জিজ্ঞাসা-১২৭৫৮:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।আসসালামুআলাইকুম, সন্মানীত মুফতি সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল , আখেরী চাহা শোম্বার এই দিবসে বর্ণিত, আয়াত বা দোয়া কিংবা যে কোন দোয়া দরুদ পরে গোসল করা বা পান করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রাোগ মুক্তি হতে পানাহ চাওয়া শরীয়ত সম্মত কিনা , মেহের বাণী করে জানালে কৃজ্ঞ থাকব
তারিখ: ১৪/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আখতার হোসেন যশোর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
আখেরী চাহা শোম্বার এই দিবসে বর্ণিত, আয়াত বা দোয়া কিংবা যে কোন দোয়া দরুদ পরে গোসল করা বা পান করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রাোগ মুক্তি হতে পানাহ চাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে কোন নস নেই। সবগুলো বানোয়াট জাল।
দ্বিতীয় কথা হলো, সাহাবি খুলাফায়ে রাশেদীন, তাবেয়ি, তাবা- তাবেয়ি থেকে কোন আমল বর্ণিত নেই। সুতরাং তা পরিত্যায্য। দলিল-
2697 - حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ، فَهُوَ رَدٌّ» رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ المَخْرَمِيُّ، وَعَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ
ইয়াকুব ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কেউ আমাদের এই শরীয়াতে সংগত নয় এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। ’আব্দুল্লাহ ইবনে জা‘ফর মাখরামী (রাহঃ) ও আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে আবু আউন সা‘দ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন। তাখরিজ: বুখারি-২৬৯৭
প্রশ্ন: ক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুস্থতাবোধ সফর মাসের শেষ বুধবার হয়েছিল?
উত্তর: ক। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এক ইহুদি জাদু করেছিল। এটা ছিল হোদায়বিয়ার সন্ধির পরে মহররম মাসের প্রথম দিকের ঘটনা। এ জাদুর প্রভাব কতদিন ছিল সে সম্পর্কে দুটি বর্ণনা রয়েছে। এক বর্ণনায় ছয় মাসের কথা এসেছে, অন্য বর্ণনায় এসেছে চল্লিশ দিনের কথা। কিন্তু এ দুই বিবরণে কোনো সংঘর্ষ নেই। এক বর্ণনায় পুরো সময়ের কথা এসেছে আর অপর বর্ণনায় এসেছে শুধু ওই সময়টুকুর কথা যাতে জাদুর প্রতিক্রিয়া বেশি ছিল। তবে যাইহোক সুস্থতার তারিখ কোনো হিসাব অনুযায়ীই সফরের আখেরি চাহারশোম্বাহ হতে পারে না। -ফাতহুল বারী ১০/২৩৭ : আলমাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ২/১৫৪; শরহুয যুরকানী ৯/৪৪৬-৪৪৭
প্রশ্ন: খ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুধবার না বৃহস্পতিবার এ সুস্থ হয়েছিলেন?
উত্তর: খ। মকসুদুল মোমেনীন পুস্তিকায় যা বলা হয়েছে তা-ও সঠিক নয়।
وفيه: أنه آخر مجلس جلسه . ولمسلم من حديث جندب أن ذلك قبل موته بخمس، فعلى هذا يكون يوم الخميس،
রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়েছে সোমবারে। এর চার পাঁচ দিন আগে তাঁর সুস্থতার জন্য যে সাত কুঁয়া থেকে সাত মশক পানি আনা হয়েছিল এবং সুস্থতার জন্য তার দেহ মোবারককে ধৌত করা হয়েছিল তা কি বুধবারের ঘটনা না বৃহস্পতিবারের? ইবনে হাজার ও ইবনে কাছীর একে বৃহস্পতিবারের ঘটনা বলেছেন। -ফাতহুল বারী ৭/৭৪৮, কিতাবুল মাগাযী ৪৪৪২; আলবিদায়া ওয়ান্নিহায়া ৪/১৯৩; সীরাতুন নবী, শিবলী নুমানী ২/১১৩
প্রশ্ন: গ। বুধবারে কী সুস্থ হয়েছিলেন, এ কথা কি সঠিক?
উত্তর : গ। বুধবারের পর অসুস্থতায় কোনোরূপ উন্নতি হয়নি। বরং এরপর আরেকদিন সুস্থবোধ করেছিলেন এবং যোহরের নামাযে শরীক হয়েছিলেন-একথা সহীহ হাদীসে রয়েছে।
664 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرْنَا المُوَاظَبَةَ عَلَى الصَّلاَةِ وَالتَّعْظِيمَ لَهَا، قَالَتْ: لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ [ص:134]، فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَأُذِّنَ فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ، فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ، فَقَالَ: «إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» ، فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، كَأَنِّي أَنْظُرُ رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ مِنَ الوَجَعِ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَكَانَكَ، ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ، قِيلَ لِلْأَعْمَشِ: وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَأَبُوبَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَتِهِ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: بِرَأْسِهِ نَعَمْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ بَعْضَهُ، وَزَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا
উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে ছিলাম এবং নামাযের পাবন্দী ও উহার তা’যীম সম্বন্ধে আলোচনা করছিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, নবী (ﷺ) যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন নামাযের সময় হলে আযান দেওয়া হল। তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হল যে, আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবারো সে কথা বললেন এবং তারা আবারো তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা বললেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমরা ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সাথী মহিলাদের মত। আবু বকরকেই বল, যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে নেয়।
আবু বকর (রাযিঃ) এগিয়ে গিয়ে নামায শুরু করলেন। এদিকে নবী (ﷺ) নিজেকে একটু হালকাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) পেছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী (ﷺ) তাঁকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একটু সামনে আনা হল, তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসলেন। আ’মাশ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তাহলে নবী (ﷺ) ইমামতি করছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণে নামায আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর নামাযের অনুকরণ করছিল? আ’মাশ (রাযিঃ) মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ।
আবু দাউদ (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) সূত্রে আ’মাশ (রাযিঃ) থেকে হাদীসের কতকাংশ উল্লেখ করেছেন। আবু মুআবিয়া (রাহঃ) অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এর বাঁ দিকে বসেছিলেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। তাখরিজ: বুখারি-৬৬৪, ৬৮০ ও ৬৮১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪১৮, আররাহীকুল মাখতূম পৃ. ৫২৬; রাহমাতুল্লিল আলামীন, মানসূরপূরী
হাদীসের ব্যখ্যা:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাতের আগের বৃহস্পতিবার ইশার সময় খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাঁর পক্ষে মসজিদে গিয়ে ইমামত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তিনি ঘরের লোকদের হুকুম দিলেন, যেন তারা হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-কে ইমামত করতে বলেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-এর মন ছিল অত্যন্ত নরম। কুরআন মাজীদ তিলাওয়াতকালে তাঁর কান্না চলে আসত। কান্নার বেগ বেশি হলে স্বাভাবিক গতিতে তিলাওয়াত করা সম্ভব হয় না। ইমামত করার সময় এরূপ অবস্থা হলে সাবলীলভাবে কুরআন পাঠ করা কঠিন হয়ে যায়। আবার সময়টা ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুস্থতাকালীন। এ কারণে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি, এমনিতেও উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্থানে দাঁড়িয়ে ইমামত করতে তাঁর অনেক বেশি চাপবোধ হওয়ার কথা। সেদিকে ইঙ্গিত করে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন যে, আপনার স্থানে দাঁড়িয়ে তিনি নামায পড়লে কান্নার কারণে মানুষকে কিরাআত, তাকবীর ইত্যাদি শোনাতে পারবেন না।অর্থাৎ কান্না অবস্থায় তাঁর উচ্চারণ জড়িয়ে যাবে। আওয়াজও উঁচু হবে না। ফলে মুক্তাদীগণ তা শুনতে পাবে না।
কিন্তু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব ওজর গ্রাহ্য করলেন না।। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. তাঁর সবচে' বেশি প্রিয় মানুষ। বিভিন্ন আলামত-ইঙ্গিত দ্বারা বোঝা যায়, তাঁর একান্ত কামনা ছিল তাঁর ওফাতের পর হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-ই যেন প্রথম খলীফা হিসেবে মনোনীত হন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে নামাযের ইমামরূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা এ কামনা পূরণে সহায়ক ছিল। অন্য কেউ এ দায়িত্ব পালন করলে তার দিকে কিছু লোকের ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা ছিল। হয়তো এটাকে তারা তার খলীফারূপে মনোনয়নের প্রতি ইঙ্গিত মনে করত। সে আশঙ্কার পথ বন্ধ করার জন্য হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-কে দিয়েই ইমামত করানোর প্রয়োজন ছিল। তাই সব ওজর প্রত্যাখ্যান করে তিনি বারবার হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-কেই ইমামত করার হুকুম দিতে বললেন।
সেমতে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্থলাভিষিক্তরূপে নামাযের ইমামত করলেন। এটা ছিল বৃহস্পতিবার ইশার নামায। এরপর থেকে সোমবার ফজর পর্যন্ত টানা ১৭ ওয়াক্ত নামাযে তিনি ইমামত করেন। ওফাতের পর যখন খলীফা নিয়োগের পালা আসে, তখন হযরত উমর ফারূক রাযি, হযরত আলী রাযি. প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় সাহাবীগণ নামাযের এই ইমামতকে তাঁর বৃহত্তর ইমামত অর্থাৎ খেলাফতের পদমর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার পক্ষে একটি বড় শক্তিরূপে অবলম্বন করে নিয়েছিলেন।
যাহোক, এস্থলে এ হাদীছের মূল বিষয় হল কুরআন তিলাওয়াতকালে ক্রন্দন করা। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. তিলাওয়াতকালে খুব কাঁদতেন। এটা প্রকৃত মুমিনদের শান। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ মুমিন তো তারাই, (যাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় ভীত হয়, যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ পড়া হয়, তখন তা তাদের ঈমানের উন্নতি সাধন করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে।
সারকথা হলো, "আখেরি চাহার শোম্বা" নামে ইসলামে কোনো দিবস ও আমল নেই। কুরআনের বিভিন্ন আয়াত শিফার জন্য তেলাওয়াত করা জায়েজ, কিন্তু আখেরি চাহার শোম্বার দিন নির্দিষ্ট করা বিদআত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক