দু‘আ-১০২
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَاهْدِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ وَعَافِنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ.
ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমাকে হেদায়েত দিন, আমাকে রিযিক দিন, আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দিন এবং যে সত্যের বিষয়ে মতভেদ করা হয়, তাতে আমাকে আপনার দয়ায় সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। -মুসলিম, তিরমিযী
মতন বা মূল হাদিস:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ " اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ " .
আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর নবী রাতে যখন উঠতেন তখন কি দিয়ে (কোন দুআ পড়ে) তিনি তাঁর নামায আরম্ভ করতেন। তিনি বলেন, তিনি যখন রাতে উঠতেন তখন নামায শুরু করতেন
اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
″হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাইল ও ইসরাফিল (আলাইহিমুস সালাম) এর প্রতিপালক আসমানসমূহ ও যমীনের সৃজনকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞাতা আপনিই মীমাংশা করবেন আপনার বান্দাদের মাঝে সে বিষয় যাতে তারা মতবিরোধ করছিল। আপনি আমাকে হিদায়াত ও সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, সত্য ন্যায়ের বিপরীত বিষয়ে আপনার হুকুমে, আপনিই হিদায়াত করেন যাকে ইচ্ছা হয়, সরল পথের দিকে।″
—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৮৪ (আন্তর্জাতিক নং ৭৭০)
বর্ণনাকারী: উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) (মৃত্যু ৫৭/৫৮ হিজরী)
ফায়দা: যে সত্য অতি স্পষ্ট তা গ্রহণের জন্যও আসমানী তাওফীকের প্রয়োজন আর যে বিষয়ের স্বরূপ কিছু অস্পষ্ট, সেখানে সঠিক উপলব্ধির জন্য ও সত্যের পথে থাকার জন্যও সর্বদা দু‘আ জারি রাখা উচিৎ।