জিজ্ঞাসা-১২৭৩৫:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।আছছালামু আলাই কুম ওয়ারহমাতুল্লহ। মুহতারম, কাবিলের মরণ কাহিনী,হিরোশিমায় বোমাবর্ষণকারীর শেষ পরিণতি প্রয়োজন ছিল। ঐতিহাসিক কুখ্যাত ব্যক্তিদের মরণ কাহিনী সম্পর্কে কিছু লেখার ইচ্ছেহলো তাই। অনেক চেষ্টা করে ও কাবিলের মরণ কাহিনী কোথাও পেলামনা। আমার ধারণামতে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে ণা। কারণ অন্যায় খুনিকে মহান আল্লাহপাক দুনিয়াতেও ছাড়দেয়না।
তারিখ: ২৬/০৮/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মাহবুবুর রহমান পিরোজপুর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হাবিলকে হত্যা করার পর কাবিল কিভাবে মৃত্যু বরণ করেছিল, এর কোনো সুস্পষ্ট বর্ণনা পবিত্র কুরআন-হাদিস ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ নেই। যা পাওয়া যায় সবগুলো ইসরাইলী বর্ণনা। যেমন,
لم تُذكر التفاصيل التي توضح مصير قابيل وموته في السير النبوية أو في القرآن الكريم.
بل ذُكرت ضمن قصص أهل الكتاب، وتعتبر ليست مؤكدة ولا منفية.
ولا نستطيع الجزم حول صحتها، لعدم إثبات صحة كتبهم بالأصل.
وجاء ذكر قابيل بعد أن قتل هابيل أنه اتجه هاربًا إلى اليمن.
واتبعته الصفات السيئة، حيث أقدم على عبادة النار وتوارث نسله هذه العبادة، وفعلوا الفواحش ما ظهر منها وما بطن.
واستمر نسلهم حتى أُهلكوا في الطوفان العظيم الذي كان في زمن نبي الله نوح عليه السلام.
অর্থাৎ কাবিলের ভাগ্য ও মৃত্যুর বিস্তারিত বর্ণনা হাদিসে নববি বা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়নি।
বরং আহলে কিতাবদের কাহিনীর মধ্যে এটি উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটিকে নিশ্চিত বা অস্বীকার করা হয়নি।
এবং আমরা এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি না, কারণ তাদের বইগুলির সত্যতা প্রথম স্থানে প্রমাণিত নয়।
হাবিলকে হত্যা করার পর কাবিল ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এবং খারাপ গুণাবলী তাকে অনুসরণ করেছিল, যেহেতু তিনি আগুনের উপাসনা করেছিলেন এবং তার বংশধররা এই উপাসনার উত্তরাধিকারী হয়েছিল এবং তারা প্রকাশ্য এবং গোপন উভয়ই জঘন্য কাজ করেছিল।
এবং তাদের বংশধররা চলতে থাকে যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নবী নূহ (আঃ)-এর সময়কার মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, কাবিল কি কাফের না পাপিষ্ঠ অবস্থায় মারা গিয়েছে,এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে নির্ভরযোগ্য মত হলো, কাফির নয়, গুনাহ গার অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছিল। সূত্র: আল-আদাবু ওয়াল আখলাকি ওয়ার রকায়িক -১৫০৬১৫
সারকথা হলো, অতীতের ইতিহাস কুরআন ও হাদীসে যা পাওয়া যায়, তা নির্ভরযোগ্য। বাকি গুলো নিরাপদ নয়। আহলে কিতাবের বর্ণনা।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক