আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

কবিতা-৪০: দো'জাহানের বন্ধু বৃক্ষ

1 comment




দো'জাহানের বন্ধু বৃক্ষ 
এস এম মাহবুবুর রহমান 
তারিখ -২৭-০৬-২০২৩
মোবাই নং ০১৭১৮৭৬২০৯০

একদা আমি ফেসেগেলাম গভীর চিন্তার ফাঁদে,
দো'জাহানের বন্ধু কে সে আল্লাহ -রছুল বাদে? 
ভাবতে ভাবতে গোলকধাঁধাঁয় ঘুরছিল মোর মোন,
পরিশেষে ব্যাকুলবেশে পাদপ নির্বাচন। 
রবের পরে পিতা-মাতা দৃশ্যজগত মাঝে,
তাদের চেয়েও বৃক্ষ বড়! কেউবা মরে লাজে। 
জনক-জনি জন্মদাতা খোদার পরে মান,
অক্সিজেন দেনে তরু বাঁচায় মোদের জান।
অক্সিজেন নাদিলে দ্রুম একমূহুর্ত তরে
সাধ্যকিবা আব্বু-আম্মু জীবন রাখে ধরে! 
তাইতো মহানপ্রকৌশলি আদম সৃষ্টির আগে,
বেশুমার খিতিজ রোপান বেহেশতেরই বাগে।
সুবহানাল্লাহ জপলে হেথা সেথা জন্মে গাছ,
ফুল-ফল আর অক্সিজেনে বাড়ায় বাগের সাজ।
প্রতিবারে তিন অযুতবার ফুসফুস তা নিয়ে
দূষিত লহু শোধনকরে আশয় দেয় ফিরিয়ে। 
লক্ষাধিকবার নিশ্বাস নর নেয়  প্রতিবারে,
তার সাথে প্রায় ষোল লিটার অক্সিজেন শোষণকরে।
পক্ষান্তরে প্রতিবারে নিঃশ্বাস ত্যাগের সাথে 
মরণ বিষ কার্বন- অক্সাইড ত্যাগে দিবা রাতে। 
অক্সিজেন আর কার্বন অক্সাইড করে যে লেনাদেনা, 
তার কথা কি ভুলেও কভু ভেবেছো ও হে মনা!
মোটাতাজা লম্বা কারে খিতিজ দেখলে পরে 
খুনকরতে কুঠার নিয়ে দস্যু আসে তেড়ে। 
এমনিভাবে পাড়া গ্রামে ধরায় দেশে দেশে 
বনোদস্যু নগ নিধন করছ হেসে হেসে। 
যার ফলে তাপমাত্রা বিশ্বে গেছে বেড়ে, 
ভয়ংকর ঝড়- তুফান আসছে সদা তেড়ে। 
সময় থাকতে হও হুশিয়ার জাগো সবে মিলে 
সবুজ সোনার বাংলা গড়ার শপথ নাও দিলে। 
মহাপ্রলয় কালেও যদি চারা গাছ থাকে হাতে 
কাল ক্ষেপণ না করে তা মাটিতে দাও পুঁতে। 
এটি নয় নরের কথা মহানবীর বাণী, 
মহিরুহের গুরুত্ব সবে সময় থাকতে জানি। 
ভবে যত গাছের চারা রোপেন মহাজনে
দান -সদকার সওয়াব তাতে পাবে দোজাহানে 
শাখী চারা রোপে তাদের সেবা করে যারা 
কিয়ামত ত্বক চক্রাকারে ছওয়াব পাবে তারা। 
কামো যদি দুনিয়ায় সুখ পরপারে জান্নাত 
আজীবন গাছ লাগাবে আজি করো মান্নত। 
মুজিব বর্ষে গাছ লাগানোর যুদ্ধ এবার করবো,
সবুজ শ্যামল সোনার বাংলা আমরা সবে গড়বো।
তরু-লতা নেয়না কিছু আজীবন শুধু দেয়, 
দেয়ার জন্য বেঁচেথাকতে একটু যত্ন চায়। 
যব নিকায় বলছি আমি অভিজ্ঞতার সুরে, 
ভালোবেসে পোষলাম পাখি এ কদা গেল উড়ে, 
কাঠবিড়ালি সুযোগ মত পালিয়ে গেল দূরে ;
বুদ্ধি করে গাছ লাগালাম সবই এলো ফিরে। 
বন্দী খাচায় মনের ব্যথায় গাইতো দুখের গান , 
এখন তারা শাখী শাখে শুনায় সুখের তান।

1 comments:

মাশাআল্লাহ
অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে কবিতাটি