দৃষ্টি, শ্রবণের সুস্থতা, দারিদ্র্যমুক্তি ও নিরাপত্তার দোয়া
اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ .
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ
এই দোয়া পড়লে ধন সম্পদ এতো বাড়বে রাখারা জায়গা পাবেন না, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে, বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে, যারা কানে কম শুনে তাদের শিফা হবে, মনের আশা পূর্ণ হবে, কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাবেন। ইংশা-আল্লাহ।
বিস্তারিত:
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْجَلِيلِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِيهِ يَا أَبَةِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَدْعُو كُلَّ غَدَاةٍ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي . فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ . قَالَ عَبَّاسٌ فِيهِ وَتَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي فَتَدْعُو بِهِنَّ فَأُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعَوَاتُ الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى صَاحِبِهِ .
আব্বাস ইবনে আব্দুল আজীম (রাহঃ) ...... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকরা (রাহঃ) একদা তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আমার পিতা! আমি আপনাকে প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ দুআটি তিনবার পাঠ করতে শুনি, এর কারণ কি? দুআ হলোঃ ’ইয়া আল্লাহ! আমার দেহকে রোগমুক্ত রাখুন, আমার কান ও চোখকে রোগমুক্ত রাখুন, আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই।’ জবাবে তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ দুআ পাঠ করতে শুনেছি; আমি তাঁর সুন্নতের উপর আমল করতে পছন্দ করি।
রাবী আব্বাস (রাহঃ) এক বর্ণনায় বলেন, নবী (ﷺ) বলতেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কুফরী ও মুহতাজী থেকে পানাহ চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এ দুআ তিনবার পাঠ করতেন-সকালে এবং সন্ধ্যায়। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ দুআ পাঠ করতে শুনেছি; আমি তার সুন্নতের উপর আমল করতে পছন্দ করি।
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বিপদগ্রস্ত লোকের দুআ হলোঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার রহমতের প্রত্যাশী, আপনি আমাকে আমার নফসের হাতে সমর্পণ করবেন না এক মুহূর্তের জন্য। আর আপনি আমার সব ব্যাপার সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করে দিন। আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। কোন কোন বর্ণনাকারী শব্দের মধ্যে বেশী-কম করে বর্ণনা করেছেন।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০০২ (আন্তর্জাতিক নং ৫০৯০)
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক হাসান)
বর্ণনাকারী: আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকরা (রহঃ), আবু বাকরা (রাঃ) (মৃত্যু ৫১ হিজরী)