আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

যাদের প্রতি আল্লাহ সব সময় অভিশাপ(লানত) বর্ষন করেন

No Comments

 


















যাদের প্রতি আল্লাহ সব সময় অভিশাপ(লানত) বর্ষন করেন

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তারিখ ০২/০৭/২০২১

------------------


১।যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে অন্যায়, অশ্লীল ও গর্হিত কাজ করা দেখেও একে অপরকে বারণ (নিষেধ) করার চেষ্টা করেনা তারা অভিশপ্তঃ

অত এব যার যতটুকু শক্তি সামর্থ আছে তাই নিয়ে অন্যায়ের

বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সূরা মায়েদা আয়াত/৭৮-৮৯


২।আজাযিল শয়তান ও তার বংশধর দের প্রতি অভিশাপ ঃ

কাজেই নাটের গুরু এই শয়তান ও তার দোসরদের সংগ পরিহার করে চলতে হবে। সূরা সাদ আয়াত/৭৭-৭৮


৩।যারা কাফির, খোদাদ্রোহী ,আল্লাহর হুকুম অমান্য কারী,তারা অভিশপ্তঃ

 সুতরাং তাদের দেখানো পথ যতই আকর্ষনীয় হোক তা থেকে দুরে থাকতে হবে। সূরা বাকারা আয়াত/১৬১

 

৪।যারা মুনাফিক (কপট বিশ্বাসী) মুখে এক রকম বলে, কাজে 

অন্য রকম করে,তারাও অভিশপ্তঃ

অত এব এই মুনাফিরদের কে ও বয়কোট করে চলতে হবে।

                                                       সূরা তওবা আয়াত/৬৮


৫।যারা আল্লাহর হুকুমও তার রাসূলের সুন্নাহ কে অস্বীকার 

করে নিজের ইচ্ছা মত জীবন যাপন করে তারা অভিশপ্তঃ

কাজেই এই স্বেচছাচারী দের থেকে দুরে থাকতে হবে।

                                                        সূরা হুদ আয়াত/৫৯-৬০


৬।যারা আত্বীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে নিজেকে নিয়ে বিভোর থাকে তাদের প্রতি- অভিশাপঃ

সুতরাং সব সময় আত্বীয় স্বজনদের খোজ খবর নিতে হবে।

                                                        সূরা রায়াদ আয়াত/২৫


৭।যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সুন্দর পরিবেশ কে অশান্ত

করে তোলে তাদের প্রতি অভিশাপ ঃ

কাজেই সব সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে শান্তি ও কল্যানের পথে এগুতে হবে। সূরা রায়াদ আয়াত/২৫


৮।যারা ইসলামী শরিয়ার জ্ঞান অর্জনের পর ও তা জনগনের মাঝে প্রচার প্রসার করেনা তারাও অভিশপ্তঃ

অতএব একটা ও ভালো কথা জানা থাকলেও তা অন্যের নিকট

পৌছে দিতে হবে। সূরা বাকারা আয়াত/১৫৯


৯।যারা তাদের বাবা মা ও গুরুজনদের সাথে খারাপ আচরণ করে তারাও অভিশপ্তঃ

 কাজেই সাবধান ! পিতামাতার মনে সামান্যতম কষ্ট লাগে এমন কোন কথা কখনো বলা যাবেনা। 

                                                ছহিহুল জামে হাদিস নং ৫১১২

  

 ১০।যে ব্যাক্তি ধর্মের নামে বিদআত তৈরি করে মানুষ কে বিভ্রান্ত ও শোষন করে তারা অভিশপ্তঃ

 সুতরাং কুরআন সুন্নাহর বাইরে আর কারো দেখানো পথ ও মতে চলা যাবেনা। মুসলিম হাদিস নং ১৩৭০

 

 ১১।যারা নারী পুরুষের পোশাকের ভিন্নতা মেনে চলেনা তারা অভিশপ্তঃ

 কাজেই নারীকে নারীর পোশাক আর পুরুষ কে পুরুষের 

 নির্ধারিত শালীন পোশাক পড়তে হবে।

                                                     বুখারী হাদীস নং ৫৮৮৫

 

 ১২।যারা মাজার পুজারী তাদের প্রতি অভিশাপ ঃ

 অত এব মাজারে,মানত করা সেজদা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মুসলিম হাদিস নং ৫২৯

 

 ১৩। যে ব্যাক্তি তার প্রতিবেশীকে কথা কর্ম ও ব্যবহার দ্বারা কষ্ট দেয় সেও অভিশপ্তঃ

 কাজেই প্রতিবেশীর প্রতি সব সময় আন্তরিক ও সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। সহি তারগীব হাদীস নং ২৫৫৮

 

 ১৪।যে ব্যাক্তি জন সাধারণের চলাচলের পথে পয়লা আবর্জনা ফেলে সেও অভিশপ্তঃ

 কাজেই রাস্তা ঘাটে পেশাব পায়খানা ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবেনা। সহিহ তারগীব হাদীস নং ১৪১

 

 ১৫।যে ব্যাক্তি বারতি ফায়দা নেয়ার জন্য ঘুষ দেয় এবং যারা

 বিভিন্ন কৌশলে ঘুষ নেয় তারা অভিশপ্ত ঃ

 অত এব কোন অজুহাতেই ঘুষ দেয়াও নেয়া যাবেনা।

                                             আবুদাউদ হাদীস নং ৩৫৮০

 

 ১৬।যে স্ত্রী লোক তার স্বামীর বৈধ্য আহবানে সারা না দিয়ে তালবাহানা করে স্বামীকে কষট দেয় সেও অভিশপ্তঃ

 কাজেই স্বামী স্ত্রী একে অপরকে বুঝে পরস্পরের মনরোনজন

 করতে হবে। বুখারী হাদীস নং ৫১৯৩

 

 ১৭।যারা সূদ খোর,সূদ দাতা এবং এর সাথে সহায়তাকারী সকল ব্যাক্তিবর্গ ই অভিশপ্ত ঃ

 কাজে ই সূদি সকল কাজ কারবার থেকে দুরে থাকতে হবে।

                                               মুসলিম হাদিস নং ১৫৯৭

 

 ১৮।যারা মদ পান, এর উৎপাদন ও সরবরাহের কাজে জড়িত তারা সবাই অভিশপ্তঃ

 অত এব সকল প্রকার নেশাকর দ্রব্য পরিহার করে এর কঠিন

 ছোবল থেকে আমাদের প্রজন্ম কে রক্ষা করতে হবে।

                                                আবু দাউদ হাদিস নং ৩৬৭৪

 

 ১৯।যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা, (খুন,ঘূম,যখম) করবে সে চিরকালের জন্য জাহাননামী ও

 অভিশপ্ত ঃ

 কাজেই এই মহাপাপের পথে কখনো পা বাড়ানো যাবেনা।

                                                     সূরা নিসা আয়াত/৯৩

 

 ২০। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক প্রকার যালেম ও অত্যাচারী

 ব্যক্তিরাই অভিশপ্তঃ

                                                      সূরা হুদ আয়াত/১৮

 

 সুতরাং সকল প্রকার যুলুম নিপীড়ন নির্যাতনের এই অভিশপ্ত পথ পরিহার করে , সবার জন্য নিরাপদ বসবাস উপযোগী একটি ন্যায় ,সুন্দর ,ও সুখি সমাজ গঠনে আমরা সবাই এগিয়ে

 আসি, আললাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন আমীন।

 

 লেখক ও সংকলক 

 মুহাম্মদ আলিফ হোসাইন

 তারিখ ০২/০৭/২০২১ ইং