আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আমল ও দুআ-২১: মুনাজাতে মকবুল হতে দুআ-১

No Comments

 












দু‘আ-১

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۲۰۱

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে। সূরাতুল বাকারা : ২০১


২. কুরআন মজীদের যে কোনো দু‘আর এক বৈশিষ্ট্য অর্থের ব্যাপকতা। তবে এর মধ্যেও এ দু‘আটি বোধহয় সর্বশ্রেষ্ঠ। সংক্ষেপ প্রার্থনায় তো এ দু‘আর পর আর কোনো দু‘আর প্রয়োজনই থাকে না।

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا (পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন) এক বচনের পরিবর্তে বহুবচনের ব্যবহার লক্ষণীয়। বান্দা শুধু নিজের জন্য দু‘আ করছে না, শুধু পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের জন্যও না; বরং আমাদের সকলকে, সকল মুসলিমকে শামিল করছে। এই যে প্রশস্ততা ও সর্বজনীনতা, ইসলামের বাইরে এটা খুবই বিরল।

حَسَنَةً (কল্যাণ) কল্যাণ ছাড়া আর কী হতে পারে বান্দার কাম্য? সেটিই কুরআন ব্যক্ত করেছে বান্দার নিজের ভাষায়। সে নিজের ও সকলের জন্য কল্যাণ প্রার্থনা করছে- উপস্থিত ও তাৎক্ষণিক কল্যাণ এ দুনিয়ায়, আর প্রকৃত ও চিরস্থায়ী কল্যাণ আখেরাতে।

কোনো কোনো বাঁকা চিন্তার লোক فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ এ আয়াত থেকে দুনিয়ার চাওয়ার বিধান বুঝতে চেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মূর্খতা। ফিদ্দুনিয়া ও ফিল আখিরাহ (দুনিয়াতেও এবং আখিরাতেও) -এ তো শুধু স্থানের কথা। প্রার্থিত বস্তু তো ‘হাসানা’ ও কল্যাণ, এখানেও-ওখানেও, আজও-আগামীকালও।

হাসানা’ শব্দটি এত প্রশস্ত ও সারগর্ভ যে, দুনিয়া-আখিরাতের সকল কাম্য বস্তু এতে শামিল।

وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ (আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে)। জাহান্নামের আযাবই তো পানাহ চাওয়ার চূড়ান্ত বিষয়। এ থেকে পানাহ চাওয়া ও পাওয়ার পর তো আর কোনো কিছুরই শঙ্কা থাকে না। এখানে বহুবচন ব্যবহারও লক্ষণীয়। বান্দা শুধু নিজের জন্য নয়, সবার জন্য পানাহ চাচ্ছে।