আমল ও দুআ-৪৮: চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের দুআ
رَبَّنَا وَ اَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ِ۟الَّتِیْ وَعَدْتَّهُمْ وَ مَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآىِٕهِمْ وَ اَزْوَاجِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْ ؕ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُۙ۸ وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنْ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوْمَىِٕذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ؕ وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ۠۹
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! তাদের আপনি দাখিল করুন স্থায়ী আবাসের জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদের দিয়েছেন। (তেমনি) তাদের পিতামাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের যারা নেককার, তাদেরও দাখিল করুন। (তাদের সাথে এবং তাদের মতো মর্তবা ও মর্যাদায়) নিঃসন্দেহে আপনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং তাদের রক্ষা করুন সকল অনিষ্ট থেকে। আর সেই দিন (হিসাব- দিবসে) যাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন, তাকে তো (বড়) রহমই করবেন। আর এ-ই হবে বড় কামিয়াবী।সূরা মুমিন : ৮-৯
তাফসির: এ হচ্ছে আল্লাহর রহমতের দানের দিক এবং এটিই মূল উদ্দেশ্য।
جَنّٰتِ عَدْنِ
(স্থায়ী বসবাসের জান্নাতে)। জান্নাত সকল মুমিনের মঞ্জিলে মাকসুদ। এ এমন বিষয় নয়, যাকে কবিসুলভ অহমিকার দ্বারা
উপেক্ষা করা যায়।
مَنْ صَلَحَ
(যারা নেককার)। মানুষের আনন্দ তখনই পূর্ণ হয়, যখন সেই আনন্দে তার বড়-ছোট এবং সঙ্গী-সুহৃদও শামিল হয়। এখানে এই প্রার্থনাই করানো হচ্ছে যে, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে যারা ঈমানদার, কিন্তু আমলের দিক থেকে এই মর্তবার নয়, তাদেরও যেন এ জান্নাতীদের সঙ্গী ও সমমর্যাদার বানিয়ে দেওয়া
হয়।
اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ
(আপনিই তো পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়)। সুতরাং এ আবেদন মঞ্জুর করা আপনার পক্ষে কঠিন নয়। আপনি তো আল-আযীয- সবকিছুর উপর কর্তৃত্ববান। আপনি এ আবেদন পূরণের ব্যবস্থা এমনভাবেও করতে পারেন যে, আপনার সাধারণ নিয়মের কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। আর আপনি তো আল-হাকীম -
মহাপ্রজ্ঞাবান।
الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ
(বড় কামিয়াবী)। যে পার্থিব ক্ষণস্থায়ী সফলতা তো কোনো সফলতা নয়; আখিরাতের সফলতা-ই প্রকৃত সফলতা। কুরআন মাজীদে বারবার বিভিন্নভাবে এ সত্যের দিক�