দু‘আ-৯২
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ .
خلاصة حكم المحدث : إسناده صحيح | التخريج : أخرجه أبو داود (5074)، والنسائي (5530)، وابن ماجه (3871)، وأحمد (4785) واللفظ له.
ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি ক্ষমা ও নিরাপত্তা আমার দ্বীনের জন্য, দুনিয়ার জন্য, পরিজন ও সম্পদের জন্য। ইয়া আল্লাহ! আমার দোষ আবৃত করুন এবং ভীতিকে নিরাপত্তার দ্বারা বদলে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে রক্ষা করুন আমার সামনে থেকে, পিছন থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে এবং উপর থেকে (অর্থাৎ সম্ভাব্য সকল দিক থেকে)। আর আপনার বড়ত্বের দোহাই, আমি আশ্রয় চাই অতর্কিত নীচের দিক হতে আক্রান্ত হওয়া থেকে (অর্থাৎ দুনিয়া-আখিরাতের কোথাও যেন অতর্কিত শাস্তি ও বিপদের মুখোমুখি না হই)।
-আবু দাউদ-৫০৭৪; ইবনে মাজাহ-৩৮৭১; নাসায়ী-৫৫৩০
মতন বা মূল হাদিস:
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - الْمَعْنَى - حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ الْفَزَارِيُّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَعُ هَؤُلاَءِ الدَّعَوَاتِ حِينَ يُمْسِي وَحِينَ يُصْبِحُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَتِي " . وَقَالَ عُثْمَانُ " عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي الْخَسْفَ .
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সকাল ও সন্ধ্যায় এ দুআ কখনই পরিত্যাগ করতেন না। ইয়া আল্লাহ! আমি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনার কাছে সুস্থতা চাই। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দ্বীন ও দুনিয়ার ক্ষমা ও কল্যাণ চাই; আর আমার পরিবার-পরিজন ও সম্পদের জন্যও কল্যাণ চাই! ইয়া আল্লাহ! আমার দোষ-ক্রটি গোপন রাখুন এবং আমার অন্তরে শান্তি প্রদান করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে রক্ষা করুন-আমার ডান দিক হতে, বাম দিক হতে, সামনে হতে, পেছন হতে এবং উপর ও নীচের দিকের ক্ষতি থেকে। রাবী ওয়াকী (রাহঃ) বলেনঃ যমীনের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া থেকে।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯৯০ (আন্তর্জাতিক নং ৫০৭৪)
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
বর্ণনাকারী: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) (মৃত্যু ৭৩ হিজরী)
ফায়দা:
. إِنِّىْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ
দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জীবনে আল্লাহর ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন। এটা ইহজাগতিকতায় বিশ্বাসীদের মূর্খতা যে, তারা শুধু পার্থিব শান্তি কামনা করে আর শাশ্বত ভবিষ্যতকে সম্পূর্ণ ভুলে থাকে। এর বিপরীতে ‘চরম’ দ্বীনদার শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ জগতের সাথে সব রকমের সম্পর্ক রেখেও শান্তি ও সহজতার চিন্তামাত্রকেও ‘নিষিদ্ধফল’ মনে করে। শরীয়তের সুন্দর ও সঠিক এবং সর্বজন-উপযোগী ও ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং আগত ও অনাগত উভয়ের সম্মিলনের শিক্ষা।
وَأَهْلِىْ وَمَالِىْ
(সম্পদ ও পরিজনের জন্য) সম্পদ ও পরিজন অতিবড় দীনদারের পক্ষেও অবহেলার বিষয় নয়, কল্যাণ ও প্রাচুর্য নিঃসন্দেহে কাম্য বস্তু।