আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৫১৮: পিতা-মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে কি?

No Comments


জিজ্ঞাসা-১২৫১৮:


মুহতারাম মুফতি সাহেব!
নিম্নের বিষয়গুলোর সমাধান কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
زادك الله علما و بارك فيه وجزاك خيرا في الدارين. آمين


প্রশ্ন-৪: স্বামীর পিতা-মাতার খেদমতে অনিচ্ছুক এমন স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পিতা/মাতা তাকে তালাক দিতে সন্তানকে আদেশ দিলে স্বামীর জন্য কী করণীয়?
অথবা পিতা-মাতা এমন স্ত্রীর কারনে সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে বদ দোয়া করলে স্বামী/ সন্তানের জন্য কী করণীয়?

তারিখ:  ০২/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

হাফেজ মাওলানা সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে। কুমিল্লা থেকে।


   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,  

لا شك أن الوالدين هما أحق الناس بالبر والطاعة والإحسان والمعاملة الحسنة ، وقد قرن الله سبحانه الأمر بالإحسان إليهما بعبادته حيث قال : ( وَقَضَى رَبُّكَ أَلا تَعْبُدُوا إِلا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً ) الإسراء/23 .


وطاعة الوالدين واجبة على الولد فيما فيه نفعهما ولا ضرر فيه على الولد ، أما ما لا منفعة لهما فيه ، أو ما فيه مضرة على الولد فإنه لا يجب عليه طاعتهما حينئذ .


এতে কোন সন্দেহ নেই যে পিতামাতার আনুগত্য, দয়া এবং উত্তম আচরণের সবচেয়ে বেশি যোগ্য।

পিতা-মাতার আনুগত্য সন্তানের জন্য বাধ্যতামূলক যেটি তাদের উপকার করে এবং সন্তানের ক্ষতি করে না, এতে তাদের কোন উপকার হয় না বা যা সন্তানের জন্য ক্ষতিকর সে ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করা বাধ্যতামূলক নয়। কেননা আনুগত্য কেবল ভাল বিষয়ে। দলিল:


হাদিস নং-০১

عن النبي عليه الصلاة والسلام أنه قال : " إنما الطاعة في المعروف

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "আনুগত্য কেবল ভাল জিনিসের মধ্যে।" তাখরিজ: বুখারি ৭২৫৭


হাদিস নং-০২



দ্বিতীয় কথা হলো, স্বামী স্ত্রী বিচ্ছেদের মাধ্যমে ব্যভিচারের লিপ্ত হওয়ার ও নানা ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে। যা নিম্নের হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়: 


، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ إِبْلِيسَ يَضَعُ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ ثُمَّ يَبْعَثُ سَرَايَاهُ فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ مَا صَنَعْتَ شَيْئًا قَالَ ثُمَّ يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ مَا تَرَكْتُهُ حَتَّى فَرَّقْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ امْرَأَتِهِ - قَالَ - فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُولُ نِعْمَ أَنْتَ " . قَالَ الأَعْمَشُ أُرَاهُ قَالَ " فَيَلْتَزِمُهُ " .

 আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ইবলীস পানির উপর তার আরশ স্থাপন করে তার বাহিনী প্রেরণ করে। তাদের মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত সেই যে সর্বাধিক ফিতনা সৃষ্টিকারী। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক অমুক কাজ করেছি। সে বলে, তুমি কিছুই করনি। অতঃপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সাথে আমি সকল প্রকার ধোঁকার আচরণই করেছি। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত আমি তাকে ছেড়ে দেই নি। অতঃপর শয়তান তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে হ্যাঁ, তুমি একটি বড় কাজ করেছ। বর্ণনাকারী আ’মাশ বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেনঃ অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়। তাখরিজ: সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৮৪৬


তৃতীয় কথা হলো, বিনা কারণে কোন মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া হারাম। দলিল:

وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا

যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। সূরা আহযাব -৫৭


চতুর্থ কথা হলো, স্ত্রীর সাথে সদাচরণ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলিল:

وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ

আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচারণ কর। (সূরা নিসা ১৯)


ব্যাখ্যা: বিনা কারণে তাকে তালাক দেওয়া সদাচরণের অন্তর্ভুক্ত নয়।


পঞ্চম কথা হলো, পিতা-মাতার আদেশ মান্য করা জরুরি;কিন্তু তারা যদি অন্যায় আদেশ করে, তাহলে তা পালন করা হারাম। কেননা, ইসলামের শিক্ষা হল,

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা যেখানে আসবে, সেখানে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না। সৃষ্টির আনুগত্যের সীমারেখা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,


فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ، فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ

অর্থাৎ অসৎকাজে আনুগত্য নয় ;আনুগত্য কেবলমাত্র সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১৪৫)



এ বিষয়ে শায়েখ ইবনে তায়মিয়া রহ কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন,

قال شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله في الاختيارات ص 114 : " ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية ،وإن كانا فاسقين ... وهذا فيما فيه منفعة لهما ، ولا ضرر عليه " اهـ .

والطلاق من غير سببٍ يبيحه يكرهه الله تعالى ، لما فيه من هدر لنعمة الزوجية ، وتعريض الأسرة للضياع والأولاد للتشتت ، وقد يكون فيه ظلم للمرأة أيضا ، وكون الزوجة كانت خادمة في الماضي ليس سببا شرعيا يبيح الطلاق ، لاسيما إذا كانت مستقيمة في دينها وخلقها.

 অর্থাৎ “একজন ব্যক্তির অবাধ্যতা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে তার পিতামাতার আনুগত্য করা আবশ্যক, যদিও তারা অনৈতিক হয়… এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা তাদের জন্য উপকারী এবং তার কোন ক্ষতি নেই।

বৈধ কারণ ছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদ আল্লাহ তাআলা ঘৃণা করেন, কারণ এটি বিবাহের আশীর্বাদকে নষ্ট করে এবং পরিবারকে ক্ষতির সম্মুখীন করে এবং সন্তানদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়, এবং এটি মহিলার প্রতি অন্যায্যও হতে পারে, এবং অতীত একটি বৈধ কারণ নয় যা বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেয়, বিশেষ করে যদি সে তার ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি এবং নৈতিকতায় ন্যায়পরায়ণ হয়। 

وعلى هذا ، لا تجب طاعة الوالدين في طلاق هذه الزوجة ولا يعتبر هذا من العقوق لهما ،

এর ভিত্তিতে, এই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতামাতার আনুগত্য করা বাধ্যতামূলক নয়, এবং এটি তাদের অবাধ্য বলে বিবেচিত হয় না। সূত্র: আল-ইখতিয়ারাত-১১৪


 

প্রশ্ন: ক। 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي خَالِي الْحَارِثُ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَتْ تَحْتِي امْرَأَةٌ وَكُنْتُ أُحِبُّهَا وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا فَقَالَ لِي طَلِّقْهَا فَأَبَيْتُ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ طَلِّقْهَا ‏"‏ ‏.‏


আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমার এক স্ত্রী ছিল এবং তাকে আমি ভালোবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা (‘উমার) তাকে অপছন্দ করতেন। তিনি আমাকে তাকে তালাক দিতে আদেশ করলে আমি তাতে অসম্মতি জানালাম। ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে এ ব্যাপারে তাঁকে জানালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতাকে তালাক দাও।তাখরিজ: সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৩৮



এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত পিতা-মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া জায়েয, তাহলে এর ব্যাখ্যা কি?



উত্তর: খ। এ হাদিস এবং পিতার কথায় স্ত্রীকে তালাক সম্পর্কে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জবাবে বলেন,

وقد سئل الإمام أحمد رحمه الله عن هذه المسألة بعينها ، فجاءه رجل فقال : إن أبي يأمرني أن أطلق زوجتي ، قال له الإمام أحمد : لا تطلقها ، قال : أليس النبي صلى الله عليه وسلم قد أمر ابن عمر أن يطلق زوجته حين أمره عمر بذلك ؟ قال : وهل أبوك مثل عمر ؟


ولو احتج الأب على ابنه فقال : يا بني إن النبي صلى الله عليه وسلم أمر عبد الله بن عمر أن يطلق زوجته لما أمره أبوه عمر بطلاقها ، فيكون الرد مثل هذا ، أي وهل أنت مثل عمر؟ ولكن ينبغي أن يتلطف في القول فيقول : عمر رأى شيئا تقتضي المصلحة أن يأمر ولده بطلاق زوجته من أجله ، فهذا هو جواب هذه المسالة التي يقع السؤال عنها كثيرا " اهـ . الفتاوى الجامعة للمرأة المسلمة 2/671 .


অর্থাৎ ইমাম আহমাদ (রহঃ) তাকে এই বিশেষ বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এবং একজন লোক তার কাছে এসে বলল: আমার পিতা আমাকে আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইমাম আহমদ তাকে বললেন: তাকে তালাক দিও না। তিনি বললেন: কি না? t রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , ইবনে ওমরকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যখন ওমর তাকে তা করতে আদেশ করেছিলেন? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা কি ওমরের মত। 



এবং যদি পিতা তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং বলে: হে আমার পুত্র, নবী, আল্লাহর দরবারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যখন তার পিতা ওমর তাকে তাকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই প্রতিক্রিয়া হবে। এমন হও, অর্থাৎ তুমি কি ওমরের মতো? কিন্তু তার কথায় নম্র হওয়া উচিত, বলেছেন: উমর এমন কিছু দেখেছিলেন যাতে তার ছেলেকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য তার স্বার্থের আদেশ দিতে হয়। এটি এই প্রশ্নের উত্তর যা সম্পর্কে অনেক আছে। আল-ফাতাওয়া আল- মুসলিম মহিলাদের জন্য জামিআহ ২/৬৭১



দ্বিতীয় ঘটনা এবং তার জবাব:

একশ্রেণীর পিতা মাতা ছেলের বউ ভালো না হলে হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর ঘটনাটি উল্লেখ করে ছেলেকে বউ তালাক দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকে। হযরত ইব্রাহীম (আ.) কেন তাঁর ছেলের বউকে পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন সে বিষয়টি অনেকে নিজের মন গড়া মতো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। হযরত ইবরাহীম আ. কর্তৃক পুত্র ইসমাঈল আ.কে তাঁর স্ত্রী তালাক দেবার যে নির্দেশ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,তার পেছনে শরিয়া কারণ বর্তমান ছিলো বলে ধরে নিতে হবে। একজন নবী বিনা কারণে তাঁর পুত্রকে স্ত্রী তালাক দিতে বলবেন তা কিছুতেই কল্পনা করা যায় না।


সারকথা হলো, ليس للرجل أن يستخدم امرأته الحرة (المطيح البرهانى-4/237، رقم-4151، الفتاوى التاترخانية-4/309، رقم-6271)


অর্থাৎ মা-বাবার সেবা-শুশ্রূষা করা সন্তানের দায়িত্ব— কোনোভাবেই পুত্রবধূর নয়। (আল-বাহরুর রায়েক : ৪/১৯৩; কিফায়াতুল মুফতি : ৫/২৩০)


 

সুতরাং সুতরাং স্ত্রী পিতা-মাতার খেদমত করে না এই অজুহাতে পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া জায়েজ হবে না। 



আপনার প্রশ্ন মতে, পিতা মাতার বদ দুআর চেয়ে শরীয়তের হুকুম প্রধান্য পাবে। 


বদ দোয়া করলে কবুল হবে না ইনশাল্লাহ। তবে ছেলে যদি পিতা-মাতার খেদমতের বিষয়ে গাফেল-অমনোযোগী হয় সেজন্য দায়ী থাকবে।


শেষ কথা হলো, হযরত ইবনে উমর (রা.)-এর ঘটনা এবং আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত হাদীস থেকে  বোঝা যায়, স্ত্রীর ওপর পিতা-মাতা নারাজ হলে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে।   এর 

উত্তর  হলো, মা-বাবা যদি শরীয়ত কর্তৃক বাধ্যতামূলক আহকাম পরিহার করার কথা ছেলে-সন্তানকে বলে, তাহলে তা মানা ছেলে-সন্তানের জন্য জরুরি নয় বরং না মানা জরুরি। তদ্রুপ শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ করার নির্দেশ মা-বাবা দিলে তা মানাও ছেলে-সন্তানের জন্য নাজায়েয। উপরোক্ত নীতিমালার আলোকে, পিতা-মাতা খেদমত না করার কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আদেশ ঠিক হবে না।


  বরং অহেতুক তালাক দেওয়ার হুকুম পালন করলে গোনাহ হবে। সূত্র: মারকাজুল ফিকরিল ইসলামি বাংলাদেশ- ১১/৪১২/৩৫৭৮



  1. والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক