আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৭৭৭: মুতাওয়াল্লি/কোনো ব্যক্তির জন্য জামাত বিলম্ব করা যাবে কিনা?

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১২৭৭৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  

দয়াকরে জানিয়ে কৃতার্থ করবেন 

মুতাওয়াল্লির জন্য জামাত বিলম্ব করা যাবে কিনা? যাঝাকুমুল্লাহু খাইরান 

তারিখ:  ২৪/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন, চাঁদপুর থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

মসজিদের জামাত যথাসময়ে আদায় করাই বাঞ্ছনীয়। অবশ্য ইমাম মুকতাদা হাল বুঝে (পরিস্থিতি বুঝে ) মুসল্লিদের সুবিধার্থে দুচার মিনিট দেরি করা অসুবিধা নেই।


তবে মুসল্লিদের কষ্ট দিয়ে, কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য দেরি করা ঠিক হবে না। কেননা মুমিনদেরকে কষ্ট দেওয়া হারাম। দলিল:


Surah Al-Ahzab, Verse 58:

وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا

যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। সূরা আহযাব-৫৮


حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، وَالْجَارُودُ بْنُ مُعَاذٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ أَوْفَى بْنِ دَلْهَمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَنَادَى بِصَوْتٍ رَفِيعٍ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ مَنْ قَدْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يُفْضِ الإِيمَانُ إِلَى قَلْبِهِ لاَ تُؤْذُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تُعَيِّرُوهُمْ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ تَتَبَّعَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ تَتَبَّعَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ رَحْلِهِ " قَالَ وَنَظَرَ ابْنُ عُمَرَ يَوْمًا إِلَى الْبَيْتِ أَوْ إِلَى الْكَعْبَةِ فَقَالَ مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ وَالْمُؤْمِنُ أَعْظَمُ حُرْمَةً عِنْدَ اللَّهِ مِنْكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ . وَرَوَى إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ السَّمَرْقَنْدِيُّ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ نَحْوَهُ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا .

 ইয়াহয়া ইবনে আকছাম ও জারূদ ইবনে মুআয (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং উচ্চস্বরে ডেকে বললেনঃ হে ঐ সম্প্রদায় যারা মুখে ঈমান এনেছ কিন্তু হৃদয়ে ঈমান প্রবেশ করেনি! শোন, তোমরা মু’মিনদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না, তাদের গোপন দোষ তালাশ করে ফিরবেনা। কেননা, যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ তালাশ করবে আল্লাহ তার গোপন দোষ উদঘাটিত করে দিবেন। আর আল্লাহ যার দোষ বের করে দিবেন তাকে তিনি লাঞ্চিত করবেন যদিও সে তার হাওদার অভ্যন্তরে অবস্থান গ্রহণ করে।

রাবী বলেন যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) একবার বায়তুল্লাহ বা কা‘বার দিকে তাকালেন এবং বললেনঃ কত মর্যাদা তোমার, কত বিরাট তোমার সম্মান! কিন্তু আল্লাহর নিকট মু’মিনের মর্যাদা তোমার চেয়েও বড়। তাখরিজ: জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ২০৩২; সহিহ হিব্বান-৫৭৬৩

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক হাসান)


কিন্তু উক্ত ব্যক্তির জন্য দেরি না করলে, যদি জুলুমের শিকার হওয়ার ভয় হয়, এ ক্ষেত্রে ইমামের জন্য দেরি করা জায়েয হবে বলে ওলামায়ে কেরাম মত পেশ করেছেন।


সারকথা হলো, এ ক্ষেত্রে আলেম/ইমামদের দায়িত্ব হলো হিকমাহর সাথে চলা এবং কৌশলে বুঝানো।



  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক