আমার দেহ,মন ,আত্মার শ্রেষ্ঠ ডাক্তার!আমারই প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
-------------------------------------------------
তারিখ ১১/০৬/২০২২
------------------
১।আমার মুখের , দাঁতের ,মাড়ির গলার সুস্থতার জন্য আমার রাসূল আমাকে পাঁচ বার নামাজের পূর্বে ও রাতে ঘুমানোর আগে মেসওয়াক (ব্রাশ ) করতে বলেছেন।
২। আমার আরাম দায়ক ঘুমের জন্য আমার রাসূল সাঃ ঘুরানোর আগে বেড ঝেড়ে নিয়ে ,হালকা পোষাক পড়ে,বাতি নিভিয়ে ,দরজা লাগিয়ে দিয়ে ,সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে আল্লাহর নাম নিয়ে ,ডান ক্যাতে ঘুমাতে বলেছেন।
৩। আমার দেহ যেন ঘুমের মধ্যে পুরাতন সেল ( কোষ) গুলো
সরিয়ে নতুন সেল তৈরি করার পর্যাপ্ত সময় পায় তার জন্য আমার রাসূল আমাকে তাড়াতাড়ি (রাত ১০টার মধ্যে) ঘুমাতে বলেছেন।
৪।আমি অলসতা করে রোগ ব্যাধিতে যেন আক্রান্ত হয়ে না পড়ি, সেজন্য আমার রাসূল আমাকে রাতের শেষ প্রহরে জেগে উঠে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে বলেছেন।
৫। আমার পায়ের তালুর ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে ওয়াশরুমে ছড়িয়ে থাকা কৃমির অতি ক্ষুদ্র ডিমগুলো যেন অন্ত্রে প্রবেশ করে লিভার, পাকস্থলীর কোন ক্ষতি করতে না পারে ,সে জন্য আমার রাসূল জুতা পায়ে ওয়াশ রুমে ঢুকতে বলেছেন, এছাড়া কোন ভাবে দুষিত বায়ু পেটের ভিতরে যেন যেতে না পারে তার জন্য মুখে রুমাল এবং মাথায় কাপড় ব্যবহার করতে বলেছেন।
৬।আমার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ আমার হার্ট , এই হার্ট যেন
সুস্থ থাকে সে জন্য আমার রাসূল ঘুম থেকে উঠার সময় একদিকে ক্যাত হয়ে উঠতে বলেছেন, (সরাসরি শোয়া থেকে চিৎ অবস্থায় উঠলে হার্টের ক্ষতি হয়)এবং কিছু সময় বেডে
বসে অপেক্ষা করে হাটা চলা করতে বলেছেন,যাতে পুরা দেহের ওজন বহন করার মত শক্তি পায়ে পৌঁছে যায়।
৭। আমার স্মৃতি শক্তি যেন দির্ঘদিন অটুট থাকে তার জন্য আমার রাসূল কুরআন তেলাওয়াত করতে বলেছেন, এবং নামাজে মুখস্থ দোয়া কালাম ও সূরাগুলো আস্তে আস্তে
মনযোগ সহকারে পাঠ করতে বলেছেন।(এতে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়)
৮।আমার মুল্যবান চোখ দুটো যেন কোন ভাবেই ক্ষতি গ্ৰস্থ না হয় বরং সুন্দর থাকে সে জন্য আমার রাসূল ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি তাকাতে নিষেধ করেছেন, বরং হাতের তালুর উলটা পিঠ দিয়ে রগ্ৰিয়ে নিয়ে তাকাতে বলেছেন,এছাড়া
মাঝে মাঝে আল্লাহর ভয়ে কান্নার মাধ্যমে চোখ থেকে পানি বের করতে বলেছেন,আবার ময়লা ,ধুলাবালি থেকে চোখ পরিস্কার রাখার জন্য অজুর মাধ্যমে পানি পৌছানোর ব্যবস্থা দান করেছেন।(এতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়)
৯। আমার পাকস্থলীর খাদ্যগুলো ভালোমত হজমের জন্য এবং আমার কিডনি সুস্থ রাখার জন্য আমার রাসূল খাবারের কম পক্ষে ৩০/৪০ মিনিট পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলেছেন, এবং ডিহাইভেশন থেকে বাঁচার
জন্য পাঁচ বার অজুর শেষে কিছু পানি পান করতে উৎসাহিত
করেছেন।
১০। আমি যেন শরীরের স্থুলতা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস,ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে না পড়ি এবং অকর্মন্য
হয়ে আমার পরিবারের জীবিকা অর্জনে ব্যর্থ না হই ,সেজন্য আমার রাসূল আমাকে পরিশ্রম করতে বলেছেন এবং অন্যের কাছে গিয়ে দীনের দাওয়াত দিতে বলেছেন,ফরজ রোজা সহ মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে এবং পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে বলেছেন।(এতে শরীরের স্থুলতা কমে যায়)
১১।।আমার প্রস্টেটগ্ৰুন্থির যেন কোন ক্ষতি না হয় সে জন্য আমার রাসূল প্রস্রাব / পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়তেও নিষেধ করেছেন,(ওয়াশরুম সেরে নামাজ পড়তে বলেছেন।
১২। আমার শরীরে ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এবং কর্ম চান্চল্য ধরে রাখার জন্য আমার রাসূল ক্ষুধা লাগলে খেতে বলেছেন এবং কিছু ক্ষুধা রেখেই খাবার শেষ করতে
বলেছেন।
১৩।ডাইরিয়া আমাশা কলেরা, থেকে বাঁচার জন্য আমার রাসূল,অতি ঝাল /টক,খোলা ও বাসি খাবার খেতে নিষেধ করেছেন, সেই সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য টাটকা শাক সবজিও ফলমূল খেতে বলেছেন।
১৪। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আমার রাসূল সকল প্রকার হারাম খাবার বর্জন করে হালাল খাবার খেতে বলেছেন, এবং খাবারের আগে উভয় হাত ধুয়ে,বসে, উভয় ঠোঁট বন্ধ রেখে ভালো মত চিবিয়ে খেতে বলেছেন। (এতে পাচক রসের ভার সাম্য রক্ষা পায় ফলে হজম ভালো হয়)
১৫। গনোরিয়া সিফিলিস সহ সকল প্রকার যৌন রোগ থেকে
বাঁচার জন্য আমার রাসূল চলাচলের পথে পরনারী/ পরপুরুষ থেকে নজর নিম্নগামী রাখতে বলেছেন,এছাড়া কুচিন্তা ,পর্ন গ্ৰাফী ও পরকিয়া থেকে দুরে থাকতে বলেছেন। (এতে যৌন
শক্তি ও যৌবন বহুদিন অটুট থাকে)
১৬।পথে ঘাটে চলাচলের সময় সকল প্রকার দূর্ঘটনা ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য আমার রাসূল রাস্তার ডান পাশের পায়ে চলা পথ ব্যবহার করতে বলেছেন,কারো সাথে কথা বলতে হলে (সামনা সামনি/মোবাইলে) যান বাহন থামিয়ে এক পাশে সরে গিয়ে জ্যাম না তৈরি করে নিরাপদ স্থানে কথা বলতে বলেছেন।
এছাড়া নারীকে দুরের সফরে নিরাপদ সঙিসহ বের হতে বলেছেন, এবং সফরে নিজের জিনিস পত্র ও যান বাহনের
হেফাজতের জন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন।
১৭। আমার রাসূল আমার দেহকে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য, এবং সকল প্রকার ( খোশ,পাচড়া ,চর্মরোগ সহ বড় )রোগ থেকে নির্মল রাখার জন্য অজু গোসল তায়াম্মুম এবং ওয়াশ রুমে কুলুপ (টিসু) /পানি ব্যবহারের নির্দেশ দান করেছেন,হাত পায়ের নোখ সাত দিনের মধ্যে কাটার নিয়ম শিখিয়ে দিয়েছেন,এছাড়া দেহকে নিরোগ ও সুঠামো রাখার জন্য সাতার ,ঘোড় দৌড়,তীর নিক্ষেপ সহ অনুরুপ বৈধ ব্যায়াম করার জন্য নির্দেশনা দান করেছেন।
১৮।আমার আত্মার প্রশান্তির জন্য আমার রাসূল ,হাসি মুখে কথা বলতে বলেছেন,শিশুদের কে স্নেহ মায়া দিতে বলেছেন,
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিবিড় সখ্যতা গড়ে তুলতে বলেছেন,ধনী দরিদ্র,আত্মীয় ,অনাত্মীয় , বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী পথচারী মুসলিম অমুসলিম সবার সুখে দুঃখে শরীক হতে বলেছেন।
১৯। আমার রাসূল সাঃ টেনশন ও ভাবনা মুক্ত জীবন যাপনের জন্য,মনকে হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত রাখতে বলেছেন,মুখকে পরনিন্দা পরচর্চা, মিথ্যাচার,থেকে এবং দেহকে পাপাচার থেকে কৃপনতা থেকে, ঋনের বোঝা থেকে মুক্ত রেখে বিশ্বের সকল সৃষ্টির কল্যানে কাজ করে যেতে বলেছেন।
২০। আমার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিরস্থায়ী সুখ শান্তি নিরাপত্তা লাভের জন্য দুনিয়ার মায়া মোহ লোভ লালসা ত্যাগ করতে বলেছেন, এবং আখেরাতকে চিন্তার কেন্দ্র বিন্দুতে এনে সেখানকার অনন্ত সুখময় জীবন লাভের জন্য বিশ্ব করুনার আধার এক আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরির জন্য আমরন সাধনা করে যেতে বলেছেন।
অতএব আসুন আমরা বিশ্ব বরেন্য মহা ডক্টর আমার প্রিয় রাসূলের প্রেসক্রিপশন ফলো করে দুনিয়া আখেরাতের অনন্ত
সুখ শান্তি অর্জনে সচেষ্ট হই,মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন।
লেখক আরটি আলিফ হোসাইন
১১/০৬/২০২২ শুক্রবার