আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৬১৪: মৃত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন পা পরে পাওয়া গেলে করণীয় কি?

No Comments

  



জিজ্ঞাসা-১২৬১৪:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ।  শত্রুর পুতে রাখা বোমার আঘাতে জনৈক সৈনিকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা ছাড়ায় তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে পা-টা পাওয়া যায়।  এখন এই পা কি তার কবরে দাফন করতে হবে?

তারিখ:  ০৭/০৬/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

হাফেজ মাওলানা জাফর তৈয়্যব, 

 রুমা, বান্দরবান।


 জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, জীবিত মুমিন যে মুসলমান সম্মানিত মৃত্যু মুমিনও তেমনি সম্মানিত। 


তাই একবার কবরস্থ করার পর সেই কবর পুনরায় খনন করা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া জায়েজ নেই। দলিল:


فالأصل حرمة نبش القبر لحرمة الميت وكرامته، ولا يجوز إلا لمصلحة راجحة أو ضرورة تدعو إلى ذلك، كما بينا في الفتوى رقم: 22870 وكذلك تشريح الجثة بعد الدفن، فإنه لا يجوز إلا لمصلحة قوية راجحة تغلب ما فيه من المفسدة، كما في الفتوى رقم: 56764 والفتوى رقم: 6777.

এক্ষত্রে মূলনীতি হলো,একবার দাফন করা হয়ে গেলে মৃতব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রেখে পুনরায় কবর খনন করা নিষিদ্ধ।  বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া কবর খনন করা বৈধ নয়। 

অনুরূপভাবে লাশ একবার কবরে সমাধিস্থ করে ফেলার পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনও বৈধ নয়। তবে  যদি এমন কোন বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়, যা লাশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার চাইতেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে প্রয়োজনীয়তার মাত্রা বিবেচনায় কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার অবকাশ রয়েছে।  সূত্র: ফিকহুল ইবাদাত, আলজানাযা-৬৬৩৪৩ (ফতোয়া নং)


সারকথা হলো, আপনার প্রশ্ন আলোকে বিচ্ছিন্ন পা -টি পরে পাওয়া  অংশটি উক্ত ব্যক্তির কবরে দাফন না করে, যে কোন জায়গা দাফন করে দিবে। 


পুনরায় তার কবর খুঁড়ে সেখানে দাফন করা জায়েজ নেই।


 والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক