলেসন্তান সাবালক না হওয়া পর্যন্ত এবং মেয়েসন্তান বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বাবার কাছ থেকে ভরণপোষণ লাভ করার অধিকারী। দলিল:

وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ 

আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। সূরা বাকারা-২৩৩


তাফসির: ইমাম কুরতুবি রহ. বলেন, 

فهي في الغلام إلى البلوغ ، وفي الجارية إلى النكاح ،

অর্থাৎ ছেলে সন্তান বালেগ হওয়া পর্যন্ত আর কন্যা সন্তান বিবাহ দেওয়া পর্যন্ত। সূত্র: তাফসিরে কুরতুবি -৩৭ পৃষ্ঠা


সারকথা হলো, বিশেষ প্রয়োজনে পূর্বের স্বামীর আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করতে অবশ্যই বর্তমান স্বামীর অবগতি/সম্মতি প্রয়োজন, নইলে দাম্পত্য জীবনে কলহ বাঁধতে পারে।

আর ছেলে সন্তান বালেগ হওয়া পর্যন্ত এর ব্যাখ্যায় কোন কোন স্কলার বলেছেন, ১৮ বছর অর্থাৎ নিজে উপার্জন করতে পারে, সবকিছুই বুঝে ইত্যাদি।


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

জিজ্ঞাসা -১২৭৪৩: ইমামতি করার হকদার কে?

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১২৭৪৩: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

কুদুরী কিতাবে পড়েছিলাম,ইমামের প্রথমত যোগ্য হলেন ক্বারী সাহেব,মুকতাদীগন ছাওয়া ছাওয়া হলে পর্যায়ক্রমে আলেম,মুত্তাকী,বয়স্ক অতঃপর দেখতে সুন্দর এ বিষয়ের হাদীসটি প্রয়োজন। 

তারিখ:  ৩১/০৮/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা    আবু সুমাইয়া মোঃ শাহজাহান শেখ,কুমিল্লা থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, ইমাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুণাবলী সরাসরি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আর বাকিগুলো ফোকাহায়ে কেরাম কিয়াস বা হিকমাহ অবলম্বন করে বর্ণিত করেছেন। যেমন,

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي خَالِدٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا وَلاَ يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " . قَالَ الأَشَجُّ فِي رِوَايَتِهِ مَكَانَ سِلْمًا سِنًّا .

 আবু বকর ইবনে আবিশাঈবা (রাহঃ) ও আবু সাঈদ আল আশাজ্জ (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সেই ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করবেন যিনি আল্লাহর কিতাব পাঠে সবচাইতে অভিজ্ঞ। কুরআন পাঠে যদি সকলেই সমান হয় তবে যিনি তাঁদের মধ্যে সুন্নাহ সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা অভিজ্ঞ। তাতেও যদি সকলে একরকম হয় তবে যিনি আগে হিজরত করেছেন। তাতেও যদি সকলেই সমান হয় তবে যিনি আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির অধিকারে ইমামতি করবে না এবং অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে তার বিশেষ আসনে বসবে না। আশাজ্জ তাঁর রিওয়ায়াতে ইসলামের স্থলে বয়সের কথা বলেছেন।—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪০৬ (আন্তর্জাতিক নং ৬৭৩-১)


হাদীসের ব্যখ্যা:

এ বর্ণনা অনুযায়ী প্রমাণিত হয় যে, ইমামতির জন্য অগ্রাধিকার পাবে কুরআন পাঠে পারদর্শী ব্যক্তি। কিন্তু রসূল স. মৃত্যুর পূর্বে যখন খুব অসুস্থ ছিলেন তখন তাঁর স্থানে ইমামতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রা.কে যিনি সুন্নাহ সম্পর্কে বড় আলেম ছিলেন। অথচ সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে বড় কারী হিসেবে খ্যাত ছিলেন উবাই ইবনে কাআব রা.। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইমামতির দায়িত্ব না দিয়ে হযরত আবু বকর রা.কে দায়িত্ব দেয়া থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর শেষ সিদ্ধান্ত ছিলো সুন্নাহ সম্পর্কে যিনি বড় আলেম হবেন তাঁকে ইমামতির দায়িত্ব দেয়া। তারপর কুরআন পাঠে পারদর্শী ব্যক্তি। এরপরে আগে হিজরতকারী ব্যক্তি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। অতঃপর আগে ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি; যদি নতুন মুসলমান হয়। অন্যথায় যার বয়স বেশী সেই ইমামতির হকদার হিসেবে সাব্যস্ত হবে। (রদ্দুল মুহতার:৪/২৩০)


ফায়দা : কোন মসজিদে নিয়মিত ইমাম থাকলে সেখানে এ নীতিমালা কার্যকর নয়। বরং মসজিদের নিয়মিত ইমামই ইমামতির হকদার সাব্যস্ত হবে। আর কোন মসজিদে নির্ধারিত ইমাম না থাকলে সেখানে নামায পড়ানোর জন্য অথবা কোথাও ইমাম নিয়োগ করতে হলে সে ক্ষেত্রে এ নীতিমালা অনুযায়ী অগ্রাধিকার সাব্যস্ত করা হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৫৭) এ নীতিমালা লংঘন করে যদি তুলনামূলক কম যোগ্যকে নিয়োগ দেয়া হয় অথবা তাকে দিয়ে নামায পড়ানো হয় তাহলে নিয়োগদাতাগণ অপরাধী সাব্যস্ত হবে। (শামী: ১/৫৫৯) অবশ্য নামায সহীহ হওয়ার শর্ত-শরায়েত পূর্ণ থাকলে তার ইমামতিতে নামায সহীহ হয়ে যাবে।



আদ দুররুল মুখতার প্রণেতা ইমামতীর অধিক হক্বদার কে হবে? এর আলোচনা করতে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করেছেন যে,


1.

যে ব্যক্তি নামাযের মাসআলার ব্যাপারে অধিক জানে উক্ত ব্যক্তি ইমামতীর অধিক যোগ্য হবে। যদি উপস্থিত সবাই নামাযের মাসআলায় সমান জ্ঞানী হয়, তাহলে-


2.

উপস্থিতদের মাঝে যার কিরাত সুন্দর হয়, সে ইমাম হবে। যদি এতেও সবাই বরাবর হয়, তাহলে-


3.

ঐ ব্যক্তি ইমাম হবে, যে অধিক বুজুর্গ তথা সন্দেহযুক্ত বস্তু থেকে বেশি পরিমান বেঁচে থাকে। যদি এতেও সবাই সমান সমান হয়, তাহলে-


4.

যে ব্যক্তি সবার চেয়ে বয়সে বড় হবে বা ইসলাম আগে গ্রহণ করেছে সে হবে ইমাম। যদি এ গুণেও উপস্থিত সবাই সমান হয়, তাহলে-


5.

যার চরিত্র উত্তম। যদিও এতেও সবাই বরাবর হয়, তাহলে-


6.

যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ তাহাজ্জুদ পড়ে উক্ত ব্যক্তি হবে ইমাম। যদি এ গুণেও সবাই সমান গুণান্বিত হয়, তাহলে-


7.

বংশের দিক থেকে যে ব্যক্তি উত্তম হবে সে ইমাম হবে। যদি এতেও সবাই বরাবর হয়, তাহলে-


8.

যে ব্যক্তি অধিক অভিজাত হবে সে ইমাম হবে। যদি এতেও সবাই বরাবর হয়, তাহলে-


9.

যার কণ্ঠ অধিক সুন্দর হবে সে ইমাম হওয়ার অধিক হকদার হবে। যদি উল্লেখিত সকল গুণে সবাই সমান সমান হয় তাহলে-a ثُمَّ الْأَحْسَنُ زَوْجَةً ثُمَّ الْأَكْثَرُ مَالًا ، ثُمَّ الْأَكْثَرُ جَاهًا (ثُمَّ الْأَنْظَفُ ثَوْبًا) ثُمَّ الْأَكْبَرُ رَأْسًا وَالْأَصْغَرُ عُضْوً 


রদ্দুল মুহতারে উক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে (قَوْلُهُ ثُمَّ الْأَحْسَنُ زَوْجَةً) لِأَنَّهُ غَالِبًا يَكُونُ أَحَبَّ لَهَا وَأَعَفَّ لِعَدَمِ تَعَلُّقِهِ بِغَيْرِهَا . وَهَذَا مِمَّا يُعْلَمُ بَيْنَ الْأَصْحَابِ أَوْ الْأَرْحَامِ أَوْ الْجِيرَانِ ، إذْ لَيْسَ الْمُرَادَ أَنْ يَذْكُرَ كُلٌّ مِنْهُمْ أَوْصَافَ زَوْجَتِهِ حَتَّى يَعْلَمَ مَنْ هُوَ أَحْسَنُ زَوْجَةً “তারপর প্রাধান্য পাবে ঐ ব্যক্তি যার স্ত্রী সুন্দরী” কারণ এক্ষেত্রে স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা থাকবে অধিক বেশি, ফলে অন্য মহিলাদের সাথে সম্পর্ক করা থেকে সে থাকবে অধিক নিরাপদ। আর এ বিষয়টি (কার স্ত্রী সুন্দরী) জানা যাবে সাথী সঙ্গী কিংবা প্রতিবেশি বা নিকত্মীয়গণ থেকে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এটা নয় যে, উপস্থিত সবাই স্বীয় স্ত্রীর গুণাবলী বলতে শুরু করে দিবে, যাতে কার স্ত্রী সুন্দরী তা জানা যায়।


 (قَوْلُهُ ثُمَّ الْأَكْثَرُ مَالًا) إذْ بِكَثْرَتِهِ مَعَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ الْأَوْصَافِ يَحْصُلُ لَهُ الْقَنَاعَةُ وَالْعِفَّةُ فَيَرْغَبُ النَّاسُ فِيهِ أَكْثَرَ 

“তারপর যার সম্পদ বেশি” যেহেতু পূর্বোল্লিখিত গুণসহ অধিক সম্পদশালীও হয়, তাহলে তার মাঝে অল্পে তুষ্টতা এবং আখলাকের পরিচ্ছন্নতা বেশি থাকা স্বাভাবিক। আর এমন ব্যক্তির প্রতি (স্বাভাবিকভাবে) মানুষের আগ্রহ থাকে বেশি। সূত্র: রদ্দুল মুহতার-২৬১

সারকথা হলো,  ইমাম সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী,  স্ত্রী যার সুন্দরী সে হকদার, এগুলো ফোকাহায়ে কেরাম এর কিয়াসি মাসয়ালা।


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

জিজ্ঞাসা -১২৭৪২: ফজর ও আসরের সময় ফেরেশতাদের ডিউটি পরিবর্তন হয়।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৭৪২: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।মুহতারাম,ফিরিশতাদের দুটোদল বান্দা কার্যক্রম দেখতে এসে আসর ও ফজরে মিলিত হয়ে রিপোর্ট করে," তাদেরকে সালাত অবস্হায় রেখে এসেছি,আল্লাহ বলেন, তোমরা সাক্ষি থাকো, এদের আমি ক্ষমা করে দিলাম।এসম্পর্কিত হাদীসটি বিশেষ প্রয়োজন।আরটি আবু সুমাইয়া মোঃ শাহজাহান শেখ,কুমিল্লা।। 


তারিখ:  ২৬/০৮/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো


حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ رَبُّهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ ‏"‏ ‏.‏

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)

অধ্যায়ঃ ৫। মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ (كتاب المساجد ومواضعِ الصلاة)

হাদিস নম্বরঃ ১৩১৮


১৩১৮-(২১০/৬৩২) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাতের বেলা ও দিনের বেলা মালায়িকাহ (ফেরেশতাগণ) এক দলের পর আর একদল তোমাদের কাছে এসে থাকে এবং তাদের উভয় দল ফাজর ও আসর সালাতের সময় একত্রিত হয়। অতঃপর যারা তোমাদের সাথে রাত্রি যাপন করেছে তারা উঠে যায়। তখন তাদের প্রভু মহান আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কিরূপ অবস্থায় রেখে আসলে? যদিও তিনি তাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। মালায়িকাহ তখন বলেন, আমরা যখন তাদেরকে ছেড়ে চলে আসলাম তখন তারা সালাত আদায় করছিল। আবার তাদের কাছে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনও তারা সালাত আদায় করছিল। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৩০৫, ইসলামীক সেন্টার ১৩১৭)


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর