জিজ্ঞাসা-১২৭৫৩:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মানুষ না ফেরেশতা শ্রেষ্ঠ? সাধারণ মুসলমান কি বিশেষ ফেরেশতা থেকে শ্রেষ্ঠ? দলিল সহ জানালে উপকৃত হবো।
তারিখ: ১১/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
জনৈক মাওলানা বরিশাল থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
الملائكة عباد مكرمون ، لا يعصون الله ما أمرهم ويفعلون ما يؤمرون ، وقد خلقهم الله وجبلهم على طاعته وعبادته
অর্থাৎ ফেরেশতারা সম্মানিত বান্দা। তারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে না, এবং তারা যা আদেশ করে তাই করে। আল্লাহ তাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর আনুগত্য ও ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
দ্বিতীয় কথা হলো,
يقول الله سبحانه (اللهُ يَصْطَفِى مِنَ الْمَلائكَةِ رُسُلاً وَمِنَ النّاسِ) (سورة الحج : 75).
تدل الآية على أن الملائكة والناس يَصطفِى الله منهم رسلاً، لكن هل الاصطفاء بصورة واحدة وعلى مستوى واحد، أم أن هناك امتيازًا لنوْع منهما على نوع آخر؟
অর্থাৎ اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা! সূরা হজ-৭৫
আয়াতটি প্রমাণ করে যে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা এবং মানুষের মধ্য থেকে রসূল নির্বাচন করেন, কিন্তু নির্বাচন কি একইভাবে এবং এক স্তরে হয়, নাকি তাদের মধ্যে এক প্রকারের জন্য অন্য ধরণের উপর বিশেষ পার্থক্য রয়েছে?
প্রশ্ন: ক। মানুষ না ফেরেশতা শ্রেষ্ঠ?
উত্তর: ক। এ বিষয়ে মতভেদ থাকলেও, চূড়ান্ত কথা হলো মানুষ শ্রেষ্ঠ।
দলিল:
আয়াত নং -০১
Surah Al-Baqara, Verse 30:
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। সূরা বাকারা-৩০
আয়াত নং -০২
Surah Al-Baqara, Verse 34:
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَىٰ وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। সূরা বাকারা-৩৪
আয়াত নং -০৩
Surah Al-Isra, Verse 70:
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَىٰ كَثِيرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
হাদিস নং-০১
عن عبد الله بن عَمرو، عن النبيِّ صلى الله عليه وسلم، قال: إِنَّ المَلاَئِكَةَ قَالَتْ: يَا رَبَّنَا، أَعْطَيْتَ بَنِي آدَمَ الدُّنْيَا يَأْكُلُونَ فيهَا ويَشْرَبُونَ ويَلْبَسُونَ، ونَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ، ولاَ نَأْكُلُ ولاَ نَشْرَبُ ولاَ نَلْهُو، وكَمَا جَعَلْتَ لَهُمُ الدُّنْيَا فَاجْعَلْ لَنَا الآخِرَةَ. قال: لاَ أَجْعَلُ صَالِحَ ذُرِّيَّةِ مَنْ خَلَقْتُ بِيَدَيَّ كَمَنْ قلتُ لَهُ: كُنْ فَكَانَ
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ফেরেশতারা বলেছেন: হে আমাদের রব, আপনি আদম সন্তানদের দুনিয়াতে খাওয়া-দাওয়া করতে দ এবং পরিধান করার জন্য দিয়েছেন এবং আমরা আপনার প্রশংসা করি। আমরা খাই না, পান করি না, মজা করি না। যেমন আপনি তাদের জন্য এই পৃথিবী তৈরি করেছেন, তেমনি আমাদের জন্য আখেরাতও তৈরি করুন। তিনি ( আল্লাহ তাআলা) বললেনঃ আমি নিজ হাতে যাকে সৃষ্টি করেছি তার বংশধরের ন্যায়পরায়ণতাকে আমি এমন একজনের মত করব না যাকে আমি বলেছিলামঃ হও এবং তাই হল। তাখরিজ: তাবারানি -১৩/৬৫৮
হাদিস নং-০২
أنس بن مالك رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " إن الملائكة قالوا: ربنا خلقتنا وخلقت بني آدم... فجعلتهم يأكلون الطعام ويشربون الشراب ويلبسون الثياب ويأتون النساء ويركبون الدواب وينامون ويستريحون، ولم تجعل لنا من ذلك شيئاً... فاجعل لهم الدنيا ولنا الآخرة. فقال الله: لا أجعل من خلقته بيدي ونفخت فيه من روحي كمن قلت له كن فكان ".
প্রশ্ন: খ। সাধারণ মুমিন সাধারণ ফেরেশতা থেকে শ্রেষ্ঠ তার দলিল কী?
উত্তর: খ।
عوام المؤمنين أفضل من عوام الملائكة وخواص المؤمنين أفضل من خواص الملائكة قال الله تعالى: "إن الذين آمنوا وعملوا الصالحات أولئك هم خير البرية" (البينة-7)
অর্থাৎ সাধারণ মুমিন সাধারণ ফেরেশতা থেকে উত্তম আর বিশেষ মুমিন বিশেষ ফেরেশতা থেকে উত্তম। আল্লাহ তাআলা বলেন,
আয়াত নং -০১
Surah Al-Bayyina, Verse 7:
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَٰئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। সূরা বাইয়্যিনাহ-০৭
হাদিস নং -০১
عن أبي هريرة أنه قال: "المؤمن أكرم على الله من الملائكة الذين عنده"
অর্থাৎ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে সাধারণ ফেরেশতার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান’। তাখরিজ: বায়হাকি, শুয়াবুল ঈমান : ১/১৭৪
প্রশ্ন: গ। বিশেষ মুমিন বিশেষ ফেরেশতা থেকে শ্রেষ্ঠ এর দলিল কী?
উত্তর: গ।
ذكر القسطلاني في المواهب اللدنية “ج 2 ص 45” أن هناك اختلافًا في التفاضل بين الملائكة والبشر فقال جمهور أهل السنة والجماعة: خواصُّ بني آدم وهم الأنبياء أفضل من خواصِّ الملائكة وهم جبريل وميكائيل وإسرافيل وعزرائيل وحَمَلة العرش والمقربون والكروبيون والروحانيون
অর্থাৎ আল-কাসতালানি আল-মাওয়াহিব আল-লুদানিয়া, পার্ট 2, পৃ. 45-এ উল্লেখ করেছেন যে ফেরেশতা এবং মানুষের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্য রয়েছে। অধিকাংশ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বলেছেন: বিশেষ আদম সন্তানদের মধ্যে যারা নবী, তারা বিশেষ ফেরেশতাদের চেয়ে উত্তম, যারা হলেন জিব্রাইল, মাইকেল, ইসরাফিল, আজরাইল, সিংহাসনের ধারক, নিকটবর্তী, মর্যাদাবান এবং আধ্যাত্মিক ফেরেশতা থেকেও। সূত্র: মাওয়াহিবুদ দুনিয়া-২/৪৫
ولهذا كان محمد وإبراهيم وموسى وعيسى ونوح والرسل أفضل من الملائكة ، ومذهب أهل السنة أن صالحي البشر أفضل من الملائكة ، وإن كانت مادتهم نورا ، ومادة البشر ترابا " انتهى من "الصواعق المرسلة" (3 /1002)
অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম, মুসা আলাইহিস সালাম, ঈসা আলাইহি সালাম এবং রাসূল ফেরেশতা থেকে শ্রেষ্ঠ।
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মাজহাব হলো, নেককার মানুষ ফেরেশতা থেকে উত্তম। যদিও ফেরেশতা নূরের তৈরি এবং মানুষ মাটির তৈরি। সূত্র: আসসওয়ায়িকিল মুরসালা-৩/১০০২
দলিল:
Surah Al-Baqara, Verse 253:
تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ مِّنْهُم مَّن كَلَّمَ اللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ
এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে। সূরা বাকারা-২৫৩
তাফসির:
"تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ" يدخل في لفظ الآية الملائكة فمن الملائكة رسل كما أن من الناس رسلا بدليل قوله تعالى "اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
“তারা হলেন রসূল; আমরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে অন্যদের উপর প্রাধান্য দিয়েছি।” আয়াতটির শব্দের মধ্যে ফেরেশতা অন্তর্ভুক্ত, এবং ফেরেশতাদের মধ্যে রাসূল রয়েছে, যেমন মানুষের মধ্যে রাসূল রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেছেন,
اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা! সূরা হজ-৭৫
হাদিস নং-০১
قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ما من شيء أكرم على الله من بني آدم يوم القيامة. قيل: يا رسول الله، ولا الملائكة المقربون؟!.. قال: ولا الملائكة... الملائكة مجبورون بمنزلة الشمس والقمر ".
অর্থাৎ বিচার দিবসে আল্লাহর কাছে মানুষ অপেক্ষা অন্য কোনো সৃষ্টি অধিক সম্মানের হবে না। জিজ্ঞেস করা হয়, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর নিকটবর্তী ফেরেশতাদের ক্ষেত্রেও কি এটা প্রযোজ্য হবে? অর্থাৎ নিকটবর্তী ফেরেশতাদের চেয়েও কি মানুষের মর্যাদা বেশি? মহানবী (সা.) প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘নিকটবর্তী ফেরেশতারাও এক শ্রেণির মানুষের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান হবে না।’ (বায়হাকি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৭৪)
হাদিস নং-০২
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ أَنَّهُ قَالَ : مَا خَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا أَكْرَمَ عَلَيْهِ مِنْ مُحَمَّدٍ . فَقِيلَ لَهُ : وَلَا جِبْرِيلُ وَلَا ميكائيل فَقَالَ لِلسَّائِلِ : " أَتَدْرِي مَا جِبْرِيلُ وَمَا ميكائيل ؟ إنَّمَا جِبْرِيلُ وميكائيل خَلْقٌ مُسَخَّرٌ كَالشَّمْسِ وَالْقَمَرِ ، وَمَا خَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا أَكْرَمَ عَلَيْهِ مِنْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রা এর বরাতে তিনি বলেন: আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে বেশি সম্মানিত সৃষ্টি করেননি। তাকে বলা হল: জিব্রাইল বা মাইকেল নয়, তাই তিনি প্রশ্নকারীকে বললেন: "আপনি কি জানেন জিব্রাইল কী এবং মাইকেল কী? জিব্রাইল এবং মাইকেল কেবল সূর্য ও চন্দ্রের মতো অধীনস্থ সৃষ্টি এবং আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়েও তার নিকট সম্মানিত সৃষ্টি করেননি। সূরা: আরশিফু মুলতাকি আহলিল হাদিস-৩/৩৪৩
হাদিস নং-০৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ، قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ " مَنْ أَنَا " . قَالُوا أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . قَالَ " أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا وَخَيْرِهِمْ نَفْسًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرُوِيَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ نَحْوُ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ .
মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... মুত্তালিব ইবনে ওয়াদা’আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আব্বাস (রাযিঃ) একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এলেন। (তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল) তিনি যেন (অনভিপ্রেত) কিছু শুনে এসেছেন। তখন নবী (ﷺ) মিম্বরে উঠে দাঁড়ালেন। বললেনঃ আমি কে? সাহাবীগণ বললেনঃ আপনিতো আল্লাহর রাসূল। সালাম আপনার উপর। তিনি বললেনঃ আমি হলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুত্তালিব। আল্লাহ তাআলা সব মাখলূক পয়দা করে আমাকে পয়দা করেছেন তাদের সর্বোত্তমের মাঝে। এরপর তাদের দুই ভাগ করে আমাকে সৃষ্টি করেছেন সর্বোত্তম অংশে। এরপর তিনি বিভিন্ন গোত্র সৃষ্টি করে আমাকে পয়দা করেছেন সর্বোত্তম গোত্রে। এরপর বানালেন বিভিন্ন গৃহ পরিবেশ আর আমাকে পয়দা করেছেন তাদের সর্বোত্তম গৃহ পরিবেশে এবং করেছেন আমাকে সর্বোত্তম ব্যক্তি। তাখরিজ: জামে তিরমিজি-৩৬০৮
নোট: ইমাম তিরমিজি রহ. (আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক