জিজ্ঞাসা-১২৭৫০:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
তারিখ: ০৫/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
فإلقاء السلام سنة عند جمهور العلماء، وهو سنة عين على المنفرد، وسنة كفاية على الجماعة، والأفضل السلام من جميعهم لتحصيل الأجر، وأما رد السلام ففرض بالإجماع.
অর্থাৎ সালাম দেয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের নিকট সুন্নাত। আলাদা আলাদাভাবে সকলের জন্য স্বতন্ত্র সুন্নাত। আবার সার্বজনীনভাবে সকলের উপর সুন্নাতে কিফায়া।তবে সর্বোত্তম হলো, সালামের পরিপূর্ণ সাওয়াব অর্জনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিই আলাদা আলাদাভাবে সালাম দিবে। উল্লেখ্য যে, প্রথমে সালাম দেয়া সুন্নাত হলেও সালামের উত্তর দেয়া কিন্তু ইসলামের অবশ্য পালনীয় অপরিহার্য বিধান।
قال النووي رحمه الله في المجموع: وأما جواب السلام فهو فرض بالإجماع، فإن كان السلام على واحد، فالجواب: فرض عين في حقه، وإن كان على جميع فهو فرض كفاية، فإذا أجاب واحد منهم أجزأ عنهم، وسقط الحرج عن جميعهم، وإن أجابوا كلهم كانوا كلهم مؤدين للفرض، سواء ردوا معاً أو متعاقبين، فلو لم يجبه أحد منهم أثموا كلهم،
ইমাম নববী ( রাহি.) "আল-মাজমু" গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, সালামের উত্তর দেয়া সর্বসম্মতভাবে আবশ্যক। সালাম যদি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে দেয়া হয়, তাহলে সালামের উত্তর দেয়া তার জন্য সুনির্ধারিতভাবে আবশ্যক। আর যদি সকলকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেয়া হয়, তাহলে সালামের উত্তর দেয়া সামষ্টিকভাবে আবশ্যক হবে। একজনের পক্ষ থেকে সালামের উত্তর দিয়ে ফেললে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। তখন প্রত্যেকেই উত্তর দেয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে দায়মুক্তি লাভ করবে। তবে সবাই যদি সমস্বরে কিংবা পালাক্রমে উত্তর দেয়, তাহলে প্রত্যেকেই ফরয বিধান পালনের সাওয়াব অর্জন করবে। পক্ষান্তরে কেউই যদি উত্তর না দিয়ে নীরব থাকে, তাহলে সকলেই গোনাহগার হবে। সূত্র: আলমাজমু-৪/৫৯৩
সারকথা হলো, একজন ব্যক্তি একাধিক বা কোন জামাআতকে সালাম দিলে, তার জবাব একজন দিলে,হক আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউ জবাব না দেয়, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক