জিজ্ঞাসা-২৯৯: আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন ক্লাস- চরিত্র গঠন ও নেতৃত্বের উন্নতি করণ। এ বিষয়ে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করছি। তারিখ-০৯/১০/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
জনৈক মাওলানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর কথা হলো, আপনার প্রশ্ন আলোকে আলোচনাটিকে প্রথমত দুটিভাগে ভাগ করছি।
১। চরিত্র গঠন।
ক। ভূমিকা: The crown and glory of life is charater ‘চরিত্র মানুষের মহার্ঘতম বস্তু I শ্রেষ্ঠতম অলংকার’। চরিত্র একটি জাতির জীবনী শক্তি। যে জাতির চরিত্র যত সুন্দর, সে জাতির তত উন্নত ও শক্তিশালী। যে জাতির চরিত্র নেই, সে জাতি পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। তাই চরিত্রবান ব্যক্তি যেমন সমাজের চোখে ভাল, তেমনি মহান আল্লাহর নিকটও প্রিয়। আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন,
وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيمٍ –
অর্থাৎ নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। (সূরা K¡jvg- ৪)
im~jyjøvn (ﷺ) বলেন, ) - إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي لِتَمَامِ مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ
খ চরিত্রের আভিধানিক অর্থ: চরিত্র শব্দটি সংস্কৃত (চর+ইত), প্রতিশব্দ আচরণ, স্বভাব, রীতি,সদাচার,কার্যকলাপ, ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি। ইংরেজিতে প্রতিশব্দ -character,letter,Nature,Role,Figure,conduct,Disposition. আরবিতে প্রতিশব্দ হলো, لاخلاق. سيرة.الطبيعة.الاسرة.الخصلة و غيرذالك
গ। চরিত্রের পারিভাষিক সংজ্ঞা: চরিত্র বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বৈশিষ্ট্যসূচক গুণাবলি, যা অপর থেকে আলাদা করে।
ইসলামী চিন্তাবিদগণ খুলুককে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ইব্ন জাহিয (মৃ·২৫৫ হি) বলেছেন, “ কোন কোন মানুষের মধ্যে খুলুক থাকে স্বভাবজাত এবং প্রকৃতিগত, আবার কোন কোন মানুষের মধ্যে চেষ্টা সাধনা ছাড়া তা অর্জিত হয় না।
মাওয়ার্দ্দী (মৃঃ ৪৫০ হি·) বলেন, “আখলাক হচ্ছে স্বভাবজাত প্রচ্ছন্ন জিনিস।
মুহাদ্দিসগণ আখলাককে আরো চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে “আখলাক হলো এমন মূল্যবোধ যে অনুযায়ী মানুষের আচরণ হওয়া প্রয়োজন।
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল ওয়াদুদ মাকরূম বলেছেন, “আখলাক হচ্ছে আচরণের রীতি-নীতির সমষ্টি, যা মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রিত ও সংহত করে এবং যাকে চিন্তা ও আচরণের ক্ষেত্রে মানুষের অনুসরণ করা উচিত।
অপর একজন মুহাদ্দিস আব্দুর রহমান মাযদানীর মতে আখলাক হচ্ছে ‘মানব মনে প্রোথিত একটি স্থায়ী গুণ, তা স্বভাবসিদ্ধ হোক বা অর্জিত, আচার-আচরণে যার প্রভাব পড়ে।
ঘ। চরিত্রের প্রকারভেদ: চরিত্র দুই। যথা:
(০১) আখলাকে হামিদা (প্রশংসনীয় গুণাবলী )
(০২) আখলাকে রাজিলা (মন্দ গুণাবলী)
(০১) আখলাকে হামিদা (প্রশংসনীয় গুণাবলী ): হাদিস শরিফে এসেছে-আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল(সাঃ) বলেন, “উত্তম চরিত্র থেকে মীযানেঅধিক উত্তম কোন আমল নেই। তাখরিজ: দাউদ-৪১৬৬
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একবার রাসূল(সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন আমলের দ্বারা মানুষ অধিক হারে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “উত্তম চরিত্রেরদ্বারা মানুষ অধিক হারে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। তাখরিজ: মুসনাদে আহমদ-৭৫৬৬
উত্তম চরিত্র মধ্যে হলো, বিনয়, উদারতা, দয়া, তাকওয়া, সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, ক্ষমাশীলতা, অল্পে তুষ্ট, দানশীলতা, মিতাচারী, ধৈরর্য, সাহসিকতা-বীরত্ব ইত্যাদি।
(০২) আখলাকে রাজিলা (মন্দ গুণাবলী):
মানব চরিত্রের সকল বৈশিষ্ট্যই ভাল নয়। বরং তাতে এমন কিছু দিক রয়েছে যা অপছন্দনীয় ও নিন্দনীয়। মানব চরিত্রের এসব নিন্দনীয় স্বভাবকে আরবীতে আখলাকে যামিমাহ বা আখলাকে সায়্যিআহ বলা হয়। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- মিথ্যা বলা, ধোঁকা-প্রতারণা, ঠাট্টা-বিদ্রুপ, বিশ্বাসঘাতকতা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, পরনিন্দা, পরচর্চা, অপব্যয়, কৃপণতা, ক্রোধ, গর্ব-অহংকার, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, কুধারণা, অশ্লীল চিন্তা, বিদ্রোহ, ফিতনা-ফাসাদ, গালি-গালাজ, চোগল খুরী, সুদ-ঘুষের লেনদেন ইত্যাদি।
সুতরাং আমাদের মন্দ স্বভাবগুলো দূর করে উত্তম গুণাবলী অর্জন করতে হবে। আর তা অর্জনের পন্থা হলো নেক/আল্লাহ ওয়ালাদের ছহবতে থাকা।
খ । নেতৃত্বের উন্নতি করণ।
ভূমিকা: মাঝি ছাড়া যেমন নৌকা চলে না তেমনি নেতৃত্ব ছাড়া দেশ, জাতি, সমাজ চলতে পারে না। নেতা যদি যোগ্য হন তাহলে তিনি তার জনগোষ্ঠীকে সফলতার সাথে লক্ষ্যপানে নিয়ে যেতে পারেন। সফলতার সাথে যদি আদর্শের সমন্বয় ঘটে তাহলে ঐ নেতৃত্ব হয় মডেল নেতৃত্ব।
Elder L. Tom Perry বলেন-
“We live in a world that is crying for righteous leadership based on trust worthy Principles.”
নেতৃত্বের পরিচয়
শাব্দিক অর্থে নেতৃত্ব হচ্ছে-
১. To conduct (চালিত করা)
২. To guide (পথ দেখানো)
৩. To direct (আদেশ করা)
সাধারণত: কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কোন ব্যক্তিবর্গ, গোষ্ঠী অথবা দলকে প্রভাবিত করার দক্ষতাকে বলা হয় নেতৃত্ব।
সমাজ বিজ্ঞানী বেনিসের মতে, নেতৃত্ব হচ্ছে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন প্রতিরিধি তার অধীনস্থদের কাঙ্খিত আচরণে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব হলো মানুষকে প্রভাবিত করার এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে তাদের দলীয় লক্ষ্য অর্জনে স্বেচ্ছায় উদ্যমী হয়।
ভ্যান ফ্লিট (Van Fleet)-এর মতে, “নেতৃত্ব হলো একটি প্রভাব-প্রক্রিয়া যা অন্যদের আচরণ পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়।” (Leadership is an influence process directed at shaping the behavior of others)।
নেতৃত্বের উপাদান:
এখানে একজন নেতার ৩০ টি সাধারণ (আবশ্যক) গুনাবলি উল্লেখ করা হলো-
(০১) সাহসীকতা: যিনি নেতা হবেন তাকে হতে হবে নির্ভীক। ভয়-ডরহীন ভাবে তিনি প্রত্যাশিত লক্ষ্যে যাবেন অধীনস্থদের নিয়ে।
(০২) মোহনীয় ব্যক্তিত্ব: একজন সফল নেতাকে হতে হবে মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি তার আচরনে সবাইকে মুগ্ধ করে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করবেন।
(০৩) সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তি: একজন সফল নেতার সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তির অধিকারী হতে হবে। তাকে পরিকল্পনা প্রনয়নে ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্বাচনের জন্য কল্পনাশক্তির আশ্রয় নিতে হবে। সুদূরপ্রসারী কল্পনাশক্তি যার মধ্যে নেই সে নেতা হলেও উত্তম নেতা হতে পারে না।
(০৪) সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা: লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনামাফিক একজন নেতা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকবেন, যা স্বাভাবিক। আর তাই নেতাকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা যে-কোনো সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সক্ষমতা প্রদর্শন করে দল বা গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হয়।
(০৫) সার্বিক দায়-দায়িত্ব গ্রহণের মানসিকতা: একজন প্রসাসককে সকল অবস্থায় সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহনের মানসিকতা থাকতে হবে। যে-কোনো মুহুর্তে যে-কোনো যৌক্তিক ঝুঁকি গ্রহণ করার মানসিকতা একজন নেতার থাকা চাই।
(০৬) শারীরিক সুস্থ্যতা: যিনি নেতা হবে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে কখনো নেতার আসনে বসা যায় না। তবে বাস্তবক্ষেত্রে যদি এমন লক্ষ্য করা যায়, তা নামমাত্র নেতার উদাহরণ।
(০৭) পরিবেশ ও সংগঠন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা: নেতার অবশ্যই পরিবেশ ও সংগঠন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। নানা ধরনের উন্নয়নে তাকে পরিবেশ ও সংঠনের মধ্য দিয়েই কাজ করতে হয়।
(০৮) মানবচরিত্র অনুধাবনের ক্ষমতা: একজন নেতা, বিশেষ ক্ষেত্রে প্রশাসক, যেহেতু মানুষ নিয়ে কাজ করবেন সেহেতু তাকে মানুষের চরিত্র ও আচরণ সম্বন্ধে সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গিগত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
(০৯) সাংগঠনিক জ্ঞান: একজন নেতার সাংগঠনিক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক জ্ঞান তাকে নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে কাজ করতে সাহায্য করবে।
(১০) যোগাযোগের দক্ষতা: সংগঠনের সকলের সাথে ও সংশ্লিষ্ট সমাজের সাথে উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা একজন নেতাকে গড়ে তুলতে হয়। তিনি এমন যোগাযোগ কৌশল নির্ধারন করবেন যেন প্রতিষ্ঠানের সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
(১১) আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সংযমশীলতা: একজন নেতার অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রণ দক্ষতা থাকতে হবে এবং সংযমী হতে হবে। আবেগ ও যথেচ্ছাচার সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস ডেকে আনে।
(১২) ন্যায়পরায়ণতা: নেতা হবেন ন্যায় পরায়ণ। তিনি অন্যায় ও অবিচারের প্রতি বশীভূত হবেন না।
(১৩) সহযোগিতামূলক মননশীলতা: সকলের সাথে সকল কাজে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। অধস্তন কর্মচারী ও সমাজ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
(১৪) বশীভুতকরণ ক্ষমতা:
(১৫) বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা: প্রশাসক বা নেতাকে সব সময়ই বিচার বিবেচনা করে চলতে হয়। তার অজ্ঞতা ও অবিবেচনাপ্রসূত অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
(১৬) বন্ধুপ্রতিমতা: নেতা হবেন সকলের প্রতি বন্ধু প্রতিম। তিনি সকলের বন্ধু ও দুর্দিনের সহায়ক হিসেবে থাকবেন।
(১৭) বিশ্লেষণমূলক ক্ষমতা: নেতার অবশ্যই বিশ্লেষণমূলক ক্ষমতা থাকতে হবে কারণ তাকে বিভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
(১৮) সাহস ও উদ্যম: সাহস ও উদ্যম নেতার যেকোন নেতার একটি মৌলিক গুণ হিসেবে স্বীকৃত। যে-কোনো বিপদে নেতা ভেঙ্গে না পড়ে সাহসের সাথে এগিয়ে যাবেন উদ্যমি মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবেন।
(১৯) সময় সচেতনতা: নেতাকে সময় সচেতন হতে হবে কারণ তিনি সময় সচেতন না হলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যঘাত ঘটবে, অধস্তন ব্যক্তিরা কাজে ফাঁকি দিতে চাইবে।
(২০) সংশ্লিষ্ট কার্যবিষয় জ্ঞান: নেতা যে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের প্রধান সে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক, অন্যথায় দক্ষতার সাথে কার্য পরিচালনা সম্ভব না।
(২১) ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা: পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংগঠন পরিচালনা না করে কর্মির ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যদি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি ও মতভেদ থাকে তবে তাঁদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
(২২) নমনীয় মনোভাব: নেতার বা প্রশাসকের সব সময় নমনীয় মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা উচিৎ। প্রয়োজনে নীতি, সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা, আদেশ, নির্দেশ পরিবর্তন করে উপযোগী ধারা প্রবর্তন করা নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(২৩) অনুসন্ধিৎসু: নেতাকে অনুসন্ধিৎসু হতে হয়। কোনো ঘটনা বা সমস্যার কারণ অনুসন্ধানে উৎসাহী হলে তা সমাধান করাও সহজ হবে।
(২৪) সৃজনী প্রতিভা: প্রশাসক বা নেতাকে সৃজনী প্রতিভার অধিকারী হতে হয়। এর বিকাশ ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনা সম্ভব।
(২৫) আন্তরিকতা: প্রশাসক হবেন প্রতিষ্ঠান ও কথা কর্মিদের প্রতি আন্তরিক।
(২৬) পরমতের ওপর শ্রদ্ধাশীলতা: পরমতের প্রতি স্রদ্ধাশীলতা যে-কোনো মানুষের অন্যতম একটি সুন্দর গুণ যা একজন প্রশাসক বা নেতার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হয় যার দ্বারা তিনি সবার মতামতই সমান গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন এবং উপযুক্ত হলে কাজে লাগাবেন।
(২৭) সাধারণ জ্ঞান: নেতা হবেন ব্যাপক সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী। অজ্ঞ লোক কখনো নেতৃত্ব কিংবা সংগঠন চালাতে পারে না।
(২৮) অধ্যবসায়: নেতাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে। দৈনন্দিন খবর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে তিনি হবেন অধ্যবাসায়ী।
(২৯) আত্মসমালোচনা: এক জন নেতার জন্য আত্মসমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভুল তিনি খুঁজে পেলে ভবিষ্যতে ভুল কম হবে।
(৩০) সার্বিক ধারণা: নেতাকে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে জড়িত কর্মি, কাজ, সমাজ, বাজার, চাহিদা, মানুষের আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকতে হবে।
والله اعلم بالصواب
লেখক/সংকলক মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক