আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৭৫৯: মৃত ব্যক্তির সওয়াবে রেসানির উদ্দেশ্যে প্রচলিত কুলখানি কি জায়েজ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৭৫৯: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম 

আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির সওয়াবে রেসানির উদ্দেশ্যে প্রচলিত কুলখানি ( ৩দিন/ চল্লিশা) সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি,

এটা কি সুন্নাহ সম্মত নাকি বেদাত?

তারিখ:  ১৪/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা কামরুল হাসান যশোর  থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির সওয়াবে রেসানির উদ্দেশ্যে প্রচলিত কুলখানি,৩দিন/১০ দিন, চল্লিশা, বাৎসরিক এবং ওরস ইত্যাদি বিদআত। তবে তবে শর্তসাপেক্ষে মৃত্যু ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের নিয়তে লোকদেরকে খাওয়ানো জায়েজ। দলিল-

وَيُكْرَهُ اتِّخَاذُ الضِّيَافَةِ مِنْ الطَّعَامِ مِنْ أَهْلِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ شُرِعَ فِي السُّرُورِ لَا فِي الشُّرُورِ، وَهِيَ بِدْعَةٌ مُسْتَقْبَحَةٌ: وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ ” كُنَّا نَعُدُّ الِاجْتِمَاعَ إلَى أَهْلِ الْمَيِّتِ وَصُنْعَهُمْ الطَّعَامَ مِنْ النِّيَاحَةِ “. اهـ. وَفِي الْبَزَّازِيَّةِ: وَيُكْرَهُ اتِّخَاذُ الطَّعَامِ فِي الْيَوْمِ الْأَوَّلِ وَالثَّالِثِ وَبَعْدَ الْأُسْبُوعِ وَنَقْلُ الطَّعَامِ إلَى الْقَبْرِ فِي الْمَوَاسِمِ، وَاِتِّخَاذُ الدَّعْوَةِ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَجَمْعُ الصُّلَحَاءِ وَالْقُرَّاءِ لِلْخَتْمِ أَوْ لِقِرَاءَةِ سُورَةِ الْأَنْعَامِ أَوْ الْإِخْلَاصِ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صلاة الجنازة، مطلب فى كراهة الضيافة من اهل الميت-3/148)


অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি ইন্তিকাল করার পর মৃতব্যক্তির পরিবারবর্গের অর্থায়নে যিয়াফত বা ভোজসভার আয়োজন করা মাকরূহে তাহরিমী। কারণ ভোজসভা আয়োজনের উপলক্ষ হয়ে থাকে আনন্দ উদযাপন। বিয়োগ বেদনার সঙ্গীন মুহুর্তে তা আয়োজন করা মোটেই সমীচীন নয়। তাছাড়া এটা গর্হিত বিদয়াত বটে। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহি.) ও ইমাম ইবনে মাজা (রাহি.) নিজ নিজ কিতাবে হজরত জারীর বিন আবদুল্লাহ ( রাযি.) থেকে সহীহ সনদে বর্ণনা করেন যে, আমরা মৃতব্যক্তির বাড়িতে লোকসমাবেশ ঘটানো এবং আগত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে খাদ্য তৈরী করার রেওয়াজকে জাহেলী যুগের "নিয়াহা" ( ভাড়া করে বিলাপ/ আহাজারি/ শোক প্রকাশ করানো) এর অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করি।

ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া'তে বলা হয়েছে, "মৃত্যুর প্রথম / তৃতীয় কিংবা সপ্ত দিবস পরে ভোজসভার আয়োজন করা এবং বিভিন্ন মৌসুমে কবরের সামনে হরেক রকম খাবার পরিবেশন করা, কুরআন তিলাওয়াত, সূরা আনয়াম কিংবা সূরা ইখলাস পাঠ কিংবা সমগ্র কোরআন খতমের জন্য জলসা'র আয়োজন করা, এলাকার সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো, প্রভৃতি হলো মাকরূহে তাহরীমি । ( রদ্দুল মুহতার; সালাত অধ্যায়, জানাজার সালাত অনুচ্ছেদ, মৃতব্যক্তির পরিবারবর্গের ভোজসভা আয়োজনের নিন্দনীয়তা প্রসঙ্গ, ১৪৮ /৩)


প্রশ্ন: ক। প্রচলিত কুলখানি বা চল্লিশা বিদআত এবং নাজায়েজ কেন?


উত্তর: ক। প্রচলিত কুলখানি বা চল্লিশা বিদআত এবং নাজায়েজ হওয়ার পিছনে কারণগুলো তুলে ধরা হলো:


(০১) কুলখানি, তিন দিন, চল্লিশ দিনে তথা দিন নির্দিষ্ট করে খাওয়ানো এটা হিন্দুয়ানি প্রথা। যেমন,

 হিন্দুরা ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর তিনদিন পর্যন্ত আগুনে জ্বলতে দেয়। তারপর ৪র্থ দিন মৃতের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান করে, আবার ৪০দিনের দিনের দিন উক্ত মৃতের হাড্ডিগুলো নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে আরেকটি খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, আর বৎসরে উক্ত মৃত্যু দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।


আর অন্য জাতি অনুসরণ করতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিষেধ করেছেন। দলিল:


عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ»

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। তাখরিজ: সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৯৬৬, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৮৬২, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩২৭, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৩০১৬


وفى البزازية: ويكره اتخاذ الطعام فى اليوم الأول والثانى والثالث بعد الأسبوع (الى قوله) واتخاذ الدعوة لقرأة القرآن الخ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صلاة الجنازة، مطلب فى كراهة الضيافة من أهل الميت-3/148، البزازية على هامش الهندية-4/81، جديد-2/54)

অর্থাৎ, ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া'তে বলা হয়েছে, "মৃত্যুর প্রথম / তৃতীয় কিংবা সপ্ত দিবস পরে ভোজসভার আয়োজন করা এবং বিভিন্ন মৌসুমে কবরের সামনে হরেক রকম খাবার পরিবেশন করা, কুরআন তিলাওয়াত, সূরা আনয়াম কিংবা সূরা ইখলাস পাঠ কিংবা সমগ্র কোরআন খতমের জন্য জলসা'র আয়োজন করা, এলাকার সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো, প্রভৃতি হলো মাকরূহে তাহরীমি । ( রদ্দুল মুহতার; সালাত অধ্যায়, জানাজার সালাত অনুচ্ছেদ, মৃতব্যক্তির পরিবারবর্গের ভোজসভা আয়োজনের নিন্দনীয়তা প্রসঙ্গ, ১৪৮ /৩। ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া - ৮১/৪ [ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ার টিকা সংস্করণ] , নতুন সংস্করণ -৫৪ /২)


(০২) মৃত্যু ব্যক্তির জন্য দিন নির্দিষ্ট করে খাওয়া খানানো খয়রুল কুরুন (নবি, সাহাবা ও তাবেয়িদের যুগ) দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই এটি বিদআত। দলিল :

হাদিস নং-০১

عن طلحة قال: قدم جرير على عمر فقال: هل يناح قبلكم على الميت؟ قال: لا قال: فهل تجتمع النساء عندكم على الميت ويطعم الطعام؟ قال: نعم: تلك النياحة (المصنف لابن أبى شيبة، كتاب الجنائز، ما قالوا فى الإطعام عليه النياحة-7/241، رقم-11467)

অর্থাৎ হজরত তালহা (রাযি.) বলেন, " একবার জারীর (রাযি.) হজরত ওমর (রাযি.) এর কাছে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, " আপনাদের পূর্ববর্তী সময়ে কি কারো মৃত্যুর শোক পালনের উদ্দেশ্যে লোক ভাড়া করে এনে বিলাপ বা আহাজারি করানো হতো? জবাবে তিনি বললেন, "না"। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, কারো মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে কি ব্যাপকহারে নারীদের সমাগম ঘটতো এবং খাদ্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো? তিনি এর জবাবে সায় দিয়ে বললেন, " জ্বী, করা হতো। " এবার জারীর (রাযি.) বলেন, এটাই হলো জাহেলী যুগের তথাকথিত "নিয়াহা" ( বিয়োগ বেদনায় বিলাপ / আহাজারির) বাস্তবিক রূপ বা প্রকৃত প্রতিচ্ছবি। (২৪১/৭, হাদীস নং ১১৪৬৭)


হাদিস নং-০২

أَبِيهِ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ، فَهُوَ رَدٌّ» رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ المَخْرَمِيُّ، وَعَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ

ইয়াকুব ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কেউ আমাদের এই শরীয়াতে সংগত নয় এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। ’আব্দুল্লাহ ইবনে জা‘ফর মাখরামী (রাহঃ) ও আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে আবু আউন সা‘দ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন। তাখরিজ: বুখারি-২৬৯৭

(০৩) অনেক সময় মৃত ব্যক্তির শরিকদের বাধ্যতামূলক চাঁদা উঠানো হয়, কুলখানি করার জন্য, চাপে পড়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হয়, এ পদ্ধতি হারাম। দলিল: 

Surah Al-Baqara, Verse 188:

وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ 

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। সূরা বাকারা-১৮৮

(০৪) মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের মধ্যে অনেক সময় নাবালিক থাকে, পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টন করার আগেই সেখান থেকে কুলখানি বা চল্লিশার আয়োজন করে। এ পদ্ধতি ইসলামি শরিয়াতে নাজায়েজ। দলিল:

وَشَرَائِطُ صِحَّتِهَا فِي الْوَاهِبِ الْعَقْلُ وَالْبُلُوغُ وَالْمِلْكُ) فَلَا تَصِحُّ هِبَةُ صَغِيرٍ وَرَقِيقٍ، وَلَوْ مُكَاتَبًا۔ (شامی، کتاب الہبۃ، ٥/٦٨٧

অর্থাৎ দান করার জন্য শর্ত হলো জ্ঞানবান তথা পাগল না হওয়া, বালেগ হওয়া এবং মালিক হওয়া। সূত্র: ফতোয়ায়ে শামী -৫/৬৮৭


(০৫) প্রচলিত কুলখানি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জন্য না খাওয়ালে মানুষ কী বলবে, এই ভয়ে- লজ্জায় খাওয়ার আয়োজন করে। সকল ইবাদত আল্লাহর জন্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। দলিল:

Surah Al-Anaam, Verse 162:

قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। সূরা আনআম -১৬২


প্রশ্ন: খ। কী কী শর্ত সাপেক্ষে মৃত্যু ব্যক্তির জন্য খানা খাওয়ানো জায়েজ?


উত্তর: খ। মৃত ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের জন্য অনেকগুলি পদ্ধতি আছে নফল দান-সদকা, হজ-ওমরা কোরআন তেলাওয়াত এবং খাবার দান বা খাওয়ানো ইত্যাদি। 

 তবে দিন নির্দিষ্ট করা যাবে না ওয়ারিশরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে নাবালিকের সম্পদ থেকে কোন সম্পদ গ্রহণ করবে না তাহলে মৃত্যু ব্যক্তির জন্য গরিব মিসকিনকে খানা খাওয়ানো জায়েজ। দলিল:

 وَقَالَ الرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ: (وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسانِ إِلَّا مَا سَعى) يَعْنِي الْكَافِرَ وَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَلَهُ مَا سَعَى وَمَا سَعَى لَهُ غَيْرُهُ. قُلْتُ: وَكَثِيرٌ مِنَ الْأَحَادِيثِ يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَأَنَّ المؤمن يصل إليه ثَوَابِ الْعَمَلِ الصَّالِحِ مِنْ غَيْرِهِ،

রবী বিন আনাস বলেন, “এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হল কাফের।

অর্থাৎ কাফেররা যা করে শুধু এতটুকুই সে পাবে। কিন্তু মুমিনরা সে যা করে তার সওয়াবও পায়, আবার অন্যের কৃত সওয়াব ও পায়।

আমি [ইমাম কুরতুবী] বলি, অনেক হাদীস এ বিষয়টির প্রমাণ বহন করে। নিশ্চয় মুমিনের জন্য অন্যের কৃত নেক আমলের সওয়াবও পৌঁছে। তাফসীরে কুরতুবী-১৭/১১৪


وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّيَ افْتُلِتَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تُوصِ وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ أَفَلَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ " نَعَمْ "،  

 মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার আম্মা হঠাৎ মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি অসিয়্যত করে যেতে পারেন নি। আমার মনে হয়, তিনি যদি কথা বলতে পারতেন, তা হলে সাদ্‌কা করতেন। অতএব আমি যদি তার পক্ষ হাত সাদ্‌কা করি তবে এর সাওয়াব তিনি পাবেন কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, পাবেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৯৮ (আন্তর্জাতিক নং ১০০৪-১)


সারকথা হলো,  আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির সওয়াবে রেসানির উদ্দেশ্যে প্রচলিত কুলখানি ৩দিন/১১/ চল্লিশা/মৃত বার্ষিকী বিদআত। তবে শর্তসাপেক্ষে খাদ্য দান করা জায়েজ আছে।


  والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক