*আল্লাহওয়ালাদের অভিন্ন তা‘লীম-*
হযরত হাকীমুল উম্মাত মুজাদ্দিদে মিল্লাত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. বর্ণনা করেছেন, তাক্বওয়া বা পূর্ণ দ্বীন সর্বমোট পাঁচটি বিষয়বস্তুর সমষ্টিকে বলা হয়।
(১) ঈমান-আকাইদ দুরস্ত রাখা অর্থাৎ ইসলামের মূল বিষয়গুলো যা ঈমানে মুফাসসালের মধ্যে উল্লেখ আছে তাতে অটল বিশ্বাস রাখা।
(২) ইবাদত-বন্দেগী সুন্নাত মুতাবেক হওয়া অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদত এমন ভাবে করা দরকার যা তাঁর মনোনীত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে গেছেন।
(৩) মু‘আমালাত দুরস্ত রাখা অর্থাৎ বিজ্ঞ উলামাদের থেকে জেনে নিয়ে রিযিক পূর্ণ হালাল ও সহীহ রাখা।
(৪) মু‘আশারাত অর্থাৎ বান্দার হক তথা লোকদের সহিত আচার ব্যবহার ভালো করা, তাদের হক আদায় করা, যাতে কারো কষ্ট না হয়।
(৫) তাসাওউফ বা তাযকিয়ায়ে বাতেন অর্থাৎ অন্তরের দশটি রোগসহ সকল গুনাহ থেকে আত্মাকে পবিত্র করা এবং দশটি গুণের দ্বারা অন্তরকে সজ্জিত করা। (সূরা বাকারা : ১৭৭ , বুখারী শরীফ ১: ৬ বাবু উমুরিল ঈমান, আদাবুল মু‘আশারাত : ১১, তালীমুদ্দীন)
উক্ত পাচঁটি জিনিস বাস্তবায়ন করতে হলে তিন লাইনে মেহনত করতে হবে-
(১) তাবলীগ তথা উভয় জগতে কামিয়াবীর একমাত্র রাস্তা দ্বীনের উপর চলা, একথা বুঝিয়ে দ্বীনের উপর চলতে অন্যদের উৎসাহিত করা।
(২) তা‘লীম তথা ইসলামের আদেশ-নিষেধ মানুষকে শিক্ষা দান করা।
(৩) তাযকিয়া অর্থাৎ আত্মশুদ্ধি করা। আল্লাহওয়ালাদের সুহবতে গিয়ে দিল থেকে বদ খাছলাত দূর করে ভাল আখলাক্ব অর্জন করা।
এই তিনটি পদ্ধতির কথা আল্লাহ তা‘আলা ক্বুরআনে কারীমে চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন। [সূরা বাকারা : ১২৯ ও ১৫১, সূরা আল ইমরান: ১৬৪, সূরা জুম‘আ: ২]
লেখক: শাইখুল হাদিস মুফতী মনসূরুল হক দা.বা.
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া