*নীল তিমি* মহাসাগরের তলে বাস করা এ-এক মহাপ্রাণী।
নীল তিমির হার্ট যেন একটা আস্ত ছোট গাড়ির ওজনের সমান।
কমবেশি ৫৯০ কেজি। হার্ট রেট প্রতি মিনিটে ৮-১০ বার। এর হৃৎস্পন্দন শোনা যায় ৩.২ কিলোমিটার দূর থেকে।
রক্তবাহী শিরাগুলো এতটাই মোটা যে, অনায়াসে একজন মানুষ সেই শিরাতে সাঁতার কাটতে পারবে। ভ্রু কুঁচকে লাভ নেই ভাই। আমরা আর জানিই কতটুকু!
নীল তিমির সদ্যপ্রসূত বাচ্চা লম্বায় ২৫ ফুট হয়। মানে ২৫ ফুট লম্বা বাচ্চা মা'র গর্ভ থেকে বের হয়ে আসে। দুনিয়াতে এসেই এরা প্রতিদিন ৫৬৮ লিটার দুধ পান করে। খায় যেমন বাড়েও তেমন। প্রথম বছর প্রতিদিন ৯০ কেজি করে ওজন বৃদ্ধি পায়।
নীল তিমির প্রধান খাদ্য হচ্ছে ক্রিল—দেখতে ছোট চিংড়ি সাইজ, গড়পড়তায় ১থেকে ২ সেন্টিমিটার লম্বা হয় ক্রিল। প্রতিদিন খায় কতটুকু জানেন? ৪ থেকে ৬ টন সাবাড় করে প্রতিদিন। নীল তিমি লম্বায় হয় ১১০ ফুট, ওজন বেড়ে বেড়ে ১৮০ টনে গিয়ে থামে।
বাচ্চা নীল তিমিকে প্রতিদিন ৫৬৮ লিটার দুধ কোনো মানুষ সরবরাহ করে? মানুষের দায়িত্বে এটা পড়লে পারবে কেউ এই দায়িত্ব পালন করতে?
প্রতিদিন ক্রিল খায় ৪ থেকে ৬ টন! কে ব্যবস্থা করে দেন এই বিশাল পরিমাণ ক্রিল?
১১০ ফুট লম্বা এবং ১৮০ টন ওজনের দেহে রক্ত সঞ্চালনের কাজ ছোট আকৃতির হার্ট দ্বারা আদৌ সম্ভব নয়। সাগরের তলে থাকা এই দৈত্যাকৃতির তিমির জন্য প্রয়োজন ছোট প্রাইভেট কারের ওজনের সমতুল্য বিশাল এল হার্ট। তার সৃষ্টিকর্তা তা-ই দিলেন ব্যবস্থা করে।
যে আল্লাহ সাগরের তলদেশে নীল তিমিকে খাওয়াতে পারেন সে-ই আল্লাহ আপনার রিজিক দিতে পারবেন না? কী মনে হয় আপনার?
অথচ আপনি এই রিজিকের জন্য দ্বীন-শরীয়াহ-ঈমান সব বিক্রি করে দিতেও কার্পণ্য করছেন না। যেহেতু আপনার রিজিকের দায়িত্ব আপনি নিজেই নিয়ে নিচ্ছেন সেহেতু আল্লাহ আপনাকে রিজিকের পেরেশানি দিয়ে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সৎ থাকুন। সততাকে প্রমোট করুন।
দ্বীনের হুকুমকে রাখুন আগে। যেকোনো হালাল কাজ করার মানসিকতা অর্জন করুন। কোনো বৈধ কাজকে ঘৃণা বা অবজ্ঞার চোখে দেখবেন না। হতাশ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবেন না। মানুষের কাছে কষ্টের কথা বলবেন না। সব কথা জমা করে আপনি আপনার রবকে বলুন প্রাণভরে।
বৈধ পথে আপনার হাতে যা-ই আসবে তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। অন্যের সুখ, অর্থ এবং জীবনমানের দিকে না তাকিয়ে আপনার চেয়ে অভাবী মানুষদের নিয়ে ভাবুন। রিজিক চিন্তা একদমই না। বিশ্বাস রাখুন, আপনার জন্য বরাদ্দকৃত রিজিক আপনার হাতে আসবেই, আসবে। তবে শর্ত হল, অলসতা-অনাগ্রহ ত্যাগ করে কর্মমুখর হতে হবে আপনাকে।
"তিনিই তোমাদেরকে কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর একটা সময় নির্দিষ্ট করেছেন। এবং আর একটি নির্ধারিত সময় আছে যা তিনিই জানেন,এরপরও তোমরা সন্দেহ করো"।
[আল আন'আম-০২]
#দাওয়াহ_আলইসলামিয়া।
সংগ্রহে, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম