ধ্রুব কুরবানী
এস এম মাহবুবুর রহমান
তারিখঃ ১০-০৭-২০২২
রাজা-পাতশার অমর অর্জন মওজুদ যাদুঘরে,
ইব্রাহীম নবীর মহাকুরবানী দৃশ্যমান দ্বারেদ্বারে।
বছরান্তে চক্রাকারে আসেতা বারেবারে,
তিনশকোটি মুসলিম তার প্রদর্শনী করে।
কুরবানীর যে মূলশিক্ষা দিয়েছেন মোদেরে প্রভু
বাস্তব জীবনে তা বাস্তবায়ন করেছিকি মোরা কভূ?
কুরবানীর মাকছুদ যদি গোশত খাওয়াইহত
অসীম করুণাময় পুত্র কুরবানীর হুকুম নাহিদিতো।
পুত্রের বদলে পশুকুরবানী হলো আমরা সবাই জানি,
কিযেরহস্য রয়েছেতাতে, কিইবাছিলো তারমানি?
মানবতা অর্জন, পশুত্ব বর্জন, এটাই কুরবানীর শিক্ষা,
শয়তান নিস্কর্ষণ,শয়তানি অপয়ন এটাই তার দিক্ষা।
অষ্টলক্ষ ব্যয়করে গিয়ে দুইসহস্রক্রোস দূরে বাতশে ভেসে
শয়তানের জামারাতে ঢিল ছোঁড়াকালে শয়তান শুধু হাসে।
হেসেহেসে বলে, আলহাজের দিলে শয়তানিবাসা,
ভাষ্কর্যে ঢিলমেরেযাবে,নাজাতপাবে এ কেমন দুরাশা!
দেমাগ, দ্বেষ,লোভ,ক্ষোভ,হয়রাণি,শয়তানি করো পরিহার,
মানুষশয়তান ছাড়নাদিলেও ইবলিস থেকে পারে নিস্তার।
জবেহকালে কুরবানীরপশু বলে, মজাকরে খাবে মোরগোশত,
মনের পশুকে যতনেরাখলে,বানালে তাকে দোস্ত।
বনোপশু হয়েও তুচ্ছযত্নে করেছি সাধ্যমত উপকার,
তোমার মনোপশু ইহকাল,পরকালে পুড়েকরবে ছারখার।
সম্ভবহলে মনোপশুকে অতিসত্তর করজবাই,
মানবিক,মানবতা জাগ্রতহবে,সুখীহবে সবাই।