নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য তাওফিকের দুআ
رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ۱۹
পরওয়ারদেগার! আমাকে আপনার ঐ নেয়ামতের শোকরগোযারির উপর থাকার তাওফীক দিন, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে এবং তাওফীক দিন ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের। আর নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপনার নেককার বান্দাদের মধ্যে। সূরা নামল : ১৯
ব্যাখ্যা: এ দু‘আ হযরত সুলায়মান আ. থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।
وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ (নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপন নেককার বান্দাদের মধ্যে) সুলায়মান আ. তো মানবের সর্বোচ্চ মর্তবা পয়গাম্বারীর দরজা পেয়েছিলেন। এরপরও প্রার্থনা করছেন, পরওয়ারদেগার! নিজ দয়া ও করুণায় আমাকে আপন মকবুল বান্দাদের মধ্যে শামিল করুন। এই ভয় ও দাসত্বের কি কোনো জবাব আছে?
نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ (আপনার ঐ নেয়ামতের, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে)। এখানে নেয়ামতের অর্থ ব্যাপক। নবুওয়াত, বাদশাহী, সুস্থতা ও নিরাপত্তা সবই এতে শামিল।
সুলায়মান আ. এর দু‘আ আমীর-রইসদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ
(ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের)। অর্থাৎ মকবুল আমল নসীব করুন। কারণ, যে ভালো কাজ শর্ত বা আদব রক্ষা না করার কারণে আল্লাহর দরবারে মাকবুল হবে না, তা তো কাম্য নয়। (বয়ানুল কুরআন)