জিজ্ঞাসা -১২৫২৩:
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, দয়া করে অমুসলিমের রক্ত গ্রহ গ্রহনের শরয়ী বিধান , অগ্রিম শুকরান জাযাকাল্লাহু খাইরান
তারিখ: ০৫/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মাওলানা আব্দুল হাই নাটোর থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, অমুসলিমের রক্ত মুসলিমের শরীরে স্থানান্তর জায়েজ। মুসলিম আর অমুসলিমের রক্তে কোনো প্রভেদ নেই। কিন্তু শরিয়তসিদ্ধ কথা হলো, কাফের-ফাসেকের স্বভাবে মন্দ ও নিন্দনীয় প্রভাব রয়েছে।
এ সম্পর্কে শায়েখ ইবনে বাজ রহ কে জিজ্ঞেস করা হলে। তিনি জবাবে বলেন,
الجواب:
لا أرى حرجًا في نقل الدم إذا دعت الحاجة إليه، إذا قرر الأطباء الحاجة إليه وناسب دم هذا دم هذا فلا بأس، سواء كان من زوجة إلى زوجها أو من زوج إلى زوجته أو من كافر إلى مسلم أو من مسلم إلى كافر لا بأس بهذا،
প্রয়োজনে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি দোষের কিছু দেখি না, ডাক্তাররা যদি সিদ্ধান্ত নেন যে এটি প্রয়োজন এবং এই রক্তটি এই রক্তের জন্য উপযুক্ত তবে তাতে দোষের কিছু নেই, তা স্ত্রীর পক্ষ থেকে হোক না কেন। স্বামী, অথবা স্বামী থেকে তার স্ত্রী, অথবা একজন কাফের থেকে একজন মুসলিম, অথবা একজন মুসলিম থেকে একজন কাফের, এতে দোষের কিছু নেই। সূত্র: ফাতাওয়া নূর ‘আলা আদ-দারব -1/292, 293
প্রশ্ন: ক।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ .
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সূরা তওবা -২৮
এ আয়াতে মুশরিকদের তথা অমুসলিমদের নাপাক বলা হয়েছ, তাহলে তাদের রক্ত কিভাবে পবিত্র হবে? এর ব্যাখ্যা কি?
ক। উত্তর:
এর ব্যাখ্যা হল, কোরআন মাজিদে মুশরিকদের যে অপবিত্র বলা হয়েছে তা তাদের কুফুর ও শিরক জনিত বাতেনী অপবিত্রতার কারণে। সূত্র: তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন -৫৬৫ পৃষ্ঠা, সংক্ষিপ্ত; মাওলানা মহিউদ্দিন খান অনূদিত।
সারকথা হলো, অমুসলিমদের রক্ত গ্রহণ করা জায়েজ আছে। তবে মুসলিমদের পাওয়া গেলে অমুসলিমদের রক্ত পরিহার করা।
কারণ তারা নাপাক ও হারাম খাদ্য গ্রহণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতে করে খাবারের প্রভাব রক্ত-মাংসে পড়ে। তাই সে ক্ষেত্রে অমুসলিমের মন্দ স্বভাব-চরিত্রের প্রভাব মুসলিমের স্বভাব-চরিত্রে রক্তের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হওয়ার বেশ আশংকা থেকে যায়। সুতরাং এসব ক্ষতির দিকে লক্ষ্য করে, অমুসলিমের রক্ত নেওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা উচিত। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৪০)
- والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক