গুনাহ মাফের দুআ (আয়াত)-০২
رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیْ لِلْاِیْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا ۖۗ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ كَفِّرْ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الْاَ بْرَارِۚ۱۹۳
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা এক আহ্বানকারীকে ঈমানের দিকে আহ্বান করে বলতে শুনেছি, ‘ঈমান আন তোমাদের পালনকর্তার উপর’ তখন আমরা ঈমান এনেছি (এ ঈমানের প্রতিদান আমাদের দান করুন)।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এরপর (আবেদন এই যে) আমাদের (বড় বড়) গুনাহ মাফ করুন এবং আমাদের (ছোট ছোট) ভুল-ত্রুটিও মার্জনা করুন। আর নেককারদের সাথে আমাদের মৃত্যু নসীব করুন। (নেককারদের মতো শুভ পরিণামও একটি নেয়ামত)।১০
-সূরা আলে ইমরান : ১৯৩
১০. مُنَادِیًا (এক আহ্বানকারী)। অর্থাৎ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সাহাবীগণ তাঁর আহ্বান সরাসরি শুনেছেন আর পরবর্তীগণ তাঁর নায়েব ও সুন্নাহর মাধ্যমে।
শরীয়তে শুধু ঈমানও অনেক বড় সম্পদ।
فَاغْفِرْ لَنَا (এরপর আবেদন এই যে, আমাদের ক্ষমা করুন)। এ বাক্যে ف শব্দটি تعقيب এর অর্থ দিচ্ছে। অর্থাৎ ঈমান আনার পরও তো গুনাহ হতে পারে। মাসুম নন এমন শ্রেষ্ঠ মুত্তাকীরও কিছু-কিছু গুনাহ হয়ে যায়। শুধু ঈমানের কারণে এসব গুনাহ মাফ হয়ে যায় না। এ জন্য আলাদাভাবে ছোট-বড় গুনাহের বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা হচ্ছে। (বয়ানুল কুরআন)
وَ كَفِّرْ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا (এবং আমাদের ভুল-ত্রুটিও মার্জনা করুন)। মুমিন হওয়ার অর্থ, মাসুম ও নিষ্পাপ হওয়া নয়। তবে মুমিনের বৈশিষ্ট্য, সর্বদা ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা এবং দু‘আ-ইস্তিগফারে মশগুল থাকা। (অন্তর থেকে দু‘আ করতে থাকাও ঘাটতি পূরণের এক উত্তম উপায়)।