জিজ্ঞাসা-১২৬৪৪:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يُصَلِّي عَلَيْهَا الْمَكْتُوبَةَ.
এই হাদিসের ব্যাখ্যা কি হবে??
তারিখ: ২২/০৬/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা শরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো
আপনার প্রশ্নের বর্ণিত হাদিস শরীফের কিয়দাংশের পূর্ণাঙ্গ হাদিস নিম্নরূপ:
1097 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَامِرَ بْنَ رَبِيعَةَ أَخْبَرَهُ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الرَّاحِلَةِ يُسَبِّحُ، يُومِئُ بِرَأْسِهِ قِبَلَ أَيِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ، وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ المَكْتُوبَةِ»
1098 - وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ سَالِمٌ: «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يُصَلِّي عَلَى دَابَّتِهِ مِنَ اللَّيْلِ، وَهُوَ مُسَافِرٌ مَا يُبَالِي حَيْثُ مَا كَانَ وَجْهُهُ» قَالَ ابْنُ عُمَرَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَبِّحُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قِبَلَ أَيِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ، وَيُوتِرُ عَلَيْهَا، غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يُصَلِّي عَلَيْهَا المَكْتُوبَةَ»،
ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... আমীর ইবনে রবীআ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি, তিনি সওয়ারীর উপর উপবিষ্ট অবস্থায় মাথা দিয়ে ইশারা করে সেদিকেই নামায আদায় করতেন যেদিকে সওয়ারী ফিরত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরয নামাযে এরূপ করতেন না।
লাইস (রাহঃ) ......... সালিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সফরকালে রাতের বেলায় সওয়ারীর উপর থাকা অবস্থায় নামায আদায় করতেন, কোন্ দিকে তাঁর মুখ রয়েছে সে দিকে লক্ষ্য করতেন না এবং ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সওয়ারীর উপর নফল নামায আদায় করেছেন, সওয়ারী যে দিকে মুখ ফিরিয়েছে সেদিকেই এবং তার উপর বিতরও আদায় করেছেন। কিন্তু সওয়ারীর উপর ফরয নামায আদায় করতেন না।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৩৫ (আন্তর্জাতিক নং ১০৯৭-১০৯৮)
ব্যাখ্যা:
قد ذكرنا أن استقبال القبلة شرط لصحة الصلاة ولا فرق بين الفريضة والنافلة لأنه شرط فاستوى فيه الفرض والنفل كالطهارة والستارة، ولأن قول الله تعالى: وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوِهَكُمْ شَطْرَهُ [البقرة: 144]، عام فيهما جميعاً. انتهى.
কিবলামুখী হওয়া সালাতের সহিহ হওয়ার জন্য একটি শর্ত, এবং ফরয ও নফলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কারণ এটি একটি শর্ত, তাই এতে ফরয ও নফল সমান। দলিল:
فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ
এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। (সূরা বাকারা ১৪৪)
হাদিসের সারকথা হল, সকল নামাযের মাঝে সফর এবং মুকিম সর্বাবস্থায় কিবলামুখি হয়ে নামায পড়া আবশ্যক। তবে নফল নামায সফর অবস্থায় পড়ার ক্ষেত্রে একটু শিথিলতা আছে। অর্থাৎ কিবলামুখি হওয়া সম্ভব না হলে উক্ত নামায হয়ে যাবে। কিন্তু ফরজ নামায দোহরাতে হবে।
সূত্র: ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া -২/৫৩৩
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক