আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৩১০: পান্জাবীর উপর আবা কি টাখনুর নিচে পরিধান করা যাবে? যদি কেউ পরিধান করে নামাজ পড়ায় তাহলে কি ইমাম ও মূসল্লীদের নামাজ হবে কিনা।

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১২৩১০

আসসালামু আলাইকুম,

পাঞ্জাবীর উপর পরিহিত  আবা  কি  টাখনুর নিচে পরিধান করা যাবে? 

যদি কেউ পরিধান করে  নামাজ পড়ায় তাহলে কি ইমাম ও মূসল্লীদের নামাজ হবে কিনা। তারিখ১৭/১০/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি

 

 মাওলানা  ওলিউল্লাহ রাজবাড়ি থেকে-----

 

জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর   কথা হলোপাঞ্জাবির উপরে যে আবা/জুব্বা পরিধান করা তা টাখনুর নিচে পরিধান করা অন্যান্য পোশাকের ন্যায় হারাম।

 

প্রশ্ন:  ক।  কোন কোন পোশাককে টাখনুর নিচে পড়া যাবে না?


উত্তর: ক। 

 

أَبِي،هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلممَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِفَفِي النَّارِ‏"‏‏-رواه البخارى

অর্থআবু হুরায়রা (রা.) বলেনরাসূলুল্লাহ (ﷺ)  বলেছেনযে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে সে জাহান্নামি। বুখারি-৫৭৮৭কিতাবুল লিবাসমুসলিম-২০৮৭আদু দাউদ-৬৩৮নাসায়ি-৫৩৩০মুয়াত্তা মালেক-২৬৫৫

 

ব্যাখ্যাএতে প্রমাণিত হয় যেটাখনু ঢাকা কবিরা গোনাহ কারণ ছগিরা গোনাহের জন্য দোযখের শাস্তি হয় না হজরত মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরি রহবলেন-হাদিসে ইযার শব্দের দ্বারা ঐ সকল পোশাক উদ্দেশ্য যা ওপর থেকে নিচের  দিকে আসে যেমন-লুঙ্গিপায়জামাকোর্তাপাগড়িআবাঅ্যারাবিয়ান জুব্বা  ইত্যাদি। পক্ষান্তরে যে পোশাক নিচ থেকে ওপরের দিকে আসে এমন পোশাক দ্বারা  টাখনু ঢাকলে কোন গোনাহ হবে না। যেমন মোজাজোতা ইত্যাদি সূত্রবযলুল মাজহুদ শরহে  আবু দাউদমুসলিম জীবনে সাফল্যে চল্লিশ হাদিস-১৫৩ পৃষ্ঠা

 

প্রশ্ন:   খ। টাখনু নিচে কাপড়  পরিধান করা কি হারাম?

 

উত্তরখ।  এ বিষয়ে حرُمُ الإسبالُ للخُيَلاءِ، وهذا باتِّفاقِ المذاهِبِ الفقهيَّةِ الأربعةِ: الحَنَفيَّة، والمالِكيَّة، والشَّافعيَّة، والحَنابِلة   অর্থাৎ সম্মানিত চার ইমাম আবু হানিফাশাফেয়িমালেকি ও হাম্বলি (রহ.)- ও পৃথিবীর সকল আলেমদের মতে অহংকারবশত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান হারাম। তবে অংহকার না থাকেতাহলে পরা যাবে কি না আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।


 

প্রশ্নগ। যারা বলে অহংকার ব্যতিত টাখনুর নিচে পরা জায়েজ তাদের দলিল কি?


উত্তরগ। যারা বলে অহংকার ব্যতিত টাখনুর নিচে পরা জায়েজ তাদের দলিল হলো,

 

عن ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عنهما، أنَّ رَسولَ الله صلَّى اللهُ عليه وسلَّم قال: ((مَن جَرَّ ثوبَه خُيَلاءَ، لم يَنظُرِ اللهُ إليه يومَ القيامةِ   অর্থযে ব্যাক্তি অহংকার বশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করবে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্‌ তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না” তাখরিজতিরমিজি-১৬৫৩নাসায়ি-৫২৪১আহমদ-৪৫৪১

 

 ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)   বলেছেন,

«الْإِسْبَالُ فِي الْإِزَارِ، وَالْقَمِيصِ، وَالْعِمَامَةِ، مَنْ جَرَّ مِنْهَا شَيْئًا خُيَلَاءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

লুঙ্গিজামা ও পাগড়ীতে ইসবাল (ঝুলিয়ে পরা) রয়েছে। এগুলো থেকে যেকোনো একটিকে কোনো ব্যক্তি অহংকার বশে টেনে-ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ালে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দিবেন না

 

 

প্রশ্নঘ। অহংকার থাকুক বা না থাকুক সর্বাবস্থায় টাখনুর নিচে পরিধান করা হারাম তাদের দলিল কী?


উত্তরঘ।  যারা বলে  অহংকারমুক্ত কিংবা  যুক্ত হোক না কেন সর্বাবস্থায় টাখনুর নিচে পরিধান করা হারাম।  তাদের দলিল নিম্নরুপ:

 

হাদিস নং-০১

أَبِي،هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلممَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِفَفِي النَّارِ‏"‏‏-رواه البخارى

অর্থআবু হুরায়রা (রা.) বলেনরাসূলুল্লাহ (ﷺ)  বলেছেনযে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে সে জাহান্নামি। বুখারি-৫৭৮৭কিতাবুল লিবাসমুসলিম-২০৮৭আদু দাউদ-৬৩৮নাসায়ি-৫৩৩০মুয়াত্তা মালেক-২৬৫৫

 

হাদিস নং-০২

ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلّمُهُمُ اللّهُ يَوْمَ الْقِياَمَةِ وَلاَ يَنْظُرُ إلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكّيْهِمْ وَلَهُمْ عَذاَبٌ ألِيْمالمُسْبِلُ وَالمَنَّانُ وَالْمُنْفِقُ سِـلْعَتَهُ بـاِلْحَلِفِ الكـاَذِبِ

নবী (ﷺ)  বলেনঃ কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্‌ তাআলা তিনি ব্যাক্তির সাথে কথা বলবেন নাতাদের দিকে তাকাবেন নাতাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। সেই তিনি ব্যাক্তি হল 
১) পায়ের টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধানকারী,
২) দান করে খোটাদানকারী
৩) মিথ্যা শপথ করে পন্য বিক্রয়কারী “ 

 

প্রশ্ন:  ঙ। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ/শক্তিশালী মত  কী?

 

উত্তরঙ। আমাদের সমোজে অনেকে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে  জিজ্ঞেস করলে, যুক্তি দেখায় যে আমি তো অহংকার বশতঃ কাপড় টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরি নাইসতরাং এতে তেমন অসুবিধা নেই।  তাদের বক্তব্য আরেক হাদিসের সামনে টিকে না। দলিল:

 

إِزْرَةُ الْمُؤْمِنِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ وَلا حَرَجَ أَوْ لا جُنَاحَ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَيْنِ ومَا كَانَ أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ فَهُوَ فِي النَّارِ وَمَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَرًا لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِياَمَةِ

 

অর্থ:  হজরত সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছেরাসুলুল্লাহ (ﷺ)  বলেন, “মুমিম ব্যক্তির কাপড় নেসফে সাক তথা অর্ধ হাঁটু পর্যন্তএতে কোন অসুবিধা নেই” (হাঁটু থেকে পায়ের তোলার মধ্যভাগকে নেসফে সাক বলা হয়) অন্য বর্ণনায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরুপ বলেনঃ পায়ের টাখনু এবং হাটুর মধ্যবর্তী স্থানে কাপড় পরিধান করাতে কোন অসুবিধা নেই। যে টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা হবে তা জাহান্নামে যাবেএবং যে ব্যাক্তি অহংকার বশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরবেকিয়ামত দিবসে আল্লাহ্‌ তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না


এ  হাদিসগুলি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যেতাদের  যুক্তি সম্পূর্ণ অসাড়। কারণ হাদিসে অহংকার ছাড়া এবং অহংকারসহ দুটিরও বর্ণনা/শাস্তির কথা এসেছে।

 

 আরেকটি যুক্তি/প্রশ্ন দ্বারা বিষয়টি পরিষ্কার হবে ইনশাল্লাহ।

 

০১ নং যুক্তি/প্রশ্ন

 

عن ابن مسعودٍ - رضِي الله عنْه - قال: سألتُ رسولَ الله - صلَّى الله عليه وسلَّم -: أيُّ الذنب أعظم؟ قال: «أن تَجعل له ندًّا وهو خلقك»، قلتُ: ثمَّ أي؟ قال: «أن تقتُل ولدك خشية أن يطعم معك»، قلت: ثمَّ أي؟ قال: «أن تزْنِيَ بِحليلة جارك».

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেনএকদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘কাউকে আল্লøাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করা।’ আমি বললাম, ‘এটি নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে অংশ নেবে এ আশঙ্কায় সন্তানকে হত্যা করা।’ আমি বললামএরপর কোনটিতিনি বললেন, ‘তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া’ । বুখারি-৪৪৭৭৬৮৬১৭৫২০৭৫৩২মুসলিম-৮৬আবু দাউদ-২৩১০

 

এ হাদিস শরিফে প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করাকে বড় গুনাহ বলা হয়েছে। তাই বলে কি প্রতিবেশী ছাড়া অন্য কারও সাথে ব্যভিচার করলে গুনাহ হবে না?  তাহলে অন্যর সাথে ব্যভিচার করা কি জায়েজ প্রমাণিত হয়?

 

প্রিয় পাঠক!   প্রতিবেশী স্ত্রী ছাড়া যেমন অন্যের সঙ্গে ব্যভিচার হারামযা অন্য নস দ্বারা প্রমাণিত। তবে প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে করলে আরও বেশি হারাম-জঘণ্য সেটাই উদ্দেশ্য। ঠিক তেমনি সাধারণ অবস্থায় টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করার চেয়ে অহংকার বশত পরিধান করলে আরও বেশি পাপ হবে।

 

 

২ নং যুক্তি/প্রশ্ন

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوا الرِّبٰۤوا اَضۡعَافًا مُّضٰعَفَۃً ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ  -

হে ঈমানদারগণ! তোমরা  চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করতাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। সূরা আল-ইমরান-১৩০

তাহেলে কি চক্রবৃদ্ধি হার ব্যতিত সুদ খাওয়া জায়েজ হবে? 

প্রিয় পাঠক সুদ হারাম হারামের ব্যাপারে অন্য নস রয়েছে।  তবে এখানে উদ্দশ্য হলোচক্রবৃদ্ধিহারে আরও বেশি হারাম ।   ঠিক তেমনি সাধারণ অবস্থায় টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করার চেয়ে অহংকার বশত পরিধান করলে আরও বেশি পাপ হবে।  সুতরাং যারা যুক্তি দেয় অহংকার ছাড়া জায়েজতাদের যুক্তি ঠিকে না।

 

শায়েখ বিন বায (রহ.) বলেনযে কোন অবস্থায় টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়াকে রাসুল (সা.) অহংকারের অন্তর্ভুক্ত বলেছেন। কারণতিনি বলেনটাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়া থেকে সাবধান! কারণ তা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত। এখানে তিনি বিশেষ কোনো অবস্থাকে বাদ দেননি। সুতরাং যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরবেসে এ শাস্তির আওতায় চলে আসবে। চাই তা পায়জামা হোক বা লুঙ্গিকুর্তা বা অন্য কোন পোশাক। কোনো পোশাকের ক্ষেত্রেই টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পড়ার সুযোগ নেই।’ তথ্যসূত্র : ফাতাওয়া আল-বালাদিল হারামপৃষ্ঠা : ১৫৪৭১৫৪৯১৫৫০

 

 

প্রশ্নচ। যদি কেউ টাখনুর নিচে আবা পরিধান করে  নামাজ পড়ায় তাহলে কি ইমাম ও মূসল্লীদের নামাজ হবে কিনা?

উত্তরচ। والمطلوب من المسلم رفع ثوبه إلى ما فوق الكعبين لا سيما في الصلاة،  অর্থাৎ মুসলমানের জন্য যা আবশ্যক তা হল তার কাপড় টাখনুর উপরে উঠানোবিশেষ করে নামাযের সময়।  তবে নামাজের টাখনুর নিচে থাকলে নামাজ মাকরুহ হবে। দলিল:

 

فعن أبي هريرة قال: بينما رجل يصلي مسبلا إزاره إذ قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذهب فتوضأ، فذهب فتوضأ ثم جاء، ثم قال: اذهب فتوضأ، فذهب فتوضأ، ثم جاء، فقال له رجل: يا رسول الله ما لك أمرته أن يتوضأ ثم سكت عنه؟ فقال: إنه كان يصلي وهو مسبل إزاره، وإن الله تعالى لا يقبل صلاة رجل مسبل إزاره. رواه أبو داود بإسناد صحيح كما قال الإمام النووي رحمه الله

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন: এক ব্যক্তি যখন তার নিচের পোশাকটি নিচু করে নামায পড়ছিলতখন আল্লাহর রসূল (  দোয়া করছিলেন। তিনি বললেনঃ যাও এবং উযূ করঅতঃপর তিনি আসলেন এবং এক ব্যক্তি তাঁকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূলআপনি কেন তাকে উযূ করার নির্দেশ দিয়েছিলেনঅতঃপর চুপ করে থাকলেনতিনি বললেনঃ সে তার নিচের জামা নামিয়ে নামায পড়তেনআর আল্লাহতায়ালা তার নিচের জামা নামিয়ে কোন মানুষের দোয়া কবুল করেন না। তাখরিজসুনানে আবু দাউদহাদিস : ৬৩৮

 

নোটইমাম নববি (রহ.) বলেনএটি ইমাম আবু দাউদ বর্ণনাকারীদের একটি প্রামাণিক শৃঙ্খল সহ বর্ণনা করেছেন। তবে আলবানি (রহ.) এটিকে জয়িফ বলেছেন।

 

তাই নামাজ ও নামাজের বাইরে সর্বাবস্থায় যেন পুরুষের কাপড় টাখনুর উপরে থাকে সে ব্যাপারে যত্নবান হওয়া অবশ্য কর্তব্য। সূত্রইমদাদুল আহকাম : ৪/৩৩৬

 

في رواية عن ابن عباس: أمر النبي صلى الله عليه وسلم أن يسجد على سبعة، ونهى أن يكف شعره أو ثيابه. فمعناه جمعه وضمه فيما سوى ذلك، قال الإمام النووي رحمه الله: والكفت الجمع والضم.... واتفق العلماء على النهي عن الصلاة وثوبه مشمر أو كمه أو نحوه، أو رأسه معقوص، أو مردود شعره تحت عمامته أو نحو ذلك، فكل هذا منهي عنه باتفاق العلماء، وهو كراهة تنزيه، فلو صلى كذلك فقد أساء وصحت صلاته،

অর্থইবনে আব্বাসের থেকে বর্ণিত।  নবী (  সাতটি সিজদা করার আদেশ দিয়েছেন এবং তাকে তার চুল বা কাপড় বন্ধ করতে নিষেধ করেছেন। এর অর্থ হল বহুবচন এবং অন্য কিছুতে বহুবচন। ইমাম আল-নওয়াবীরহবলেছেন: এবং বহুবচন এবং বহুবচন নিষিদ্ধ।... আলেমগণ তার পোশাক গুটিয়ে নেওয়ার সময় নামাযের নিষেধের বিষয়ে একমত হয়েছেনতার হাতা বা অনুরূপঅথবা তার মাথা কুঁচকানোঅথবা তার চুল তার পাগড়ি বা অনুরূপ টাখনু ঢেকে দেওয়াএই সব হারামআলেমদের ঐক্যমত অনুযায়ীএবং এটি  মাকরুহ এবং তার নামায সহিহ। সূত্র: ইসলামি ওয়েব ফতোয়া নং-২১৪৬৫

 

শেষকথা হলো,  পায়জামা-পাঞ্জেবি-জুব্বার মতও আবা টাখনুর নিচে পরিধান হারাম (কমপক্ষে মাকরুহ) আর এ অবস্থায় নামাজ আদায় করলে, নামাজ আদায় হবে, তবে মাকরুহের সাথে। সুতরাং আপনার প্রশ্নে বর্ণিত ইমাম মুসল্লির নামাজ আদায় হয়েছে।  

 

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিচ্ছেনমুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক