আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

দুআ কবুলের অভিনব কুরআনি কৌশল

No Comments

 



*হে মালিক বাকিটুকু* ---------

(দুআ কবুলের অভিনব কুরআনি কৌশল)



فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ


অতঃপর তাঁর পালনকর্তা তাঁকে উত্তম ভাবে গ্রহণ করে নিলেন এবং তাঁকে প্রবৃদ্ধি দান করলেন-অত্যন্ত সুন্দর প্রবৃদ্ধি। আর তাঁকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে সমর্পন করলেন। যখনই যাকারিয়া মেহরাবের মধ্যে তার কছে আসতেন তখনই কিছু খাবার দেখতে পেতেন। জিজ্ঞেস করতেন "মারইয়াম! কোথা থেকে এসব তোমার কাছে এলো?" তিনি বলতেন, "এসব আল্লাহর নিকট থেকে আসে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন।" সূরা ইমরান-৩৭



هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ


সেখানেই যাকারিয়া তাঁর পালনকর্তার নিকট প্রার্থনা করলেন। বললেন, হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। সূরা ইমরান-৩৮



 *আয়াতদ্বয়ের পটভূমি:* 


হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম যখন বায়তুল মুকাদ্দাসে মারইয়ামের লালন-পালন করছিলেন, তখন তার প্রতি মহান আল্লাহর অসাধারণ নিদর্শন দেখে নিজের জন্যও দোয়া করেছিলেন। কুরআনুল কারিমে তার সে আবেদন এভাবে উঠে এসেছে-


هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء


‘সেখানেই জাকারিয়া (আলাইহিস সালাম) তাঁর পালনকর্তার কাছে (এভাবে) প্রার্থনা করলেন। বললেন- হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সুরা ইমরান : আয়াত ৩৮)



হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম যখন মরিয়ম আ. এর কাছে বেমৌসুমী ফল-মুল দেখলেন এবং তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ও জ্ঞান হলো যে, অসময়ে যিনি কোনো দ্রব্য আনয়নে সক্ষম নিশ্চয়ই তিনি অসময়ে এ বৃদ্ধাবস্থায়ও সন্তান দানের ক্ষমতা রাখেন। তাঁর বংশের সবাই তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। হজরত জাকারিয়া তাঁর প্রতিপালকের কাছে যখন মধ্যরাতে নামাজের জন্য মেহরাবে প্রবেশ করেছিল তখন প্রার্থনা করে বলল-

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء

উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিল্লাদুংকা জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যেবাতান ইন্নাকা সামিউদ দোআ।’‘হে আমার প্রভু! আমাকে তুমি তোমার কাছ থেকে পবিত্র বংশধ্র সৎ সন্তান দান কর। তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী, কবুলকারী।’ (তাফসিরে জালালাইন)



 *শিক্ষা:* 

আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন বলেন, আল্লাহ পাকের নিয়ামতের কথা স্মরণ করে, দুআ করা। যেমন,


 হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মানুষ বানিয়েছেন, মুসলমান বানিয়েছেন, মুসলমান ঘরে জন্ম দিয়েছেন, নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছেন, আলেম বানিয়েছেন, হাফেজ বানিয়েছেন, সম্মানজনক রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। হে আল্লাহ, বাকিটুকু কবুল করুন।


শেষ কথা,যাকে যতটুকু/ যা যা নিয়ামত দান করেছেন, তা বলে, এখন যেটা দরকার সেটা চাওয়া। 

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে না চাওয়াতে এতগুলো নিয়ামত দিয়েছেন, বাকিটুকু দান করুন।