আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আমল ও দুআ-১০৬: প্রার্থনা করছি, মহিমান্বিত কুরআনকে করুন আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার চোখের জ্যোতি, আমার বেদনার মলম ও আমার দুশ্চিন্তার উপশম।

No Comments

 



দু‘আ-১০৯

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَآؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْعَلَّمْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ بَصَرِيْ، وَجِلَآءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّىْ.

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, পুত্র আপনার দাসের, পুত্র আপনার দাসীর। আমার ঝুঁটি (পূর্ণ সত্তা) আপনার কব্জায়। আমার উপর আপনার বিধানই কার্যকর। আমার সম্পর্কে আপনার ফয়সালা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। আমি আপনার সকল নামের তোফায়েলে যা দ্বারা নিজেকে আপনি গুণান্বিত করেছেন কিংবা আপন কিতাবে নাযিল করেছেন কিংবা নিজের কোনো সৃষ্টিকে শিক্ষা দিয়েছেন কিংবা আপনার কাছেই গোপন রেখেছেন, প্রার্থনা করছি, মহিমান্বিত কুরআনকে করুন আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার চোখের জ্যোতি, আমার বেদনার মলম ও আমার দুশ্চিন্তার উপশম। সূত্র: মিশকাত -২৪৫২; তবারানী, মুসতাদরাক


মতন বা মূল হাদিস:


وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ كَثُرَ هَمُّهُ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ وَفِي قَبْضَتِكَ نَاصِيَتِي بِيَدِكَ مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قلبِي وجِلاء هَمِّي وغَمِّي مَا قَالَهَا عَبْدٌ قَطُّ إِلَّا أَذْهَبَ اللَّهُ غمه وأبدله فرجا ". رَوَاهُ رزين

أحمد، 6/ 247، برقم 3712، ورقم 4318، والحاكم، 1/509، والطبراني في المعجم الكبير، 9/ 13، والبزار، 5/ 363، وابن أبي شيبة، 10/ 253، وحسنه الحافظ ابن حجر في تخريج الأذكار، وصححه الألباني في تخريج الكلم الطيب، ص73.


ফায়দা: অর্থাৎ কুরআনকে আমার দিলে বসিয়ে দিন, কুরআনের আকর্ষণ আমার প্রাণে মিশিয়ে দিন, আর কুরআনকেই আমার প্রথম ও শেষ ভরসা বানিয়ে দিন।

إِنِّىْ عَبْدُكَ 

বাদশাহের করুণা প্রার্থনার কী আবেদনপূর্ণ শিরোনাম “ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, আমার পিতা আপনার দাস, আমার মাতা আপনার দাসী। আমার অস্তিত্বের প্রতিটি কণায় আপনারই দাসত্বের মোহর অঙ্কিত।

نَاصِيَتِىْ بِيَدِكَ 

(আমার ঝুঁটি আপনার কব্জায়)। পরিভাষায় এখতিয়ার ও কর্তৃত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। আরো দেখুন টীকা ১৭৩

أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ 

(আপনার কাছেই গোপন রেখেছেন)। এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তা‘আলার এমন কিছু নাম ও গুণ আছে, যা কোনো মানুষকে জানানো হয়নি এবং কোনো আসমানী কিতাবেও উল্লেখ করা হয়নি; বরং আল্লাহ তা‘আলা সবার নিকট থেকে তা গোপন রেখেছেন।

أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ  

‘ইসম’ শব্দের প্রসিদ্ধ অর্থ নাম। কিন্তু কুরআনী পরিভাষায় গুণ ও বৈশিষ্ট্যের উপরও এ শব্দের প্রয়োগ হয়েছে।

জিজ্ঞাসা-১২৫৪০: লোকমা দেওয়ার জন্য কোন বাক্য বলা উত্তম।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৫৪০:

আসসালামু আলাইকুম।

মুক্তাদি আল্লাহু আকবার বলে লুকমা দেয়ার দলীল দরকার। মায়াচ্ছালাম

তারিখ:  ১৩/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

মাওলানা জমির উদ্দিন, কুষ্টিয়া থেকে


  জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, নামাজের মধ্যে ইমামের কোন ভুল হলে তাকে সতর্ক করার জন্য সুবহানাল্লাহ বলা সুন্নাত তবে আল্লাহু আকবার বা অন্য তাসবিহ বলাও জায়েজ।

দলিল: 


হাদিস নং -০১

، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءٍ كَانَ بَيْنَهُمْ شَىْءٌ، فَخَرَجَ يُصْلِحُ بَيْنَهُمْ فِي أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَحُبِسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتِ الصَّلاَةُ، فَجَاءَ بِلاَلٌ إِلَى أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ حُبِسَ وَقَدْ حَانَتِ الصَّلاَةُ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَؤُمَّ النَّاسَ قَالَ نَعَمْ إِنْ شِئْتَ. فَأَقَامَ بِلاَلٌ الصَّلاَةَ، وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَكَبَّرَ لِلنَّاسِ، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي فِي الصُّفُوفِ يَشُقُّهَا شَقًّا، حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، فَأ يُصَلِّيَ، فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ يَدَهُ، فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى لِلنَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَىْءٌ فِي الصَّلاَةِ أَخَذْتُمْ بِالتَّصْفِيحِ إِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ، مَنْ نَابَهُ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ ". ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ لِلنَّاسِ حِينَ أَشَرْتُ إِلَيْكَ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا كَانَ يَنْبَغِي لاِبْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

কুতাইবা (রাহঃ) ... সাহ‌ল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, কুবায় বনূ আমর ইবনে আওফ গোত্রে কোন ব্যাপার ঘটেছে। তাদের মধ্যে মীমাংসার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে নামাযের সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলেন, হে আবু বক‌র! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্মব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে নামাযের সময় উপস্থিত। আপনি কি লোকদের ইমামতী করবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ যদি তুমি চাও। তখন বিলাল (রাযিঃ) নামাযের ইকামত বললেন এবং আবু বক‌র (রাযিঃ) এগিয়ে গেলেন এবং তাক‌বীর বললেন।


তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাশরীফ আনলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তখন তাস্‌ফীক‌ করতে লাগলেন। সাহ্‌ল (রাযিঃ) বললেন, তাস্‌ফীক‌ মানে তাস‌ফীক (হাতে তালি দেওয়া) তিনি আরো বললেন, আবু বক‌র (রাযিঃ) নামাযে এদিকে সেদিকে তাকাতেন না। মুসল্লিগণ বেশী (হাত চাপড়াতে শুরু) করলে, তিনি লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে দেখতে পেলেন। তিনি তাঁকে ইশারায় নামায আদায় করার আদেশ দিলেন। তখন আবু বক‌র (রাযিঃ) তাঁর দু’হাত তুললেন এবং আল্লাহর হাম‌দ বর্ণনা করলেন। তারপর পিছু হেঁটে পিছনে সরে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সামনে এগিয়ে গেলেন এবং মুসল্লীগণকে নিয়ে নামায আদায় করলেন।


নামায শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে? নামাযে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে শুরু করো কেন? হাত চাপড়ান তো মেয়েদের জন্য। নামাযরত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুব‌হানাল্লাহ বলবে। তাখরিজ: বুখারি-১২১৮



হাদিস নং -০২

- عَنْ ابْنِ بُحَيْنَةَ أَنَّ النَّبِيَّ اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَسَبَّحُوا فَمَضَى فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ.

ইবন বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে দু’রাকআতের পরে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন সাহাবায়ে কিরাম “সুবহানাল্লাহ” বলে উঠলেন। কিন্তু তিনি সালাত চালিয়ে গেলেন। তারপর যখন তিনি সালাতের শেষ অবস্থায় পৌছলেন, তখন দু’টি সিজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। (সুনানে নাসায়ী, হাদিস নং- ১১৭৮, হাদিসের মান: সহিহ )


এ ব্যাপারে শায়েখ ইবনে বাজ রহ কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জবাবে বলেন,

لا مانع أن يرفع صوته بقوله: الله أكبر! أو سمع الله لمن حمده للتنبيه أنه يصلي أو يقول: (سبحان الله) لا مانع منه، أما (من) فلا حاجة إليها، لا حاجة أن يقول: من، لكن يقول: الله أكبر، أو سبحان الله حتى ينتبه من يريد تنبيهه. نعم

অর্থাৎ আল্লাহ আকবার অথবা সুবহানাল্লাহ অথবা সামিয়াল্লাহু হুলিমান হামিদা দ্বারা ইমামকে সতর্ক করতে কোন বাধা নেই। সূত্র: তাতবিকু মাউসুআতুল ফাতাওয়াল বাজিয়া, শায়েখ ইবনে বাজ রহ এর ওয়েব সাইট থেকে



সারকথা হলো,  নামাযে ইমামের কোনো ভুল হলে “সুবহানাল্লাহ” বলে লোকমা দেওয়াই সুন্নাহ, এটাই আইম্মায়ে আরবার  সিদ্ধান্ত। 

 কেউ যদি “আল্লাহু আকবার “বলে লোকমা দেয়, তাহলে তার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। তবে সুন্নাহ হচ্ছে “সুবহানাল্লাহ” বলেই লোকমা দেয়া। আর সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করাই আমাদের কর্তব্য।


 

 والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক 

কবিতা-০৯: প্রভাত হলো - জসিম বিন আখতার

No Comments

 


প্রভাত হলো 

- জসিম বিন আখতার



প্রভাত হলো 

- জসিম বিন আখতার


রাতের আঁধার পেড়িয়ে গেছে

কাক ডাকছে কা কা

ঊষার আকাশ রঙ্গীন হলো

যায়না ঘুমে থাকা ।


ক্ষাণিক দূরে মিনার চূড়ে

ডাকছে মুয়াজ্জিন 

হৃদয় জুড়ে পাখির সুরে 

উঠলো বেজে বীণ ।


অযু করে পড়ব সালাত 

মন করেছি স্থির 

মহান প্রভুর কৃতজ্ঞতায়

করব নত শির ।


অলস ঘুমে থাকব না আর 

লাফিয়ে এবার উঠি

আঁধার গেল প্রভাত হলো

জলদি করে ছুটি ।


   শাহাপুর, ইবি – কুষ্টিয়া

তারিখ – ২৭/০৩/২০০৫

আমল ও দুআ-১০৫: পবিত্র রিযিক, উপকারী ইলম ও মাকবুল আমলের প্রার্থনা

No Comments

 











দু‘আ-১০৮

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ رِزْقًا طَيِّبًا وَّعِلْمًا نَّافِعًا وَّعَمَلًا مُّتَقَبَّلًا.

ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে চাই পবিত্র রিযিক, উপকারী ইলম ও মাকবুল আমল।

-তবারানী; সুনানে ইবনে মাজা', হাদীস নং ৯২৫


মতন বা মূল হাদিস:

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ يُسَلِّمُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً ‏"‏ ‏.‏

৯২৫। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)... উন্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (ﷺ) যখন ফজরের সালাত আদায় করতেন, তখন সালামের পরে এই দু'আ পড়তেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً

"হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী 'ইলম, উত্তম রিযক এবং মকবূল আমল চাই।”

—সুনানে ইবনে মাজা', হাদীস নং ৯২৫ (আন্তর্জাতিক নং ৯২৫)

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)

বর্ণনাকারী: উম্মুল মু'মিনীন উম্মে সালামা (রাঃ)


ফায়দা: সুস্থ স্বভাবের মানুষমাত্রই এ তিন মৌলিক প্রার্থনাকে যথেষ্ট মনে করবে- এক. পবিত্র জীবিকা, দুই. উপকারী ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান, তিন. আল্লাহর কাছে মাকবুল আমল।

কবিতা-০৮: ঘোর কেয়ামত- জসিম বিন আখতার

No Comments

 











ঘোর কেয়ামত

- জসিম বিন আখতার

কমল কন্টকা ফুটবেনা আর সরোবর ঐ নিশ্চুপে

শ্রীমতী বসুধা পরিণত হবে ধ্বংস লীলার স্তুপে ।

শশধর আর বিলাবে না তার স্নিগ্ধ আলোকধারা

আঁধার এ ভূবন নিরব নিথর জাগাবে না কো সাড়া ।

ভূপাতিত হবে সুরম্য প্রাসাদ কারামত শরাফত

উদিলে অরুন কা’বার আকাশে নাশি ঘোর কেয়ামত ।

আস্তাকুঁড়ে খসে পড়বে যে সন্ধ্যা নামের তারা

হত বিহব্বল থাকবে সবাই পেরেশান দিশেহারা ।

আঁধারে আলোর প্রমাদ ঘটাও তুমিই মহান প্রভু

তব কৃপা ঢেলে না দিলে আমরা মুক্তি পাবো না কভু ।


    জামেয়া ই কাসেমিয়া – নরসিংদী

   তারিখ ২৪/০৬/২০০৩


আমল ও দুআ-১০৪: নিশ্চয়ই শুধু আপনিই দেখান উত্তম কর্ম ও চরিত্রের পথ।

No Comments

 












اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ خَطَايَايَ وَذُنُوْبِيْ كُـلَّهَا. اَللّٰهُمَّ انْعَشْنِيْ وَأَحْيِنِيْ وَارْزُقْنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِصَالِحِ الْأَعْمَالِ وَالْاَخْلَاقِ، إِنَّهٗ لَا يَهْدِيْ لِصَالِحِهَا وَلَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَاۤ إِلَّا أَنْتَ.

ইয়া আল্লাহ! আমার সকল ভ্রান্তি ও পাপ ক্ষমা করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে উচ্চতা দিন, আমাকে জীবিত রাখুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমাকে উত্তম কর্ম ও চরিত্রের পথনির্দেশ দান করুন। নিশ্চয়ই শুধু আপনিই দেখান উত্তম কর্ম ও চরিত্রের পথ এবং শুধু আপনিই রক্ষা করেন গর্হিত কর্ম ও চরিত্র থেকে।

-মুসতাদরাক, তবারানী-৪৫৮০



মতন বা মূল হাদিস:

أبي أيوب قال : ما صليت وراء نبيكم صلى الله عليه وسلم إلا سمعته حين ينصرف من صلاته يقول: اللهم اغفر لي خطئي وذنوبي كلها، اللهم وانعشني واجبرني واهدني لصالح الأعمال والأخلاق إنه لا يهدي لصالحها ولا يصرف عني سيئها الا أنت..... وقال الهيثمي في المجمع إسناده جيد.

ইসলামের সোনালী জীবনের ঘটনা।

No Comments

 



মদীনার এক সম্ভ্রান্ত ঘরে জন্ম নিলেন এক শিশু। ইলম অনুরাগী পরিবারের সন্তান হয়েও সেই শিশুটির মনে স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে গায়ক হবে! দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন মা। কচি মন। তাকে শুধু নিষেধ করলেই তো হবে না, বরং বুঝিয়ে বলতে হবে পরম আদরে। মা তাই বেছে নিলেন ভিন্ন পন্থা। আদরের পুত্রকে কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, “ বাবা, ভালো গায়ক হতে গেলে তো সুমিষ্ট কণ্ঠের পাশাপাশি দেখতেও সুশ্রী হতে হবে। কিন্তু দেখো, তোমায় একদম গায়কদের মতো দেখাচ্ছে না যে! ” মায়ের কাছে এ কথা শুনে পুত্রের মাথা থেকে গায়ক হবার ভূত দূর হলো।


পুত্রের বয়স যখন ছয়, তখন থেকেই মা তাকে আলেমদের মতো পোশাক পরিয়ে মাথায় পাগড়ি বেঁধে দিতেন। যেন ছেলের মনে আলেম হবার বাসনাই লালিত হয়। 


সেই শিশুটি বড় হয়ে ইসলামী জ্ঞানের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হন! তাঁর নাম- ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ! 


চলুন জেনে নিই অন্য একজন মায়ের কথা। যিনি তাঁর শিশুপুত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “ হে মুহাম্মদ! আমরা দরিদ্র, অসহায় মানুষ। আমি আমার জীবনের সমস্ত শখ আহ্লাদ তোমার জন্য বিসর্জন দিলাম। আমি চাই তুমি একজন আলেম হয়ে মুসলিম উম্মাহর খেদমত করো। ” 

শিশুমনে দাগ কাটে সে কথা। ইলমের সাধনায় নিজেকে সঁপে দিলেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মক্কার হারাম শরীফের মুফতির কাছ থেকে তিনি পেয়ে যান ফতোয়া দেবার সুপারিশ। কে সেই বালক? আর কেউ নন, ইলমপিপাসু আরেক ইমাম, ইমাম আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ। 


আর্থিক দীনতার দরুন ইলমের মজলিসে বালক শাফে'ঈ যখন যেতেন, কাপড় থাকতো ধুলিমলিন। শিক্ষক তাকে তেমন একটা খেয়াল করতেন না। ছোট্ট মন আহত হলো। মা কে এসে জানালেন সে কথা। সেই মহিয়সী মা কি জবাব দিয়েছিলেন তা কি আমরা জানি? তিনি পুত্রকে উত্তমরূপে নসীহাহ দিলেন, “ বাবা, তোমার কাজ তো জ্ঞানার্জন করা। কেউ তোমার দিকে খেয়াল না দিলেই বা কি আসে যায়! তুমি শুধু শুনে যাবে উস্তাদ কী শেখাচ্ছেন। ” 


সালাফদের জীবনী পাঠ করলে এমন আরো অনেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। যেখানে একেকজন হাদীস বিশারদ, ফিক্বহ প্রণেতা কিংবা ইলমের অনুসন্ধানী ব্যক্তিত্বের অনুপ্রেরণা হিসেবে তাঁদের মায়েরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে আমরা ভুলতে বসেছি নারীর এই মহান দায়িত্বের কথা। 


একজন শিশু নরম একতাল কাদামাটির ন্যায়। তাকে যে আকৃতিতে রূপ দেয়া হবে, সেভাবেই সে গড়ে উঠবে। গর্ভে থাকাকালীন মায়ের জীবনাচার শিশুর উপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। মায়ের গর্ভ হতে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবার পরবর্তী সময় থেকে তারুণ্যে পদার্পণ করবার পূর্ব পর্যন্ত সবচাইতে বেশি সময় সে কাটায় নিজের মায়ের সাথে। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে শিশুর উত্তম তারবিয়ত গঠনে মা যেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, সে সুযোগ বোধকরি অন্য আর কারো অতোটা হয়ে ওঠে না। কিন্তু আজ আমরা তা ভুলতে বসেছি। চোখ ধাঁধানো ক্যারিয়ার অর্জন কিংবা আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করবার ব্যবস্থা করতে গিয়ে আমাদের উম্মাহর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আমরা অবহেলা করে ফেলছি। 


তার ফলাফল হিসেবে আজকের প্রজন্ম ভোগবাদী এ সমাজের স্রোতে গা ভাসিয়েছে। অসুস্থ ট্রেন্ডে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, পশ্চিমা সমাজের চাকচিক্যময় জগতের মোহে হারিয়ে যাওয়া যেন খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রায়ই এসব নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হই। কিন্তু এ সমস্যার মূল অনুসন্ধান করে তা গোড়া থেকে উপড়ে ফেলার প্রয়াসে তৎপর হতেই যেন আমাদের বড্ড অনীহা। একজন মা-ই পারেন শিশুর অন্তরের গহীনে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতে। তাকে ছোটকাল থেকেই শোনাতে হবে খলীফা উমর (রা.) এর ন্যায়বিচারের কথা, আবু বকর (রা.) এর প্রজ্ঞা, আলী (রা.) এর জ্ঞান ও শৌর্যবীর্যের, এবং উসমান (রা.) এর দানশীলতার কথা। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.), খাদিজা (রা.) এর বিদূষিতার কথা তাদের জানাতে হবে। তাহলে তার কাছে সুপারহিরো হবেন তাঁরাই। নিজের জীবনকে তাঁদের রঙে রাঙানোর ইচ্ছে লালন করে সে বেড়ে উঠবে ধীরে ধীরে। 


হযরত লোকমান হাকীমের স্বীয় সন্তানকে দেয়া উপদেশসমূহের আলোকে শিশুদের নিম্নোক্ত শিক্ষা দেয়ার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে: 


১. শিরকের বিরুদ্ধে সচেতন করা এবং তা থেকে বিরত রাখা।

২. আল্লাহর সিফাত সম্বন্ধে সঠিক ধারণা দেয়া। তিনি যে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কাজ সম্বন্ধেও অবগত আছেন, তা তাদের মনে দৃঢ়মূল করে দেয়া। এটি তাদের অন্তরে তাকওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করবে।

৩. মা-বাবার সেবা করা।

৪. ছোটবেলা থেকেই নামাজে অভ্যস্তকরণ।

৫. যাকাত, দান সাদাকাহ ইত্যাদিতে অনুপ্রাণিত করা ও দুঃস্থ মানবতার সেবায় তাদের উদ্বুদ্ধ করা।

৬. সৎকাজের দিকে মানুষকে আহ্বান করা এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখবার ব্যাপারে সোচ্চার করা।

৭. অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠার কাজে প্রতিবন্ধকতা এলে তা মোকাবেলায় ধৈর্যের অনুপ্রেরণা দান।

৮. মানুষের প্রতি মনোযোগী, বিনয়ী হওয়া। অহংকারী না হওয়া।

৯. উত্তম আখলাকের অধিকারী হওয়া। মার্জিত, মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা।

১০. মানুষের সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলতে অভ্যস্ত হওয়া।


বর্তমান এ সমাজে একজন সন্তানকে উত্তম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। ধৈর্যের সঙ্গে এ কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য নিজেকে প্রয়োজনে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। দ্বীনি ইলম অর্জন করে নিজেকে একজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে প্রস্তুত করতে হলে শুদ্ধ নিয়তের মাধ্যমে এখন থেকেই সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। যাতে করে নিজের অন্য সকল লক্ষ্যের পাশাপাশি জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী গঠনের কারিগর হতে পারা নিজের অন্যতম মিশন হয়ে দাঁড়ায়। 


গ্রন্থ সহায়তা:

১. আদর্শ সমাজ গঠনে নারী- শামসুন্নাহার নিজামী 

গড়ে তুলি অগ্রপথিক

~ সাবিহা সাবা

প্রভাতী মলয় - জসিম বিন আখতার

No Comments

 




প্রভাতী মলয়  

- জসিম বিন আখতার


রাতের নিঝুম কেটে 

প্রাতের প্রান্ত ফেটে

আলোকের ঘনঘটা শুরু,

আঁধারের বুক চিরে

   আসে আলো ধীরে ধীরে

    বিহঙ্গে ভরে যায় তরু ।


প্রভাতী মলয় যেন

তুলিছে প্রলয় হেন 

কোকিলের কুহু কুহু রবে ,

আযানের সুর ধরি 

নেচে যায় হুর পরী

শুনে তাই জেগে ওঠে সবে ।


চারিদিকে হাসি খুশি

আনন্দ রাশি রাশি

নীশিথের ফুল যবে ফুটে ,

রাতের আঁধার ঘিরে

সকল ধাঁধাঁর ভীড়ে

বেদনার দিন গেল টুটে ।


বকুল আর গোলাপে

মেতে ওঠে প্রলাপে

বাগানে ফুটে শত জুঁই ,

পূবাকাশ ফর্সা 

নেই কোন বর্ষা 

সূর্যটা ওঠে ওঠে ওই ।


শাহাপুর, ইবি – কুষ্টিয়া

         তারিখ – ২৩/০৪/২০০৫

আমল ও দুআ-১০৩: সর্বাঙ্গনে নূর কামনা

No Comments

 












দু‘আ-১০৩

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِيْ قَلْبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَصَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ سَمْعِيْ نُوْرًا، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ نُوْرًا، وَعَنْ شِمَالِيْ نُوْرًا، وَمِنْ خَلْفِيْ نُوْرًا، وَمِنْ أَمَامِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ لِيْ نُوْرًا، وَفِيْ عَصَبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لَحْمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ دَمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ شَعْرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَشَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لِسَانِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ فِيْ نَفْسِيْ نُوْرًا، وَأَعْظِمْ لِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِيْ نُوْرًا،

وَ مِنْ تَحْتِيْ نُوْرًا، اَللّٰهُمَّ اَعْطِنِيْ نُوْرًا.

ইয়া আল্লাহ! আলো দিন আমার অন্তরে, আলো দিন আমার দৃষ্টিতে, আলো দিন আমার শ্রবণশক্তিতে, আলো দিন আমার ডানে, আলো দিন আমার বামে, আলো দিন আমার পিছনে, আলো দিন আমার সামনে, আলো দিন আমাকে এক বিশেষ আলো, আলো দিন আমার ধমনীতে, আলো দিন আমার গোশতে, আলো দিন আমার রক্তে, আলো দিন আমার চুলে, আলো দিন আমার চামড়ায়, আলো দিন আমার জিহ্বায়, আলো দিন আমার প্রাণে, আলো দিন আমাকে - বড় আলো, পরিণত করুন আমাকে আলোতে, আলো দিন আমার উপরে, আলো দিন আমার নীচে, ইয়া আল্লাহ! আমাকে আলো দিন।

-বুখারী, মুসলিম

মতন বা মূল হাদিস:

6316 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: بِتُّ عِنْدَ مَيْمُونَةَ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَى حَاجَتَهُ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ نَامَ، ثُمَّ قَامَ، فَأَتَى القِرْبَةَ فَأَطْلَقَ شِنَاقَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا بَيْنَ وُضُوءَيْنِ لَمْ يُكْثِرْ وَقَدْ أَبْلَغَ، فَصَلَّى، فَقُمْتُ فَتَمَطَّيْتُ، كَرَاهِيَةَ أَنْ يَرَى أَنِّي كُنْتُ أَتَّقِيهِ [ص:70]، فَتَوَضَّأْتُ، فَقَامَ يُصَلِّي، فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ، فَأَخَذَ بِأُذُنِي فَأَدَارَنِي عَنْ يَمِينِهِ، فَتَتَامَّتْ صَلاَتُهُ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً، ثُمَّ اضْطَجَعَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ، وَكَانَ إِذَا نَامَ نَفَخَ، فَآذَنَهُ بِلاَلٌ بِالصَّلاَةِ، فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ، وَكَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي بَصَرِي نُورًا، وَفِي سَمْعِي نُورًا، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ يَسَارِي نُورًا، وَفَوْقِي نُورًا، وَتَحْتِي نُورًا، وَأَمَامِي نُورًا، وَخَلْفِي نُورًا، وَاجْعَلْ لِي نُورًا» قَالَ كُرَيْبٌ: وَسَبْعٌ فِي التَّابُوتِ، فَلَقِيتُ رَجُلًا مِنْ وَلَدِ العَبَّاسِ، فَحَدَّثَنِي بِهِنَّ، فَذَكَرَ عَصَبِي وَلَحْمِي وَدَمِي وَشَعَرِي وَبَشَرِي، وَذَكَرَ خَصْلَتَيْنِ،

৫৮৭৭। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাত কাটালাম। তখন নবী (ﷺ) উঠে তার প্রয়োজনাদি সেরে মুখ-হাত ধুয়ে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে আবার জেগে উঠে পানির মশকের নিকট গিয়ে এর মুখ খুললেন। এরপর মাঝারি রকমের এমন উযু করলেন যে; তাতে বেশী পানি লাগালেন না। অথচ পুরা উযুই করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করতে লাগলেন। তখন আমিও জেগে উঠলাম। তবে আমি কিছু দেরী করে উঠলাম। এজন্য যে, আমি এটা পছন্দ করলাম না যে, তিনি আমার অনুসরণকে দেখে ফেলেন। যা হোক আমি উযু করলাম। তখনও তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। সুতরাং আমি গিয়ে তাঁর বামদিকে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমার কান ধরে তার ডানদিকে আমাকে ঘুরিয়ে নিলেন।

এরপর তার তেরো রাকআত নামায পূর্ণ হলো। তারপর তিনি আবার কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাকও ডাকতে লাগলেন। তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি ঘুমে নাক ডাকতেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে জাগালেন। তখন তিনি নতুন উযু না করেই নামায আদায় করলেন। তার দুআর মধ্যে এ দুআও ছিলঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে-বামে, আমার উপর-নীচে, আমার সামনে-পেছনে এবং আমার জন্য নূর দান করুন।

কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, এ সাতটি আমার তাবুতের মত। এরপর আমি আব্বাস রাঃ এর পুত্রদের একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তিনি আমাকে এ সাতটি অঙ্গের কথা বর্ণনা করলেন এবং রগ, গোশত, রক্ত, চুল ও চামড়ার উল্লেখ করলেন এবং আরো দুটির কথা উল্লেখ করেন।

—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৭৭ (আন্তর্জাতিক নং ৬৩১৬)



ফায়দা: মসনবীর ভাষায়-

نور او در يمن و يسر وتحت وفوق ٭ بر سر و بر گردنم مانند طوق

তাঁর আলো ডানে-বামে, উপরে-নীচে, মাথার উপর ও আমার কাঁধে যেন এক আলোর বেড়ি।

হাকীমুল উম্মত হযরত থানভী রহ. ‘আশ-শরীয়া’ শীর্ষক ওয়াযে বলেন-

‘এ আলো প্রদীপের আলো নয়; বরং এক বিশেষ অবস্থা। কারণ, আলোর সংজ্ঞা হল, যে নিজেও প্রকাশিত, অন্যকেও প্রকাশিত করে।

اَللهُ نُوْرُ السَّمٰواتِ وَالْاَرْضِ এখানে নূরের এ অর্থই উদ্দেশ্য। নূর অর্থ ‘ঝলক’ নয়; নূর অর্থ, যে নিজেও স্পষ্ট আর অন্যান্য সত্য ও বাস্তবতাকেও যে স্পষ্ট করে তোলে। অন্তরে এ নূর পয়দা হলে যুলমাত ও অন্ধকার দূর হয়। কোন অন্ধকার? অলসতার অন্ধকার, হিংসা-বিদ্বেষের অন্ধকার, অহংকার ও ক্রোধের অন্ধকার, অনাচার ও পাপাচারের অন্ধকার ইত্যাদি। তো নূর এ সকল অন্ধকার দূর করে এবং উদ্যম ও প্রফুল্লতা আনয়ন করে।’

কবিতা-০৭: তোমার পরশ পেলে* #জসিম বিন আখতার #

No Comments

 

















প্যারা কবিতা-১

ডবল প্যারা


*তোমার পরশ পেলে*

#জসিম বিন আখতার #


ঈমানের অগ্নিশিখা জ্বেলে প্রভুগো দাও তুমি এই হৃদে

গতিপায় তোমার পরশ পেলে সুবিমল সত্য বলার ক্ষিধে ।

এগতি থামবে না যে কভু কখনো আসলে বিপদ বাধা

সত্যই করছি শপথ প্রভু উড়িয়ে দেবোই গোলক ধাঁ ধাঁ !

দেবো না ভঙ্গ তুমুল রণের কাপুরুষ কয় না যেন লোকে

সাহসী দুর্বার প্রতিজনের ভূমিকায় কাঁদবে না কেউ শোকে । 

গলেতে পড়বো জয়ের মালা দেখে সব শত্রু যে শেষ হবে

পৃথিবীতে গড়বো সুখের চালা আজীবন রাখবে স্মরণ সবে ।


ল্যান্ড ফোর্স ইনস্টিিটউট

জাহরা- কুয়েত

তারিখ ১২/০৬/২০১৯

২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ বাঙলা

আমল ও দুআ-১০২: যে সত্যের বিষয়ে মতভেদ করা হয়, তাতে আমাকে আপনার দয়ায় সঠিক পথ প্রদর্শন করুন

No Comments

 













দু‘আ-১০২

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَاهْدِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ وَعَافِنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ.

ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমাকে হেদায়েত দিন, আমাকে রিযিক দিন, আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দিন এবং যে সত্যের বিষয়ে মতভেদ করা হয়, তাতে আমাকে আপনার দয়ায় সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। -মুসলিম, তিরমিযী


মতন বা মূল হাদিস:

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ " اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ " .

 আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর নবী রাতে যখন উঠতেন তখন কি দিয়ে (কোন দুআ পড়ে) তিনি তাঁর নামায আরম্ভ করতেন। তিনি বলেন, তিনি যখন রাতে উঠতেন তখন নামায শুরু করতেন

اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

″হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাইল ও ইসরাফিল (আলাইহিমুস সালাম) এর প্রতিপালক আসমানসমূহ ও যমীনের সৃজনকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞাতা আপনিই মীমাংশা করবেন আপনার বান্দাদের মাঝে সে বিষয় যাতে তারা মতবিরোধ করছিল। আপনি আমাকে হিদায়াত ও সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, সত্য ন্যায়ের বিপরীত বিষয়ে আপনার হুকুমে, আপনিই হিদায়াত করেন যাকে ইচ্ছা হয়, সরল পথের দিকে।″

—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৮৪ (আন্তর্জাতিক নং ৭৭০)

বর্ণনাকারী: উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) (মৃত্যু ৫৭/৫৮ হিজরী)


ফায়দা: যে সত্য অতি স্পষ্ট তা গ্রহণের জন্যও আসমানী তাওফীকের প্রয়োজন আর যে বিষয়ের স্বরূপ কিছু অস্পষ্ট, সেখানে সঠিক উপলব্ধির জন্য ও সত্যের পথে থাকার জন্যও সর্বদা দু‘আ জারি রাখা উচিৎ।

স্বাস্থ্য পরামর্শ-৭৭: প্রেসক্রিপশনে লেখা কোন সংকেতের কী অর্থ বহন করে।

No Comments

 











প্রেসক্রিপশনে লেখা কোন সংকেতের কী অর্থ বহন করে।


‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’ হলেও আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। আর অসুস্থ হলেই আমাদের যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তখন রোগের অবস্থা বুঝে চিকিৎসা করেন। হাতে ধরিয়ে দেন একটা প্রেসক্রিপশন। অনেক সময়ই আমরা সেই প্রেসক্রিপশনের লেখা বুঝতে পারি না। তখন সাহায্য নিই প্রেসক্রিপশনে অভিজ্ঞ মানুষের। তবে প্রেসক্রিপশনে ডাক্তাররা শুধু ওষুধই লেখেন না, সেখানে থাকে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন। যার অর্থ আবার আমরা অনেকেই জানি না।


রোগীর কাছে চিকিৎসকরা আশীর্বাদতুল্য। অসুখ বুঝে তারা নিরাময়ের পথ বাতলে দেন প্রেসক্রিপশনে। তবে শুধু কি রোগ আর ওষুধের নামই ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে লেখেন? তা কিন্তু নয়। ওষুধের নামের সঙ্গে তিনি আরও কিছু সাংকেতিক ভাষা লেখেন। অনেক সময় এমন কিছু শব্দ বা চিহ্ন সেই প্রেসক্রিপশনে থাকে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না। চলুন জেনে নেয়া যাক, তেমনই কিছু ডাক্তারি পরিভাষা সম্পর্কে।

প্রতিটি প্রেসক্রিপশনের একটি গঠন থাকে, তা নিয়ে পরে আলোচনা করছি। আপাতত আমাদের যা মাথায় রাখতে হবে তা হলো, কিছু সংক্ষিপ্ত নাম বা অক্ষর। যেগুলো চিকিৎসকরা তাদের প্রেসক্রিপশনের মধ্যে রোগীর রোগ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধের নাম ইত্যাদির লেখার কাজে ব্যবহার করে থাকেন।


আরও পড়ুন: ফলের গায়ে লাগিয়ে রাখা স্টিকারের অর্থ কী?

১. ওষুধের বিভিন্ন ধরন বোঝাতে যে সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করেন


tab =  ট্যাবলেট  =  tablet.


Cap = ক্যাপসুল  =  Capsule.


Syp  = সিরাপ =  Syrup.


Inj  =  ইনজেকশন = injection.


IV Inj  = শিরায় ব্যবহৃত ইনজেকশন  = injection Iv.


IM Inj = মাংসপেশিতে ব্যবহৃত ইনজেকশন  = injection IM.

oint =  মলম = ointment.



২. কখন ও কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত নাম

আর এক্স: চিকিৎসা

কিউ: প্রত্যেক

কিউ ডি: প্রতি দিন

কিউ ও ডি: এই দিন ছাড়া প্রতিদিন

কিউ এইচ: প্রতি ঘণ্টায়

এস: বাদ দিয়ে

সি: সঙ্গে

এস ও এস: জরুরি ভিত্তিতে করণীয়

এ সি: খাবার খাওয়ার আগে

পি সি: খাবার খাওয়ার পরে

বি আই ডি: দিনে দুবার

টি আই ডি: দিনে তিনবার

বি ডি/ বি ডি এস: দিনে দুবার ওষুধ নিতে হবে

টি ডি এস: দিনে তিনবার ওষুধ নিতে হবে

কিউ টি ডি এস: দিনে চারবার ওষুধ নিতে হবে

বিটি: শোয়ার সময়

বিবিএফ: প্রাতরাশের আগে


৩. শরীর সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত ব্যবহার করা নাম বা অক্ষর

Bp = ব্লাড প্রেশার বা রক্তের চাপ

HR = হার্ট রেট বা হৃদ্‌স্পন্দন

PR = পালস রেট

T = তাপমাত্রা 

BSF = ব্লাড সুগার ফাস্টিং

usg = আল্ট্রাসনোগ্রাফি

CXR = চেস্ট/বুক এক্সরে

RR = রেসপিরেশন বা শ্বাসপ্রশ্বাস

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের কোন সংকেতের কী অর্থ



৪. প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত কিছু সংক্ষিপ্ত নাম

OPD = আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, রোজ যে রোগী হাসপাতালে ডাক্তার দেখান কিন্তু ভর্তি থাকেন না, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে OPD ব্যবহার করা হয়। 

IPD = ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, হাসপাতলে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করান, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে IPD ব্যবহার করা হয়। 

C/O = কেয়ার অফ। অর্থাৎ, রোগী যখন তার শারীরিক সমস্যা ডাক্তারকে বলেন, সে ক্ষেত্রে কেয়ার অফ লিখে সে সমস্যাগুলো লিখে রাখেন।  

o/e = অন এক্সামিনেশন। অর্থাৎ, ডাক্তার রোগীকে দেখে যা বোঝেন, তা লিখে রাখেন অন এক্সামিনেশন লেখার পর।

Rx = প্রেসক্রিপশন। অর্থাৎ, রোগীকে যে ওষুধগুলো বলবেন, সেগুলো লেখার আগে Rx লেখেন। 

Hx = হিস্ট্রি। অর্থাৎ, রোগীর আগে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো লিখে রাখেন। 

Sx = সিমটমস। অর্থাৎ, রোগীর কী কী লক্ষণ রয়েছে। 

Dx  = ডায়াগনসিস। অর্থাৎ রোগী কি রোগে ভুগছেন, সেটি পরীক্ষার পর লিখে রাখেন। 


৫. ওষুধের পরিমাণ বা ডোজ 

ml = মিলি লিটার

mg = মিলি গ্রাম

তবে মনে রাখবেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানভেদে এই সংকেত বদলাতেও পারে। অনেক সময় চিকিৎসকরা অন্যভাবেই নির্দেশ লিখতে পারেন। ফলে এ-সংক্রান্ত কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে সরাসরি চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করাই ভালো।

সূত্রঃ লাইফস্টাইল, সময় মিডিয়া লিমিটেড।

সংগ্রহে- খন্দকার মুহাম্মাদ মনজুরুর রহমান (অবসরপ্রাপ্ত)।

চোখ মেলাও,তাকাও , দেখো! কত নেয়ামতে ভরা তোমার জীবন ? এর পর ও কি করে তার হুকুম অমান্য করে চলছো?

No Comments

 











চোখ মেলাও,তাকাও , দেখো! কত নেয়ামতে ভরা তোমার জীবন ? এর পর ও কি করে তার হুকুম অমান্য করে চলছো?

-------------------------------------------------

তারিখ ০১/০৯/২০২২

------------------

                       كيف تكفرون باللله و كنتم امواتا فاحياكم. ثم

                       يميتكم. ثم يحيبكم. ثم. اليه ترجعون

 

তোমরা কিভাবে আল্লাহ কে অস্বীকার করবে? অথচ তোমরা ছিলে অস্তিত্বহীন, তিনি ই তোমাদের কে জীবন দিয়েছেন,আবার তিনি ই তোমাদের কে মৃত্যু দিবেন,সর্ব শেষ তিনি ই আবার জীবন দান করবেন ,এভাবে ই একদিন তোমাদের কে তাঁর কাছে ই ফিরে যেতে হবে। সূরা বাকারা২৮

----------+-------------------------------------

১। তিনি কি তোমাকে রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ ঘরে(জড়ায়ুর মধ্যে) ৪ থেকে ৮ পাউন্ড ওজন হওয়া পর্যন্ত শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়াই লালন পালন করেন নি?

সূরা মুমিনুন/১২-১৪ সূরা আল ইমরান/৬


২। পৃথিবীতে আসার সাথে সাথেই তোমার সুস্থতার জন্য যা প্রয়োজন আলো, বাতাস, তাপ ও আর্দ্রতা (পানি)সব কিছু আগে থেকেই প্রস্তূত রেখে তিনি কি এক ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দেন নাই?

সূরা বাকারা/২৯সূরা মুরসালাত/২৭

৩। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই তিনি কি তোমার জন্য শ্রেষ্ঠ খাদ্য ভান্ডার তোমার মায়ের সাথে এটাচ করে দেননি?

সূরা আল বাকারা/২৩৩

৪। কাজ করার সময় কোন কিছু শক্ত করে ধরার জন্য তিনি কি তোমার হাতে বৃদ্ধাঙ্গুলি তৈরি করে দেন নি?

সূরা আল ইমরান/১৯১ সূরা কিয়ামাহ/৩৮


৫। তিনি কি হাত পায়ের আঙ্গুলে শক্তি বৃদ্ধির জন্য নখ তৈরির

ব্যবস্থা করে দেন নি?

সূরা আল ইমরান ১৯১ সূরা কিয়ামাহ/৩৮

৬। তিনি কি তোমার দেহকে নরম চামড়ার আবরণী দিয়ে

আকর্ষণীয় করে বানিয়ে দেননি?

সূরা মুমিনুন/১৪ সূরা তীন/৪

৭। তিনি কি তোমার চামড়ার সাথে স্নায়ুতন্ত্র সেট করে পূরা দেহের মধ্যে অনুভূতি গুলো কে ছড়িয়ে দেন নি?

সূরা মুমিনুন/১৪- সূরা আ'লা/২-৩

৮। তিনি কি চোখের পাপড়ি খোলা ও বন্ধ করার মাধ্যমে অশ্রু বের করে চোখের কর্ণিয়াকে আর্দ্র ও সচল রাখার ব্যবস্থা

করেন নি?

সূরা মুরসালাত/২৩ সূরা আ'লা/২-৩

৯। তিনি কি চোখের উপরে ভ্রু তৈরি করে ধাঁধানো আলো থেকে তোমার চোখকে ছায়া দেয়ার ব্যবস্থা করে দেননি?

সূরা মুরসালাত/২৩সূরা আ'লা/২-৩

১০। তিনি কি রক্তের মধ্যে শ্বেত কনিকা ও অনুচক্রিকা তৈরী করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ও ক্ষত স্থানে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা দান করেনি?

সূরা আ'লা/২-৩

১১। তিনি কি তিন জোড়া লালা গ্ৰুন্থি থেকে পাচক রস তৈরি করে শক্ত খাবার গুলোকে সহজে হজমের ব্যবস্থা করেন নি?

সূরা আ'লা/২-৩

১২। তিনি কি তাপ সহ্য করার মত শক্তি শালী পেশী দিয়ে জিহ্বা তৈরী করে তা দিয়ে দশ হাজার রকমের দ্রব্যের স্বাদ গ্ৰহনের ব্যবস্থা করে দেননি?

সূরা বালাদ/৯ সূরা আ'লা/২-৩

১৩। তিনি কি ৫৭৬ মেগা পিক্সেল ক্যামেরার মত পাওয়ারফুল ছোট্ট একজোড়া চোখ তৈরী করে মন ভরে আল্লাহর অপার সৌন্দর্য ময় সৃষ্টি দেখার ব্যবস্থা করে দেন নি?

সূরা বালাদ/৮সূরা আবাসা/২ সূরা আ'লা/২-৩

১৪। তিনি কি ছোট্ট একখানা নাক দিয়ে পঞ্চাশ হাজার রকমের ঘ্রান গ্ৰহনের ব্যাবস্থা দান করেন নি?

সূরা আ'লা/২-৩

১৫। তিনি কি মাথার দুপাশে দুটি এ্যনটিনা (কান) সেট করে সামনে ও পিছন থেকে সমানভাবে কথা ও শব্দ শোনার ব্যবস্থা করে দেন নি?

সূরা আবাসা/২সূরা আলা/২-৩


১৬। তিনি কি মূত্র নালী ও মলদ্বারে শক্তিশালী পেশী তৈরী করে

মলমূত্রের বেগ ধারণের ক্ষমতা দান করেননি?

সূরা আলা/২-৩

১৭। তিনি কি হাতে পায়ে জোড়া (জয়েন্ট) তৈরি করে উঠা বসা ও খাওয়া সহ সকল কাজ গুলো সহজ ভাবে করার ব্যবস্থা করেননি?

সূরা আবাসা/৪

১৮।তিনি কি কথা বলার শক্তি দিয়ে মনের দুঃখ কষ্ট আনন্দ বেদনা গুলো প্রিয়জনের কাছে প্রকাশের সুযোগ করে দেননি?

সূরা আর রাহমান/৪

১৯। তিনি কি তোমার শরীরে প্রজনন ক্ষমতা তৈরি করে পরিবার গঠনের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তির ব্যবস্থা করেন নি?

সূরা নাজম/৪৫-৪৭ সূরা শূরা/৪৯-৫০

২০। তিনি কি ঠিক ফুসফুসের মাঝখানে ২৫০ থেকে ২৯০ গ্ৰাম ওজনের একটি হ্রদপিন্ড দিয়ে প্রতিদিন ১৮০ লিটার দূষিত রক্ত পাম্প করে বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা করেন নি?

সূরা আলা/২-৩

২১। তিনি কি ফুসফুস তৈরি করে অক্সিজেন গ্ৰহন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করার ব্যবস্থা করেন নি?

সূরা আলা/২-৩

২২। তিনি কি ক্ষুদ্রান্ত (পাকস্থলী) তৈরি করে খাদ্য হজম করে পুষ্টি শোষণ করে সারা শরীরে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন নি?

সূরা আ'লা/২-৩

২৩। তিনি কি যকৃত তৈরি করে তার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষক্রিয়া রোধ করার ব্যবস্থা করেন নি?

২৪।তিনি কি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চির দুটি (কিডনী) তৈরি করে তা দিয়ে রক্তের দূষিত পদার্থ( ইউরিয়া) শোধণ করার ব্যবস্থা করেন নি?

২৫।তিনি কি মস্তিষ্কে ১ শত বিলিয়ন স্নায়ুকোষ তৈরি করে তার মাধ্যমে তোমার ঘুমন্ত ও জাগ্ৰত উভয় অবস্থায় পূরা দেহের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা সহজতর করে দেন নি?

সূরা আ'লা/২-৩

২৬। তিনি কি তোমার শরীরের অতিরিক্ত তাপ কে বের করে দেহকে শীতল রাখার জন্য এক কোটি লোম কুপের ব্যাবস্থা করে দেননি?

সূরা আ'লা/২-৩

২৭। তিনি কি তোমাকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন মৌসুমে নানা

রকম উপাদেয় ফলমুল ওখাদ্যের ব্যাবস্থা করেদেন নি?

সূরা বাকারা/২২ সূরা নাবা/১৫-১৬ সূরা আবাসা/২৪-৩২

২৮। তিনি কি তোমাদের জন্য ঘুমকে শান্তির উপকরণ হিসেবে

বানিয়ে দেননি?

সূরা নাবা/৯

২৯। তিনি কি মাটির নিচে স্তর বানিয়ে সেখান থেকে তোমাকে সুপেয় পানি পান করানোর জ্ঞান দান করেন নি?

সূরা মুরসালাত/২৭ সূরা নাযিয়াত/৩১

৩০। তিনি কি তোমাকে রিক্ত ও অবুঝ অবস্থায় দুনিয়াতে পাঠিয়ে অজস্র নিয়ামত ও জ্ঞান দিয়ে সন্মানিত করেননি?

সূরা দোহা/৮ সূরা রাহমান/২ সূরা ইনশিরাহ/১


এত নিয়ামতের সাগরে ভেসেও কি করে তুমি আল্লাহর হুকুম অমান্য করে স্বেচ্ছাচারী জীবন যাপন করছো?

তোমার কি মনে পড়েনা? আল্লাহ বলেন ঃ

                              

                             

                       

            ثم لتسءلن يومءذ عن النعيم

    অতপর আল্লাহ তাআলার অগণিত নিয়ামত সম্পর্কে

    সেদিন (হাশরের দিন) অবশ্যই তোমাদের কে জিজ্ঞেস করা হবে। সূরা তাকাসূর/৮

                      

    লেখক আর টি আলিফ হোসাইন

                             তারিখ ০১/০৯/২০২২

আমল ও দুআ-১০১: ঘরে প্রশস্ততা ও রিজিকে বরকতের দুআ।

No Comments

 



দু‘আ-১০০

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ، وَوَسِّـعْ لِيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ .


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াস্সিলি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিজকি।


অর্থ:

ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার ঘরে প্রশস্ততা দিন, আর আমার রিযিকে বরকত দিন।-নাসায়ী


মতন বা মূল:

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الحَمِيدِ أَبُو عُمَرَ الهِلَالِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِعْتُ دُعَاءَكَ اللَّيْلَةَ، فَكَانَ الَّذِي وَصَلَ إِلَيَّ مِنْهُ أَنَّكَ تَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي، وَبَارِكْ لِي فِيمَا رَزَقْتَنِي» قَالَ: «فَهَلْ تَرَاهُنَّ تَرَكْنَ شَيْئًا». وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَأَبُو السَّلِيلِ اسْمُهُ: ضُرَيْبُ بْنُ نُقَيْرِ وَيُقَالُ: ابْنُ نُفَيْرٍ

 আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার রাতের দুআ আমি শুনেছি। এ থেকে যে সব শব্দ আমার কাছে এসে পৌছেছে, তাতে ছিল যে আপনি বলেছিলেনঃ


اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسِّعْ لِي فِي رِزْقِي وَبَارِكْ لِي فِيمَا رَزَقْتَنِي

হে আল্লাহ! মাফ করে দাও আমার গুনাহ, প্রশস্ত করে দাও আমার ঘর, বরকত দাও আমাকে যে রিযক দিয়েছ তাতে। তিনি বললেনঃ এতে কি কিছু ছুটেছে বলে দেখতে পাচ্ছে?

আবুস সালীল (রাহঃ) এর নাম হল যুরায়ব ইবনে নুকায়র । ইবনে নুফায়র বলেও কথিত আছে। হাদীসটি গারীব।

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫০০ (আন্তর্জাতিক নং ৩৫০০)


বর্ণনাকারী: আবু হুরায়রা (রাঃ) (মৃত্যু ৫৭/৫৮/৫৯ হিজরী)


ফায়দা: রক্ত-মাংসের মানব যেমন মুখাপেক্ষী রিযিক ও জীবিকার, তেমন মুখাপেক্ষী গুনাহ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা ও প্রার্থনায় এ সত্য অতি পরিস্ফুট।

আকবর এলাহাবাদীর একটি পঙক্তি :

اٹھا تو تھا ولولہ یہ دل میں کہ صرف یاد خدا کرینگے

معا مگر یہ خیال آیا ملی نہ روٹی تو کیا کرینگے

জেগেছিল মনে এই সাধ-বাসনা, করব শুধু খোদার স্মরণ।

একই সাথে এলো চিন্তা এই যে, না পেলে রুটি করব কী তখন।

জিজ্ঞাসা -১২৮৫২: আল্লাহ তাআলা যখন কোন পরিবারের কল্যাণ চান, তখন তাদের মধ্যে করুণা ও মমতা দান করেন। হাদিসটির রেফারেন্স?

No Comments












জিজ্ঞাসা-১২৮৫২: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যখন কোন পরিবারের কল্যাণ চান, তখন তাদের মধ্যে করুণা ও মমতা দান করেন।

এই হাদিস শরিফের আরবি ইবারত দয়া করে বের করে দিলে উপকৃত হতাম।


তারিখ:  ০২/১১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আব্দুল মান্নান,ঢাকা   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের আলোকে হাদিস শরিফ নিম্নরূপ:


فإنَّ اللهَ إذا أرادَ بأهلِ بيتٍ خيرًا أدخلَ عليهِمُ الرِّفقُ .

الراوي : عائشة أم المؤمنين |  | المصدر : صحيح الترغيب

الصفحة أو الرقم: 2669 | خلاصة حكم المحدث : صحيح

التخريج : أخرجه أحمد (24734) باختلاف يسير، وابن الجعد في ((المسند)) (3453)، وابن عدي في ((الكامل في الضعفاء)) (4/295) مختصراً


  والله اعلم بالصواب


Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর