জিজ্ঞাসা-১২৭৬২:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার জানার বিষয় হলো, একটি হাদিস আছে, মৃত্যু ব্যক্তিকে ওই কাপড় উঠানো হবে, যে কাপড় এসে মারা যায়। অপর হাদিসে আছে কিয়ামতের ময়দানে সবাই উলঙ্গ হয়ে উঠবে। এ দুটি হাদিসের মাঝে সমন্বয় কি?
তারিখ: ১৭/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আব্দুর রহমান সাভার থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হাদিস দুটি নিম্নরূপ:
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ دَعَا بِثِيَابٍ جُدُدٍ فَلَبِسَهَا ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْمَيِّتَ يُبْعَثُ فِي ثِيَابِهِ الَّتِي يَمُوتُ فِيهَا " .
. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। যখন তাঁর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, তখন তিনি নতুন বস্ত্র চেয়ে নিয়ে তা পরিধান করেন এবং বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে ঐ কাপড়ে (কবর হতে) উঠানো হবে, যে কাপড়ে সে মারা যায়। তাখরিজ: সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১০০ (আন্তর্জাতিক নং ৩১১৪)
6527 - حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الحَارِثِ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي القَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «[ص:110] تُحْشَرُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ؟ فَقَالَ: «الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يُهِمَّهُمْ ذَاكِ»
কায়স ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষকে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তখন তো পুরুষ ও নারীগণ একে অপরের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে। তিনি বললেনঃ এরূপ ইচ্ছা করার চাইতেও কঠিন হবে তখনকার অবস্থা। তাখরিজ:৬৫২৭
উভয় হাদিসের মাঝে সমন্বয়:
এ হাদীছে হাশর-ময়দানের ভয়ানক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। সেদিন নারী পুরুষ সকলকে এমনভাবে জড়ো করা হবে যে, কারও পায়ে জুতা থাকবে না, শরীরে পোশাক থাকবে না এবং সকলেই থাকবে খতনাবিহীন অবস্থায়। মানুষ দুনিয়ায় যেভাবে এসেছিল ঠিক সেভাবেই তাদেরকে হাশরের ময়দানে একত্র করা হবে। যেমন কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে
وَلَقَدْ جِئْتُمُونَا فُرَادَى كَمَا خَلَقْنَاكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَتَرَكْتُمْ مَا خَوَّلْنَاكُمْ وَرَاءَ ظُهُورِكُمْ (কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বলবেন,) তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ অবস্থায় এসেছ, যেমন আমি প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। আর আমি তোমাদেরকে যা-কিছু দান করেছিলাম, তা তোমাদের পেছনে ফেলে এসেছ।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ “তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তোমরা সেভাবেই ফিরে আসবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন إنكم محشورون حفاة عراة غرلا: (كما بدأنا أول خلق نعيده ﴾ [الأنبياء: ١٠٤] الآية ، وإن أول الخلائق يكسى يوم القيامة : إبراهيم “কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে খালি পায়ে উলঙ্গ শরীরে খতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন- كما بدأنا أول خلق نعيده (আমি পুনরায় তাকে সৃষ্টি করব, যেভাবে প্রথমবার সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম -সূরা আম্বিয়া: ১০৪) কিয়ামতের দিন সমস্ত মাখলুকের মধ্যে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে সবার আগে কাপড় পরানো হবে।
প্রশ্ন হতে পারে, কোনও কোনও হাদীছ দ্বারা তো জানা যায় মৃত ব্যক্তি যে পোশাকে মারা যায় সে পোশাকেই তাকে উঠানো হবে, যেমন হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী রাযি.থেকে বর্ণিত এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন إن الميت يبعث في ثيابه التي يموت فيها 'নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তিকে উঠানো হবে তার ওই পোশাকেই, যে পোশাকে তার মৃত্যু হয়।
এর উত্তর হলো, সম্ভবত কাউকে কবর থেকে উঠানো হবে নগ্ন অবস্থায় এবং কাউকে পোশাক পরিহিত অবস্থায়। অথবা কবর থেকে সকলকেই পোশাক পরিহিত অবস্থায় উঠানো হবে, তারপর হাশরের সূচনাকালে সকলের পোশাক খুলে পড়ে যাবে এবং সবাইকে নগ্ন অবস্থায় হাশরের ময়দানে একত্র করা হবে। কারও কারও মতে আবূ সা'ঈদ রাযি. বর্ণিত হাদীছটি শহীদদের সম্পর্কে। তারা যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় শহীদ হয়, সে অবস্থায়ই তাদেরকে কবর থেকে উঠিয়ে হাশরে উপস্থিত করা হবে।
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম পোশাক পরানো হবে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে। যেমন উপরে উদ্ধৃত হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বর্ণিত হাদীছটি দ্বারা জানা গেল। হযরত আলী রাযি. বর্ণনা করেন أول من يكسى خليل الله : إبراهيم قبطيتين، ثم يكسى محمد صلى الله عليه وسلم حلة حبرة عن يمين العرش 'কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে কাপড় পরানো হবে আর তা হবে এক জোড়া কুবতী কাপড়। তারপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক জোড়া ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করানো হবে। তিনি থাকবেন আরশের ডান দিকে।
প্রকাশ থাকে যে, এটা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের এক বিশেষ ফযীলত। বিশেষ ফযীলত দ্বারা সামগ্রিকভাবে সকলের উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হয় না। সামগ্রিকভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন সমস্ত নবী- রাসূলের প্রধান হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এটা বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত।
এ হাদীছ শুনে আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. ভীষণ উদ্বিগ্ন হলেন। তাই তিনি বলে উঠলেন يا رسول الله ، الرجال والنساء جميعا ينظر بعضهم الى بعض ؟
(ইয়া রাসূলাল্লাহ! পুরুষ ও নারী সকলে? তারা একে অন্যকে দেখবে?)। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বার বর্ণনায় আছে, আমাদের কি তখন লজ্জা লাগবে না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন يا عائشة الأمر أشد من أن يهمهم ذلك (হে আয়েশা! এ বিষয়টি যে তাদেরকে ভাবাবে, পরিস্থিতি তারচে' অনেক কঠিন)। অপর এক বর্ণনায় আছে فقالت عائشة : فكيف بالعورات؟ قال: «لكل امرئ منهم يومئذ شأن يغنيه [عس : ۳۷] ‘হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বললেন, তখন সতরের ব্যাপারটা কেমন হবে? তিনি বললেন, (সে চিন্তা করো না। আল্লাহ তা'আলা তো বলেই দিয়েছেন—) لكل امرئ منهم يومئذ شأن يغنيه (সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন দুশ্চিন্তা দেখা দেবে, যা তাকে অন্যের থেকে ব্যস্ত করে রাখবে -সূরা আবাসা : ৩৭)।
অপর এক বর্ণনায় এসেছে। হযরত আয়েশা রাযি. বলে উঠেন وا سوأتاه، الرجال والنساء يحشرون جميعا، ينظر بعضهم إلى سوءة بعض؟ فقال: لكل امرئ منهم يومئذ شأن يغنيه» الآية، وزاد: ولا ينظر الرجال إلى النساء، ولا النساء إلى الرجال، شغل بعضهم عن بعض 'কী লজ্জার কথা! নারী-পুরুষ সকলকে একত্র করা হবে আর তারা একে অন্যের সতর দেখবে! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন দুশ্চিন্তা দেখা দেবে, যা তাকে অন্যের থেকে ব্যস্ত করে রাখবে -সূরা আবাসা : ৩৭”। পুরুষগণ নারীদের দিকে তাকাবে না, নারীরাও পুরুষদের দিকে তাকাবে না। প্রত্যেকে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবে, অন্যকে নিয়ে ভাবার অবকাশ পাবে না।
চূড়ান্ত কথা হলো:
, 3349 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا المُغِيرَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا، ثُمَّ قَرَأَ: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ} [الأنبياء: 104] ، وَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ القِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ، وَإِنَّ أُنَاسًا مِنْ أَصْحَابِي يُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ، فَأَقُولُ أَصْحَابِي أَصْحَابِي، فَيَقُولُ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ، فَأَقُولُ كَمَا قَالَ العَبْدُ الصَّالِحُ ": {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: 117]- إِلَى قَوْلِهِ - {العَزِيزُ الحَكِيمُ} [البقرة: 129]
মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে হাশরের ময়দানে খালি পা, বিবস্ত্র এবং খাতনাবিহীন অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। এরপর তিনি (এ কথার সমর্থনে) পবিত্র কুরআনের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ যে ভাবে আমি প্রথমে সৃষ্টির সুচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। এটি আমার প্রতিশ্রুতি। এর বাস্তবায়ন আমি করবই। (২১ঃ ১০৪) আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাকে কাপড় পরানো হবে তিনি হবেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)। আর (সে দিন) আমার অনুসারীদের মধ্য হতে কয়েকজনকে পাকড়াও করে বাম দিকে অর্থাৎ জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা তো আমার অনুসারী, এরা তো আমার অনুসারী! এ সময় আল্লাহ বলবেন, যখন আপনি এদের থেকে বিদায় নেন, তখন তারা পূর্ব ধর্মে ফিরে যায়। কাজেই তারা আপনার সাহাবী নয়। তখন আল্লাহর নেক বান্দা (ঈসা আলাইহিস সালাম) যেমন বলেছিলেন; তেমন আমি বলব, হে আল্লাহ! আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম, ততদিন আমি ছিলাম তাদের অবস্থার পর্যবেক্ষক। আপনি পরক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫ঃ ১১৭-১১৮)। তাখরিজ: বুখারি-৩৩৪৯
হাদীসের ব্যখ্যা:
এ হাদীছে হাশরের বিভীষিকাময় অবস্থার কথা বর্ণিত হয়েছে। হাশরের উন্মুক্ত ময়দানে সমস্ত মানুষকে একত্র করা হবে। কারও পায়ে জুতা থাকবে না, শরীরে কাপড় থাকবে না এবং সকলেই থাকবে খতনাবিহীন অবস্থায়। অর্থাৎ দুনিয়ায় মানুষ যেভাবে জন্ম নেয়, হুবহু সেরকমই সকলের হাশর হবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন মাজীদের একটি আয়াত দ্বারাও এটা প্রমাণ করেছেন। আয়াতে বলা হয়েছেঃ-
كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ 'আমি পুনরায় তাকে সৃষ্টি করব, যেভাবে প্রথমবার সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম। এটা এক প্রতিশ্রুতি, যা পূরণ করার দায় আমার। আমি তা অবশ্যই করব।
এর সারকথা হচ্ছে, মানুষ মায়ের পেট থেকে যেমন দুনিয়ায় আসে, কবরের পেট থেকেও তেমনি হাশরের ময়দানে উঠে আসবে। তবে বিশেষ লোককে পোশাক পরিধান করানো হবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক