জিজ্ঞাসা-১২৮৩৯:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সন্মানীত মুফতি সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল খতমে খাজেখান কি? এটাকি শরীয়ত সম্মত এবং এর নিয়মটা কি মেহের বাণী করে জানালে উপকৃত হব
তারিখ: ১৩/১১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আখতার হোসেন যশোর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
ختمِ خواجگان
খতমে খাযেগান শব্দটি উর্দু। বুযুর্গানে দ্বীন যে খতম পড়ে দোয়া করতেন সে খতমকে খতমে খাযেগান বলে। খাযেগান শব্দের অর্থ হলো হলো সাহেবগণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল মনীষী ও বুযুর্গাণে দ্বীন। সুন্নাত মনে না করে খতমে খাযেগানের আমলও করার অবকাশ রয়েছে। এটি বিদআতের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয় না। বিদআত হবার জন্য সেটিকে ধর্মীয় কাজ মনে করা, সওয়াবের কাজ মনে করতে হয়। আর উপরোক্ত কাজগুলো সওয়াবের কাজ হিসেবে নয় বরং প্রতিষেধক হিসেবে আমল করা হয়। যেমন ডাক্তার রোগের চিকিৎসা স্বরূপ পথ্য প্রদান করে থাকে। সেই উসিলায় আল্লাহ তাআলা রোগমুক্ত করে থাকেন মর্মে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত। তা’ই এসব ব্যবহার করা হয় প্রতিষেধক হিসেবে।
দলিল:
واضح رہے کہ پاک و ہند میں ختمِ خواجگان مختلف قسم کے رائج ہیں، جن میں سے بعض میں شرکیہ دعاؤں کی آمیزش بھی موجود ہے؛ لہٰذا اگر ختمِ خواجگان میں شرعی اعتبار سے کسی قابلِ اعتراض ورد و ذکر کی آمیزش نہ ہو، محض اللہ تعالی کے ذکر اور خدا تعالی سے دعا وغیرہ پر مشتمل اَوراد ہوں، تو ان کو پڑھ کر خدا تعالی سے اپنی دنیوی حوائج کی برآری کا سوال کرنے میں کوئی مضائقہ نہیں۔البتہ چوں کہ تصوف کے مختلف سلسلوں میں ختمِ خواجگان کے پڑھنے کے مختلف طریقے اَکابرین نے ذکر کیے ہیں، اور ان میں سے کوئی طریقہ بعینہ نصوص سے منقول نہیں ہے؛ لہٰذا اس عمل کو ایک مباح عمل کے درجہ پہ رکھتے ہوئے اس کی تداعی نہ کی جائے۔ فقط واللہ اعلم
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান ও ভারতে বিভিন্ন ধরনের খতম-এ-খাজাগানের প্রচলন রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটিতে শিরকের মিশ্রণও রয়েছে; অতএব, যদি শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খতমে খাজগানে আপত্তিকর শব্দ ও যিকিরের সংমিশ্রণ না থাকে, কেবলমাত্র আল্লাহর স্মরণ এবং আল্লাহর কাছে দোয়া সম্বলিত আয়াত থাকে, তাহলে সেগুলি পাঠ করার পর আল্লাহর কাছে পার্থিব কামনা-বাসনা করলে কোনো সমস্যা নেই।অবশ্য.....--।
সূত্র: দারুল ইফতা-জামেআতু উলুমুল ইসলামিয়া, করাচি পাকিস্তান-১৪৪২০৪ (ফতোয়া নং)
(۱) مشائخ ضروریات ومقاصد کی تکمیل کے لیے چند خاص اوراد پڑھتے ہیں، اس کے بعد اللہ تعالیٰ سے دعا مانگتے ہیں، بعض مشائخ ختم خواجگان میں یہ مروی ہے کہ پہلے سات بار الحمد شریف، اس کے ۷۹ بار سورہٴ الم نشرح پھر ۱۰۰/ بار درود شریف، اس کے بعد ایک ہزار بار سورہٴ اخلاص، پھر ۷/ بار الحمد شریف، پھر ۱۰۰/ بار درود شریف پہر ۱۰۰/ بار یا قاضيَ الحاجات ویَا کافيَ المہمات یا دافعَ البلیّاتِ یا حلّ المشکلات یا رافعَ الدرجات، یَا شافيَ الأمراض یا مجیب الدعوات یا أرحم الراحمین پڑھے، اس کے بعد عا مانگے۔ اور ختم خواجگان، چشت کا طریقہ یہ ہے کہ وضو کرکے قبلہ کی طرف منھ کرکے بیٹھے، پھر ۱۰/ بار درود شریف، پھر ۳۶۰/ بار لاَ مَلْجَأ مِنَ اللّٰہِ إلاَّ إِلَیہِ، پھر ۳۶۰/ بار سورہٴ الم نشرح، پھر یہی درج بالا دعا: لا ملجأ الخ۳۶۰/ بار پڑھے اور پھر اخیر میں ۱۰۰/ بار درود شریف پڑھ کر اللہ تعالیٰ سے دعا کرے۔ ان دو کے علاوہ کچھ اور بھی ختم خواجگان ہیں (دیکھئے ضیاء القلوب موٴلفہ سید الطائفہ حضرت حاجی امداد اللہ صاحب ہاجر مکی رحمہ اللہ ص:مطبوعہ دارالاشاعت کراچی)
Fatwa ID: 206-200/N=3/1436-
واللہ تعالیٰ اعلم
دارالافتاء،
دارالعلوم
অর্থাৎ জরুরত ও হাজত পূরণের জন্য মাশায়েখগন বিশেষ কিছু ওজিফা পাঠ করেন, তারপর তারা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
কিছু মাশায়েখ নিম্নোক্ত ওজিফাগুলো খতমে খাজেগানে পড়েন--
* সূরা ফাতিহা সাতবার
* সূরা আল-আলম নাশরাহ 79 বার
* দুরূদ শরীফ 100 বার
* সূরা ইখলাস 1000 বার,
* ইয়া ক্বাযিয়াল হাজাত ১০০ বার
* ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মাত ১০০ বার
* ইয়া দাফিয়াল বালিয়্যাত ১০০ বার
* ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত ১০০ বার
* ইয়া রাফিয়াত দারাজাত ১০০ বার
* ইয়া শাফিয়াল আমরাজ ১০০ বার
* ইয়া মুজিবাদ দাওয়াত ১০০ বার
* ইয়া আরহামার রাহিমীন ১০০ বার পড়বে। অতপর দোয়া করবে।
অন্য আরেকটি খতমে খাজেগানের পদ্ধতি হল ওযু করে কেবলার দিকে মুখ করে বসবে তারপর ১০ বার দুরূদ শরীফ, তারপর ৩৬০ বার ’লা মালজা মিন-আল্লাহ ইল্লা-ইলাইহ’,
তারপর ৩৬০ বার সূরা আলাম নাশরাহ।
তারপর 100 বার দরূদ শরীফ পাঠ করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। এ দুটি ছাড়াও আরো কিছু খাজিগান রয়েছে। (দেখুন হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মক্কী রচিত "জিয়া-উল-কুলুব" দারুল-ই-শাআত, করাচি কর্তৃক প্রকাশিত)। ফতোয়া নং- Fatwa ID: 206-200/N=3/1436-
আর আল্লাহই ভালো জানেন
দারুল ইফতা,
দারুল উলূম দেওবন্দ
সারকথা হলো, বিভিন্ন আলেম বা বুযু্র্গ দ্বারা তৈরি খতম যেমন, খতমে খাযেগান, খতমে তাহলিল, খতমে জালালি, খতমে দুআ ইউনুস সুন্নাত হিসেবে পাঠ করা যাবে না, তাহলে বিদআত হবে। শিফা বা নিরাপত্তা বা যে কোন দুনিয়ার মাকসুদে পাঠ করা জায়েজ। শর্ত হলো এর মধ্যে শরয়ি বিরোধী কোন কথা থাকতে পারবে না।
والله اعلم بالصواب