প্রশ্ন: তোমরা হানাফিরা ফরজ নামাজের পরে হাত উঠিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত করো কেনো???? ।
উত্তর: দোয়া কবুল হওয়ার তিনটি সার্টিফিকেট রয়েছে এজন্য।
................. নামাজের পর..................
ﻗﯿﻞ ﻟﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭ ﺳﻠﻢ، ﺍﯼ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ
ﺍﺳﻤﻊ؟ ﻗﺎﻝ: ﺟﻮﻑ ﺍﻟﻠﯿﻞ ﺍﻵﺧﺮ، ﻭ ﺩﺑﺮ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ
ﺍﻟﻤﮑﺘﻮﺑﺎﺕ
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু
তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন
মুনাজাত বেশি কবূল হয়?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের
শেষের মুনাজাত। (জামি’তিরমিযী, ২/১৮৮)
নোট: এ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে
যে, নামায শেষে মুনাজাত কবূল
হয়।
...................হাত উঠিয়ে.....................
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﮧ ﺣﯽ ﮐﺮﯾﻢ، ﯾﺴﺘﺤﯽ ﺍﻥ ﯾﺮﻓﻊ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻟﯿﮧ ﯾﺪﯾﮧ
ﺍﻥ ﯾﺮﺩﮬﻤﺎ ﺻِﻔﺮﺍً ﺧﺎﺋِﺒﯿْﻦ۔
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা দয়ালু, দাতা। যখন বান্দা
তাঁর সামনে প্রার্থনার হাত প্রসারিত করে তখন তা শূন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জ্বাবোধ করেন। (জামি’তিরমিযী, ২/১৯৫)
নোট: এ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে, হাত তুলে মুনাজাত করলে তা কবূলের সম্ভাবনা বেশি।
................... সম্মিলিত ভাবে..................
ﻋَﻦْ ﺣَﺒِﻴﺐِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻠَﻤَﺔَ ﺍﻟْﻔِﻬْﺮِﻱِّ – ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻣُﺴْﺘَﺠَﺎﺑًﺎ :- ﺃَﻧَّﻪُ ﺃُﻣِّﺮَ ﻋَﻠَﻰ
ﺟَﻴْﺶٍ ﻓَﺪَﺭِﺏَ ﺍﻟﺪُّﺭُﻭﺏِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻟَﻘِﻲَ ﺍﻟْﻌَﺪُﻭَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ – ﻳَﻘُﻮﻝُ : ” «ﻟَﺎ ﻳَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻣَﻠَﺄٌ ﻓَﻴَﺪْﻋُﻮ
ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻭَﻳُﺆَﻣِّﻦُ ﺳَﺎﺋِﺮُﻫُﻢْ، ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﺟَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ » “.
ﺛُﻢَّ ﺇِﻧَّﻪُ ﺣَﻤِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪَ، ﻭَﺃَﺛْﻨَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻘِﻦْ ﺩِﻣَﺎﺀَﻧَﺎ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ
ﺃُﺟُﻮﺭَﻧَﺎ ﺃُﺟُﻮﺭَ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ ،
ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟﻄَّﺒَﺮَﺍﻧِﻲُّ ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺍﻟْﻬَﻨْﺒَﺎﻁُ ﺑِﺎﻟﺮُّﻭﻣِﻴَّﺔِ : ﺻَﺎﺣِﺐُ ﺍﻟْﺠَﻴْﺶِ. ﻭَﺭِﺟَﺎﻟُﻪُ
ﺭِﺟَﺎﻝُ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﺑْﻦِ ﻟَﻬِﻴﻌَﺔَ، ﻭَﻫُﻮَ ﺣَﺴَﻦُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ .
হযরত হাবীব বিন মাসলামা আলফিহরী রাঃ।
যিনি মুস্তাজাবুদ দাওয়া ছিলেন। তাকে একবার
একটি বাহিনী প্রধান নিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পর তিনি যখন শত্রুর
সম্মুখিন হলেন। তখন লোকদের বললেন, আমি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন
“যখনি কোন দল একত্র হয়, তারপর তাদের কথক
দুআ করে, আর অপরদল আমীন বলে তখন আল্লাহ
তাআলা তা কবুল করে নেন”।মাজমাউয যাওয়াইদ ১৭৩৪৭ ,মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন।মুজামুল কবির